কলকাতা, 24 অক্টোবর: কালীপুজোর (Kali Puja) দিনে মহাসংকট ধেয়ে আসছে বাংলা এবং বাংলাদেশের (Cyclone Sitrang) দিকে । তাই বাড়িতে কালীপুজো থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) নজর থাকছে নবান্নে । নবান্নের আমলাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রেখে, তিনি পুরো পরিস্থিতির তদারকি করবেন ৷ প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন ৷
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সরাসরি আঁচ এসে লাগবে না বাংলায় । কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া দফতর । তবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা তথা দুই 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া ও কলকাতায় (Kolkata) ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে । একই সঙ্গে থাকবে ঝড়ো হাওয়ার দাপট । কোথাও কোথাও হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় 60 থেকে 80 কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে । এর প্রভাব সরাসরি এসে পড়তে পারে বাংলার মানুষের জনজীবনে । আর সেই কারণেই সতর্ক রাজ্য প্রশাসন ।
যদিও কালীপুজোর এই দিনটিকে প্রত্যেক বছর নিজের বাড়িতে মহাসমারোহে পালন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নিজের হাতে ভোগ রান্না থেকে শুরু করে পুজোর আয়োজন সবটাই করেন তিনি । কিন্তু এ বছর বিষয়টি আলাদা । বাংলার মানুষের দুশ্চিন্তা রয়েছে তাঁর মাথায় । তাই বাড়িতে বসেই ঝড়ের গতিপ্রকৃতি নজরদারি করবেন মুখ্যমন্ত্রী ।
যদিও কালীপুজোর দিন, তবু সক্রিয় নবান্ন (Nabanna) । রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক ভবন থেকেই গোটা পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালাবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী নিজে । প্রত্যেক জেলার জেলাশাসক কে তো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছেই । পাশাপাশি প্রভাব পড়তে পারে এমন ছ’টি জেলাকে চিহ্নিত করে 6 জন শীর্ষ আমলাকে এই ঝড় নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।
ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুম থেকে দক্ষিণ 24 পরগনায় বন ও প্রাণীসম্পদ দফতরের সচিব বিবেক কুমার, উত্তর 24 পরগনায় স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব মনীশ জৈন, হাওড়ায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডে, পশ্চিম মেদিনীপুরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সচিব সুরেন্দ্র গুপ্ত, হুগলিতে মত্স্য দফতরের সচিব অবনীন্দ্র সিং ও পূর্ব মেদিনীপুরে পর্যটন দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহনরা নজরদারি চালাবেন ।
আর এঁদের সবার মাথার উপরে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী । বাড়ির হাজার ব্যস্ততার মাঝেও তিনি ফোনে যোগাযোগ রাখবেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে নবান্ন সূত্রে ।
আরও পড়ুন: শক্তি আরও বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের, সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে প্রশাসন