ETV Bharat / state

পুলিশি বিক্ষোভের জের, PTS-এ মুখ্যমন্ত্রী

আজ নবান্নে যাওয়ার পথে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে যান মুখ্যমন্ত্রী । সেখানে পৌঁছে কথা বলেন কয়েকজনের সঙ্গে । তারপর হাতে তুলে নেন মাইক । আশ্বস্ত করেন পুলিশকর্মীদের ।

aa
বিক্ষোভ
author img

By

Published : May 20, 2020, 3:19 PM IST

কলকাতা, 20 মে: বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন পুলিশকর্মীরা । আজ দুর্যোগের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছালেন পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে । কথা দিলেন সমস্ত দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখবেন ।

আজ নবান্নে যাওয়ার পথে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে যান মুখ্যমন্ত্রী । সেখানে পৌঁছে কথা বলেন কয়েকজনের সঙ্গে । তারপর হাতে তুলে নেন মাইক । আশ্বস্ত করেন পুলিশকর্মীদের । জানান, পুলিশকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হবে । মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কোরোনার ঝুঁকি নিয়ে যাঁরা পথে নেমে কাজ করছেন, সেই পুলিশকর্মীদের একটা সিডিউল থাকা উচিত । তাঁদের সংসার পরিবার আছে । তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা আমাদের দেখা উচিত । কোরোনায় যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের পরিবারের জন্য 10 লাখ টাকা করে বিমা করা হয়েছে । যা পুলিশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য । যেসব পুলিশকর্মী অসুস্থ হচ্ছেন তাঁরা এক লাখ টাকা করে পাচ্ছেন ।" মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমফানের দুর্যোগ কেটে গেলে তিনি পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে আবারও যাবেন । তখন পুলিশের সুবিধার্থে আর কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সেই বিষয়ে কথা বলবেন ।

PTS-এ মুখ্যমন্ত্রী

পাশাপাশি মমতা বলেন, "যদি একজন পুলিশ কনস্টেবলেরও কিছু হয়ে যায়, তবে তাঁকে সব থেকে বড় জায়গায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেয় সরকার । এমনকী তাঁদের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ট্রিটমেন্ট করানোর ব্যবস্থা করা হয় । তাঁদের পরিবারকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ।"

গতরাতে সাড়ে 10টা নাগাদ DC কমব‍্যাটের কাছে অভিযোগ জানাতে যায় একদল পুলিশকর্মী । তারপরেই শুরু হয় পুলিশি বিক্ষোভ । প্রায় 500 পুলিশকর্মী রাস্তায় নামেন । অবরুদ্ধ হয়ে যায় রাস্তা । সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে DC কমব্যাটকে শারীরিক নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে । এমনকী পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের অন্দরমহলে নাকি চালানো হয়েছে ভাঙচুর । গোটা বিষয়টি নিয়ে অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি লালবাজার । তবে রাতেই গোটা ঘটনার কথা জানানো হয় আধিকারিকদের । শোনা যাচ্ছে, লালবাজারের তরফে, অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে । পাশাপাশি, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খবর ।

গতরাতে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস রোডে অবস্থিত পুলিশ ট্রেনিং স্কুল চত্বরে এবং বড় রাস্তার উপরে বিক্ষোভ দেখান কমব্যাট বাহিনীর উত্তেজিত জওয়ানরা । তাঁদের মূল অভিযোগ, কোরোনা পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ছাড়াই অতিরিক্ত সময় ধরে ডিউটি করতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁদের সুরক্ষার কথা ভাবছেন না কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভ চলাকালীন দীর্ঘসময় ধরে জগদীশ বোস রোড এবং ডিএল খান রোড অবরোধ করে রাখেন জওয়ানরা । বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে ডেপুটি কমিশনার (কমব্যাট) নভেন্দর সিং পল শারীরিকভাবে নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ ওঠে । তবে তাঁর ও তাঁর দেহরক্ষীর আঘাত সামান্য। পলের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও তোলেন একাধিক জওয়ান। এছাড়াও কমব্যাট বাহিনীর জওয়ানদের বক্তব্য, সম্প্রতি বাহিনীর এক কর্মী কোরোনায় আক্রান্ত হন। তারপর আরও তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন । কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ । প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে না । এমনকী যথাযথ কোয়ারানটিন বিধি পর্যন্ত মানা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এর ফলে একের পর এক কর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন। যেহেতু ট্রেনিং স্কুলের ব্যারাক ছাড়াও কোয়ার্টারে বহু পুলিশকর্মী পরিবারসহ বাস করেন, সেহেতু নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেকেই।

গতরাতে উত্তেজিত জওয়ানদের শান্ত করতে ঘটনাস্থানে যান একাধিক IPS অফিসার সমেত পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্তা। প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা । জওয়ানদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে এবং সেই সংক্রান্ত ব্যবস্থাও দ্রুত নেওয়া হবে, এই আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ তুলে নেন কর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আপাতত ভাবছে না কলকাতা পুলিশ ।

কলকাতা, 20 মে: বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন পুলিশকর্মীরা । আজ দুর্যোগের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছালেন পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে । কথা দিলেন সমস্ত দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখবেন ।

আজ নবান্নে যাওয়ার পথে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে যান মুখ্যমন্ত্রী । সেখানে পৌঁছে কথা বলেন কয়েকজনের সঙ্গে । তারপর হাতে তুলে নেন মাইক । আশ্বস্ত করেন পুলিশকর্মীদের । জানান, পুলিশকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হবে । মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কোরোনার ঝুঁকি নিয়ে যাঁরা পথে নেমে কাজ করছেন, সেই পুলিশকর্মীদের একটা সিডিউল থাকা উচিত । তাঁদের সংসার পরিবার আছে । তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা আমাদের দেখা উচিত । কোরোনায় যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের পরিবারের জন্য 10 লাখ টাকা করে বিমা করা হয়েছে । যা পুলিশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য । যেসব পুলিশকর্মী অসুস্থ হচ্ছেন তাঁরা এক লাখ টাকা করে পাচ্ছেন ।" মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমফানের দুর্যোগ কেটে গেলে তিনি পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে আবারও যাবেন । তখন পুলিশের সুবিধার্থে আর কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সেই বিষয়ে কথা বলবেন ।

PTS-এ মুখ্যমন্ত্রী

পাশাপাশি মমতা বলেন, "যদি একজন পুলিশ কনস্টেবলেরও কিছু হয়ে যায়, তবে তাঁকে সব থেকে বড় জায়গায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেয় সরকার । এমনকী তাঁদের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ট্রিটমেন্ট করানোর ব্যবস্থা করা হয় । তাঁদের পরিবারকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ।"

গতরাতে সাড়ে 10টা নাগাদ DC কমব‍্যাটের কাছে অভিযোগ জানাতে যায় একদল পুলিশকর্মী । তারপরেই শুরু হয় পুলিশি বিক্ষোভ । প্রায় 500 পুলিশকর্মী রাস্তায় নামেন । অবরুদ্ধ হয়ে যায় রাস্তা । সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে DC কমব্যাটকে শারীরিক নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে । এমনকী পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের অন্দরমহলে নাকি চালানো হয়েছে ভাঙচুর । গোটা বিষয়টি নিয়ে অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি লালবাজার । তবে রাতেই গোটা ঘটনার কথা জানানো হয় আধিকারিকদের । শোনা যাচ্ছে, লালবাজারের তরফে, অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে । পাশাপাশি, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খবর ।

গতরাতে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস রোডে অবস্থিত পুলিশ ট্রেনিং স্কুল চত্বরে এবং বড় রাস্তার উপরে বিক্ষোভ দেখান কমব্যাট বাহিনীর উত্তেজিত জওয়ানরা । তাঁদের মূল অভিযোগ, কোরোনা পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ছাড়াই অতিরিক্ত সময় ধরে ডিউটি করতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁদের সুরক্ষার কথা ভাবছেন না কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভ চলাকালীন দীর্ঘসময় ধরে জগদীশ বোস রোড এবং ডিএল খান রোড অবরোধ করে রাখেন জওয়ানরা । বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে ডেপুটি কমিশনার (কমব্যাট) নভেন্দর সিং পল শারীরিকভাবে নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ ওঠে । তবে তাঁর ও তাঁর দেহরক্ষীর আঘাত সামান্য। পলের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও তোলেন একাধিক জওয়ান। এছাড়াও কমব্যাট বাহিনীর জওয়ানদের বক্তব্য, সম্প্রতি বাহিনীর এক কর্মী কোরোনায় আক্রান্ত হন। তারপর আরও তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন । কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ । প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে না । এমনকী যথাযথ কোয়ারানটিন বিধি পর্যন্ত মানা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এর ফলে একের পর এক কর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন। যেহেতু ট্রেনিং স্কুলের ব্যারাক ছাড়াও কোয়ার্টারে বহু পুলিশকর্মী পরিবারসহ বাস করেন, সেহেতু নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেকেই।

গতরাতে উত্তেজিত জওয়ানদের শান্ত করতে ঘটনাস্থানে যান একাধিক IPS অফিসার সমেত পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্তা। প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা । জওয়ানদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে এবং সেই সংক্রান্ত ব্যবস্থাও দ্রুত নেওয়া হবে, এই আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ তুলে নেন কর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আপাতত ভাবছে না কলকাতা পুলিশ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.