ETV Bharat / state

গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতির দাবিতে মোদিকে চিঠি মমতার - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Mamata writes PM Modi: গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতিদানের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর সরকার ধর্মস্থানের উন্নতিতে কী কী করেছে, এ দিন তার খতিয়ানও দেন তিনি ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 11, 2024, 8:03 PM IST

কলকাতা, 11 জানুয়ারি: গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি প্রদানের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কয়েকদিন আগেই গঙ্গাসাগরের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগর মেলাকে নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ করেছিলেন । তিনি বলেন, কুম্ভ মেলাকে কোটি কোটি টাকা দিলেও গঙ্গাসাগরকে এক পয়সাও সাহায্য করে না কেন্দ্রীয় সরকার । সেই নিয়ে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আরও একবার সরব হলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ।

এ দিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, "গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে আগেও আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে অনেক চিঠি দিয়েছি ৷ আজ আরও একবার চিঠি দিচ্ছি । গঙ্গাসাগর মেলাতে আমরা প্রায় 250 কোটি টাকা এ বছর খরচ করেছি । কুম্ভ মেলা স্বীকৃতি পেয়েছে, তাতে আমরা খুশি । কিন্তু কুম্ভ মেলা প্রত্যেক বছর হয় না । গঙ্গাসাগর মেলা প্রত্যেক বছর হয় । সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় একটি দ্বীপের উপরে এই মেলা হয় । জল পেরিয়ে মানুষকে মেলা প্রাঙ্গণে যেতে হয় । গঙ্গাসাগর মেলায় প্রায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে লাখো লাখো মানুষ আসেন ।"

মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, "কোন দিকে কম আছি আমরা । এক কোটি মানুষ এখানে আসে । সারা বছর যদি ধরি তাহলে সেটা অনেক । গত বছরও আশি লক্ষেরও বেশি মানুষ এসেছিল । এ বছর আমার ধারণা, যেহেতু কুম্ভমেলা নেই, তাই গঙ্গাসাগরে জমায়েত এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে ।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, অন্যেরা সাহায্য পেলে বাংলা কেন সাহায্য পাবে না । কেন গঙ্গাসাগর জাতীয় মেলা হবে না !

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন এও জানিয়েছেন, রাজ্যের মন্দিরগুলির সংস্কারের জন্য সরকারি তরফে প্রায় 700 কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে । আরও বহু মন্দির সংস্কার করা হবে । তিনি জানান, শুধুমাত্র 165 কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে কালীঘাটের জন্য । দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের জন্য 205 কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে । এছাড়াও কচুয়া, চাকলা, অনুকূল ঠাকুরের মন্দিরের জন্যও অর্থ সংস্থান হয়েছে । ইস্কনকে 700 একর জমি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে । জল্পেশ মন্দির সংস্কার হয়েছে । বীরভূমের কঙ্কালীতলা মন্দিরের সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ । তারাপীঠের মন্দির সংস্কার হয়েছে । তারকনাথ মন্দির-সহ রাজ্যের একাধিক মন্দির সংস্কারের কাজ হয়ে গিয়েছে । শুধু হিন্দু ধর্মস্থান নয়, একইভাবে ফুরফুরা শরীফের উন্নয়নের জন্যও সরকার কাজ করেছে বলে এ দিন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

আরও পড়ুন:

  1. তৃণমূলকে বিশ্বাস করে না বলেই গঙ্গাসাগর মেলায় কেন্দ্র টাকা দেয় না, মমতার অভিযোগের পালটা দিলীপের
  2. কুম্ভমেলা সবরকম সাহায্য পেলেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার গঙ্গাসাগর, আক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর
  3. জিস দেশ মে গঙ্গা বেহতি হ্যায়, গঙ্গাসাগরে গিয়ে আপ্লুত রাজ্যপাল; দেখলেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা

কলকাতা, 11 জানুয়ারি: গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি প্রদানের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কয়েকদিন আগেই গঙ্গাসাগরের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগর মেলাকে নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ করেছিলেন । তিনি বলেন, কুম্ভ মেলাকে কোটি কোটি টাকা দিলেও গঙ্গাসাগরকে এক পয়সাও সাহায্য করে না কেন্দ্রীয় সরকার । সেই নিয়ে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আরও একবার সরব হলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ।

এ দিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, "গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে আগেও আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে অনেক চিঠি দিয়েছি ৷ আজ আরও একবার চিঠি দিচ্ছি । গঙ্গাসাগর মেলাতে আমরা প্রায় 250 কোটি টাকা এ বছর খরচ করেছি । কুম্ভ মেলা স্বীকৃতি পেয়েছে, তাতে আমরা খুশি । কিন্তু কুম্ভ মেলা প্রত্যেক বছর হয় না । গঙ্গাসাগর মেলা প্রত্যেক বছর হয় । সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় একটি দ্বীপের উপরে এই মেলা হয় । জল পেরিয়ে মানুষকে মেলা প্রাঙ্গণে যেতে হয় । গঙ্গাসাগর মেলায় প্রায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে লাখো লাখো মানুষ আসেন ।"

মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, "কোন দিকে কম আছি আমরা । এক কোটি মানুষ এখানে আসে । সারা বছর যদি ধরি তাহলে সেটা অনেক । গত বছরও আশি লক্ষেরও বেশি মানুষ এসেছিল । এ বছর আমার ধারণা, যেহেতু কুম্ভমেলা নেই, তাই গঙ্গাসাগরে জমায়েত এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে ।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, অন্যেরা সাহায্য পেলে বাংলা কেন সাহায্য পাবে না । কেন গঙ্গাসাগর জাতীয় মেলা হবে না !

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন এও জানিয়েছেন, রাজ্যের মন্দিরগুলির সংস্কারের জন্য সরকারি তরফে প্রায় 700 কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে । আরও বহু মন্দির সংস্কার করা হবে । তিনি জানান, শুধুমাত্র 165 কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে কালীঘাটের জন্য । দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের জন্য 205 কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে । এছাড়াও কচুয়া, চাকলা, অনুকূল ঠাকুরের মন্দিরের জন্যও অর্থ সংস্থান হয়েছে । ইস্কনকে 700 একর জমি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে । জল্পেশ মন্দির সংস্কার হয়েছে । বীরভূমের কঙ্কালীতলা মন্দিরের সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ । তারাপীঠের মন্দির সংস্কার হয়েছে । তারকনাথ মন্দির-সহ রাজ্যের একাধিক মন্দির সংস্কারের কাজ হয়ে গিয়েছে । শুধু হিন্দু ধর্মস্থান নয়, একইভাবে ফুরফুরা শরীফের উন্নয়নের জন্যও সরকার কাজ করেছে বলে এ দিন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

আরও পড়ুন:

  1. তৃণমূলকে বিশ্বাস করে না বলেই গঙ্গাসাগর মেলায় কেন্দ্র টাকা দেয় না, মমতার অভিযোগের পালটা দিলীপের
  2. কুম্ভমেলা সবরকম সাহায্য পেলেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার গঙ্গাসাগর, আক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর
  3. জিস দেশ মে গঙ্গা বেহতি হ্যায়, গঙ্গাসাগরে গিয়ে আপ্লুত রাজ্যপাল; দেখলেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.