কলকাতা, 17 ডিসেম্বর: সংসদে অনুপ্রবেশ কাণ্ডের সঙ্গে বাংলার কোনও যোগ নেই ৷ রবিবার দিল্লি যাওয়ার আগে এমনই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ বকেয়া প্রাপ্য নিয়ে আওয়াজ তুলতেই তিনি দিল্লি যাচ্ছেন বলে এ দিন সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
সংসদে অনুপ্রবেশের ঘটনার মূল চক্রী ললিত ঝায়ের সঙ্গে বাংলার যোগ পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে ৷ সে প্রসঙ্গে মমতা এ দিন বলেন, "ললিত ঝায়ের কোনও বঙ্গ যোগ নেই, ওরা ঝাড়খন্ড বিহারে রয়েছে। সবসময় শুধু চেষ্টা বাংলার নামে কুৎসা আর অপপ্রচার করার । বাংলা কোনও অপরাধমূলক কাজকে প্রশ্রয় দেয় না ৷ ওটা খুবই গুরুতর একটা নিরাপত্তার গাফিলতার ঘটনা ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এটা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ আমরা চাই এর নিরপেক্ষ তদন্ত হোক ৷"
মমতার কথায়, তৃণমূল এই ঘটনায় সংসদে সরব হয়েছে বলেই রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে দলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে ৷ এছাড়াও কংগ্রেস ও ডিএমকে সাংসদদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷
রাজ্যের বকেয়া প্রাপ্য আদায়ে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তার আগে দমদম বিমানবন্দরে এ দিন ফের তিনি এই নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন ৷ বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আবাস থেকে স্বাস্থ্য - সব টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ বলছে, রাজ্যের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিও গেরুয়া করতে হবে ৷ সেটা কেন হবে ? রাজ্যের নিজস্ব একটা ব্র্যান্ড আছে - নীল-সাদা ৷ এটা কোনও দলের রং নয় ৷ সব জায়গায় দলের রং গেরুয়া করতে চাইছে বিজেপি ৷ এ সবের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতেই দিল্লি যাচ্ছি ৷"
এর আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য সাংসদ ও বিধায়করা রাজ্যের বকেয়া প্রাপ্য আদায়ে অনেক আন্দোলন করেছেন বলে এ দিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনিও এই দাবিতে 48 ঘণ্টার ধরনা করেছেন ও বিধানসভা চত্বরেও তাঁর দল ধরনা দিয়েছে ৷ তাই এ বার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করতেই তিনি দিল্লি যাচ্ছেন বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
উল্লেখ্য, আগামী 19 ডিসেম্বর বিরোধী দলগুলির জোট ইন্ডিয়ার বৈঠকে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আর তার পরের দিন অর্থাৎ 20 তারিখ তিনি দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ৷
আরও পড়ুন: