কলকাতা, 5 নভেম্বর: জনসংযোগ বাড়াতে এবছর বিজয়া সম্মিলনীগুলিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের তরফে ৷ প্রত্যেক বিধানসভা ধরে ধরেই শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের বিজয়া সম্মিলনী পালন করছেন। একইসঙ্গে সাড়ছেন প্রয়োজনীয় জনসংযোগও । লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিজয়া সম্মিলনীকে জনসংযোগের একটা বড় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ছোট থেকে বড় সমস্ত নেতা ৷ দলের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করছেন এই বিজয় সম্মিলনীগুলিতে ৷ এই তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছেন না ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সোমবার বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে ৷ সামগ্রিকভাবে এই বিজয়া সম্মেলনী আয়োজনের দায়িত্ব যদিও দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যা ছ'টায় উত্তীর্ণ প্রেক্ষাগৃহে এই বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হবে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই উনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ।
এমনিতেই জনপ্রতিনিধিরা দুর্গাপুজোর পর বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেন। এটা কংগ্রেসী ঘরানার রাজনীতির দীর্ঘদিনের প্রচলিত অভ্যাস। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের প্রাক আবহে এবার বিজয়া সম্মিলনী গুলির বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ বিশেষ করে রাজ্যের শাসকদলের কাছে এই বিজয়া সম্মিলনীগুলির গুরুত্ব রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: সিপিআইএম রাজ্য কমিটিতে আমন্ত্রিত নতুন মুখ 3, সম্পাদক পরিবর্তন হচ্ছে মুখপত্রের
গত বছরও ভবানীপুর বিধানসভার তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতেউপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্থানীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ, শুভেচ্ছা বিনিময় সামান্য মিষ্টি মুখ এটাই ছিল সেই বিজয়া সম্মেলনীর মূল আলোচ্য বিষয় । কিন্তু এবারের এই বিজয়া সম্মিলনী থেকে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন সেই দিকেই নজর থাকবে সকলের ৷ এমনিতেই দুর্নীতি ইস্যুতে একের পর এক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে তৃণমূল ৷ এই ইস্যুতে ক্রমে সুর চড়াচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি ৷ এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেন সেই দিকে নজর থাকছে সকলের ৷