কলকাতা, 29 মার্চ: আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে দিনভর ধরনায় চুপ ছিলেন । বিকেলে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিজেপি-সিপিআইএমের মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী । রাজ্যের বকেয়া না-পাওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি দেশজুড়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগেও বিঁধেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে । সর্বোপরি, কেন্দ্রের বিজেপিকে সরকারকে পরাস্ত করতে একযোগে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান করলেন তিনি (Mamata Banerjee slams BJP)।
একাধিক রাজ্যে বিরোধীদের ইডি-সিবিআই তদন্তের বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ঘরের মেয়েদের ডেকে পাঠাতে শুরু করেছে । তিন বছরের বাচ্চা আছে, অ্যারেস্ট করতে পারেন । সবাই চোর। আর তোমার বিজেপি সাধু। আমার এখানে সাত দফায় নির্বাচন । কর্ণাটকে এক দফায় । কি করে জিতবে ? এদের হারাতে হবে । দেশকে বাঁচাতে হবে । ওয়াশিং মেশিন হটাও, দেশ বাঁচাও । দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের জন্য এক কোটি বার ধর্নায় বসব ।"
মমতার অভিযোগ, মিডিয়াকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ধরনা না-দেখানোর । নতুন করে কোনও দয়ার সাগরের জন্ম হয়েছে । যারা মহিলাদের সম্মান দিতে পারে না । তাদের কাছ থেকে সংবিধান শিখতে হবে । কথায় কথায় ডাবল ইঞ্জিনের কথা বলেছিলেন । এদিনের ধরনা মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোর হুঁশিয়ারী, "আমি প্রধানমন্ত্রীর ঘরের পাশে গিয়েও ধরনায় বসতে পারি । সেই ক্ষমতা আমার আছে ।"
নাম না-করে শুভেন্দু অধিকারীকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "কোনও এক গদ্দারের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে মামলা করা যাবে না । সবে কথা বলতে শিখিয়ে ছিলাম । তিন-তিনবার মেদিনীপুরে জিতিয়েছিলাম । অখিল গিরির কাছেও হেরে গিয়েছিল । হাতে ধরে জিতিয়ে এনেছিলাম । দয়ার সাগরদের দেখা যায়নি । তোর ক'টা ঘর রে ? ক'টা পেট্রল পাম্প, ক'টা ট্রলার রে ? বিজেপির সব লোক খারাপ আমি এখনও মনে করি না । অটলজি'কে শ্রদ্ধা করতাম ।"
আরও পড়ুন: লাল-গেরুয়া-নীল-সাদার মিছিলে অবরুদ্ধ তিলোত্তমা, ভোগান্তি সাধারণ মানুষের