ETV Bharat / state

কালীঘাটের আরতি দেখে সংহতি মিছিল শুরু মমতার, যাবেন মসজিদ-গির্জা-গুরুদ্বারেও

Mamata Banerjee will visit religious places of all religions: আদালতে শুভেন্দুর আবেদন খারিজ হওয়ার পর মমতার সংহতি মিছিল আয়োজনে বাধা রইল না। জানা গেল, ওইদিন বিভিন্ন ধর্মস্থানে যাবেন মমতা। মিছিল শেষে পার্ক সার্কাস ময়দানে সভাও করবেন নেত্রী।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 18, 2024, 9:20 PM IST

Updated : Jan 18, 2024, 9:34 PM IST

কলকাতা, 18 জানুয়ারি: 22 জানুয়ারি রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, ওই দিন কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে হাজরা মোড় থেকে মিছিল করবেন। এবার জানা গেল শুধু কালীঘাট মন্দির নয়, মিছিলের পথে সর্ব ধর্মের ধর্মস্থানকেই ছুঁয়ে যাবেন। সমস্ত ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এমন উদ্যোগ বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

যদিও রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন এই সংহতি মিছিলে বড় বিশৃঙ্খলার হতে পারে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর সংহতি মিছিল পিছিয়ে দেওয়া হোক। আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে এই মিছিলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগেরও আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু। যদিও বিরোধী দলনেতার দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অতএব 22 তারিখের সংহতি মিছিল নিয়ে আর কোনও বাধা নেই। আদালতের তরফ থেকে অবশ্য নির্দিষ্ট কিছু সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশ, সকাল 11টা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে মিছিল করতে হবে। একই সঙ্গে মিছিলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশ। তবে মিছিল বা সভা থেকে কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা যাবে না। মিছিল এমনভাবে করতে হবে যাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না-হয়। আদালতের ছাড়পত্র পাওয়ার পর খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের হাসি চওড়া হয়েছে। এই অবস্থায় বাইশের কর্মসূচি সম্পর্কে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতা বইমেলা উদ্বোধন করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি ঘরোয়া আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 22 তারিখ দুপুর তিনটে নাগাদ কালীঘাট মন্দিরের আরতিতে যোগ দেবেন। সেখান থেকে তিনি সরাসরি চলে আসবেন হাজরা মোড়ে ৷ মিছিল শুরু হওয়ার পর তিনি মোটরবাইকে করে পৌঁছে যাবেন গুরুদ্বারাতে। সেখানে চাদর চড়াবেন। সরাসরি চলে আসবেন বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে। এরপর বাকি রাস্তাটা পায়ে হেঁটেই যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে পার্ক সার্কাস যাওয়ার পথে একটি মসজিদ এবং একটি গির্জা রয়েছে। এই দুটি জায়গাতেই যাবেন মমতা।

সব ধর্মকে সম্মান জানিয়ে মিছিল শেষ হবে পার্কসার্কাস ময়দানে। সেখানে একটি ছোট সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁর মিছিলের উদ্দেশ্য কোনও কিছুর বিরোধিতা বা প্রতিবাদ করা নয়। সব ধর্মকেই সম্মান করেন তিনি ৷ সবাইকে নিয়ে চলার চেষ্টাও করেন। যেহেতু সব ধর্মকে নিয়ে সংহতি মিছিল এটা, তাই মন্দির-মসজিদ-গুরুদুয়ারা এবং চার্চ সবই ছুঁয়ে যাবেন তিনি। যথাযোগ্য সম্মান জানাবেন সব ধর্মকেই।

আরও পড়ুন

47তম কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন, 150-র টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছেন লেখক মমতা

আইনি জট কেটে পৃথক মহকুমা হল ধূপগুড়ি, ঘোষণা মুখ্য়মন্ত্রীর

তৃণমূলের মধ্যেই সম্প্রীতি নেই, তারা আবার করবে সম্প্রীতি মিছিল; কটাক্ষ দিলীপের

কলকাতা, 18 জানুয়ারি: 22 জানুয়ারি রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, ওই দিন কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে হাজরা মোড় থেকে মিছিল করবেন। এবার জানা গেল শুধু কালীঘাট মন্দির নয়, মিছিলের পথে সর্ব ধর্মের ধর্মস্থানকেই ছুঁয়ে যাবেন। সমস্ত ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এমন উদ্যোগ বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

যদিও রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন এই সংহতি মিছিলে বড় বিশৃঙ্খলার হতে পারে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর সংহতি মিছিল পিছিয়ে দেওয়া হোক। আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে এই মিছিলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগেরও আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু। যদিও বিরোধী দলনেতার দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অতএব 22 তারিখের সংহতি মিছিল নিয়ে আর কোনও বাধা নেই। আদালতের তরফ থেকে অবশ্য নির্দিষ্ট কিছু সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশ, সকাল 11টা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে মিছিল করতে হবে। একই সঙ্গে মিছিলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশ। তবে মিছিল বা সভা থেকে কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা যাবে না। মিছিল এমনভাবে করতে হবে যাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না-হয়। আদালতের ছাড়পত্র পাওয়ার পর খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের হাসি চওড়া হয়েছে। এই অবস্থায় বাইশের কর্মসূচি সম্পর্কে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতা বইমেলা উদ্বোধন করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি ঘরোয়া আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 22 তারিখ দুপুর তিনটে নাগাদ কালীঘাট মন্দিরের আরতিতে যোগ দেবেন। সেখান থেকে তিনি সরাসরি চলে আসবেন হাজরা মোড়ে ৷ মিছিল শুরু হওয়ার পর তিনি মোটরবাইকে করে পৌঁছে যাবেন গুরুদ্বারাতে। সেখানে চাদর চড়াবেন। সরাসরি চলে আসবেন বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে। এরপর বাকি রাস্তাটা পায়ে হেঁটেই যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে পার্ক সার্কাস যাওয়ার পথে একটি মসজিদ এবং একটি গির্জা রয়েছে। এই দুটি জায়গাতেই যাবেন মমতা।

সব ধর্মকে সম্মান জানিয়ে মিছিল শেষ হবে পার্কসার্কাস ময়দানে। সেখানে একটি ছোট সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁর মিছিলের উদ্দেশ্য কোনও কিছুর বিরোধিতা বা প্রতিবাদ করা নয়। সব ধর্মকেই সম্মান করেন তিনি ৷ সবাইকে নিয়ে চলার চেষ্টাও করেন। যেহেতু সব ধর্মকে নিয়ে সংহতি মিছিল এটা, তাই মন্দির-মসজিদ-গুরুদুয়ারা এবং চার্চ সবই ছুঁয়ে যাবেন তিনি। যথাযোগ্য সম্মান জানাবেন সব ধর্মকেই।

আরও পড়ুন

47তম কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন, 150-র টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছেন লেখক মমতা

আইনি জট কেটে পৃথক মহকুমা হল ধূপগুড়ি, ঘোষণা মুখ্য়মন্ত্রীর

তৃণমূলের মধ্যেই সম্প্রীতি নেই, তারা আবার করবে সম্প্রীতি মিছিল; কটাক্ষ দিলীপের

Last Updated : Jan 18, 2024, 9:34 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.