কলকাতা, 5 জুলাই: সংবাদ মাধ্যমে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিপিএম প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগে পটনায় বিরোধীদের বৈঠকে একসঙ্গে লড়াইয়ের ডাক দিলেও মঙ্গলবার সিপিএম এবং কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করলেন তিনি।
এদিন তিনি রাজ্যের কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতৃত্বের সমালোচনা করে বলেন, "সিপিএমটা বড্ড বেড়েছে। বেড়েছে মানে সংগঠন বাড়েনি। কুৎসা আর বাজে কথায় ওদের বড্ড বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। বেড়েছে দৃশ্য দূষণ, শব্দ দূষণে। আমরা বদলা নয় বদল চেয়েছিলাম। কিন্তু ওদের কী মুখের ভাষা! ওদের দেখলেই পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায়।"
সিপিএম আমলের সন্ত্রাসকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আজ যারা এসব (সন্ত্রাস) নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন ওদের আসল চেহারা তো আমি দেখেছি। আমি চমকাইতলা ভুলে যাইনি। চোখের সামনে নানুর, নন্দীগ্রাম, কেশপুর দেখেছি। আমরা যখন কংগ্রেস করতাম, তখন কর্মীদের হাত কেটে নেওয়া হত, যাতে হাত চিহ্নে ভোট দিতে না-পারে। আমরা সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম কিছুই ভুলিনি।"
জোট বৈঠকে যে নীতিগত অবস্থান নিয়েছিল কংগ্রেস এবং সিপিএম রাজ্যে তা না-মানার অভিযোগ তুলেছেন মমতা। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সিপিএম-কংগ্রেস যে কথা দিল্লিতে বলছে সেকথা রাজ্যেও ওদের মেনে চলা উচিত। ওদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিশ্চয়ই এতে বাহবা দেবে না। ওদের স্থানীয় নেতারা নিজেদের ভগবানের বাবা ভাবে। সাম্প্রদায়িকের কথা বলছে। এক এক জন তো এমন কথা বলছে যেন দেশটাকে ধ্বংস করে দেবে। ওদের মণিপুর দেখে শেখা উচিত। এমন কিছু না-বলা উচিত যাতে হিংসা ছড়ায়।"
আরও পড়ুন: 6 জুলাই অস্ত্রোপচার মমতার, তবে যোগ দেবেন বিরোধী জোটের বৈঠকে
একইসঙ্গে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছে, সিপিএমের কেউ যদি যেতেও পরদিনই তারা তৃণমূলে চলে আসবে, পঞ্চায়েতে এমন একটা সিস্টেম রয়েছে, জিতে কিছু করতে পারবে না। কারণ, সিপিএম তো দিল্লি থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাঠাবে না, খাদ্যসাথীর টাকা পাঠাবে না। তাহলে জিতে কী আর করবে!