কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর : বিজেপি তাঁকে হিংসা করে ৷ হিংসা থেকেই রোমে যেতে দিল না কেন্দ্র ৷ কলিন লেনে ভোটপ্রচারে এসে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মমতার রোম যাত্রার অনুমতি দেয়নি কেন্দ্র ৷ আজ নবান্নে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফে ৷ প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘উনি কোভ্যাক্সিন নিয়ে আমেরিকা গেলেন ৷ আর আমায় রোমে যেতে দিলেন না ৷’’
অক্টোবরের 6 এবং 7 তারিখে রোমে বিশ্ব শান্তি সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল । ইতালির একটি বেসরকারি সংগঠন ওই কর্মসূচির উদ্যোক্তা । তারা জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, পোপ এবং ইতালির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে । তাঁদের সঙ্গেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলা মুখ্যমন্ত্রী মমতাকেও । সেই বিষয়ে আজ মমতা বলেন, "বিশ্ব শান্তির জন্য রোমে মিটিং ছিল ৷ সেখানে জার্মানির চ্যান্সেলার যাবেন ৷ পোপ থাকবেন ৷ আমাকেও আমন্ত্রণ করা হয়েছিল ৷ ইতালি সরকার বিশেষ অনুমতি দিয়েছিল ৷ কিন্তু, তারপরেও যেতে দেওয়া হল না ৷ চিঠি পাঠিয়ে জানাল, কোনও মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেন না ৷ " মমতার কথায়, বিজেপি তাঁকে হিংসা করে ৷ তাই যেখানেই তিনি যান, সেখানেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয় ৷ অথচ বিজেপির নেতারা যেখানে খুশি যেতে পারে ৷ এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ালে তাদের সাত খুন মাফ ৷ চক্রান্ত করেই তাঁর যাওয়া আটকে দিল কেন্দ্র ৷
কোভ্যাক্সিন, মোদির আমেরিকার সফর আরও একবার তাঁর নিশানায় ৷ মমতা বলেন, "কোভ্যাক্সিনকে এখনও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি ৷ তাহলে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী কোভ্যাক্সিন নিয়ে আমেরিকা চলে গেলেন ? আমার বেলায় যত বাধা ৷ দেশের প্রতিনিধিত্ব করতেই যাচ্ছিলাম ৷ তাও আটকে দিল ৷ "
এদিন মমতার প্রচারে আরও একবার উঠে এল অসম, ত্রিপুরা ও উত্তরপ্রদেশ ৷ সেখানে যেভাবে অশান্তি হচ্ছে, অথচ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দেখা নেই ৷ আর বাংলায় কিছু না হলেও মানবাধিকার কমিশন এখানে চলে আসে ৷ প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসার তত্ত্বতলাশ করতে জুলাই মাসে রাজ্যে আসে মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল ৷
এনআরসি নিয়ে আরও একবার কেন্দ্রকে ঠুকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ স্পষ্ট করে ফের জানিয়ে দেন, বাংলায় এনআরসি করতে দেব না ৷ অসমে এনআরসি হয়েছে ৷ কিন্তু বাংলায় তা হবে না ৷ বাংলার মানুষ সুরক্ষিত ৷