কলকাতা, 14 জুন : বিদ্যুৎ পরিষেবা সংশোধনী বিলের (2020) বিরোধিতা আগেই করেছিলেন । এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিদ্যুৎ পরিষেবা সংবিধানের যৌথ তালিকার অন্তর্ভুক্ত । কিন্তু রাজ্যগুলির সঙ্গে এই বিল নিয়ে কোনও আলোচনা না হওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন তিনি । চিঠিতে লিখেছেন, এই খসড়া বিদ্যুৎ বিল যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর বিরোধী । প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাই অবিলম্বে এই বিল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "আমি বাধ্য হলাম এটা জানাতে যে বিদ্যুতের সংশোধনী বিল, 2020-র খসড়া কোনও রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই করা হয়েছে । বিদ্যুৎ পরিষেবা সংবিধানের যৌথ তালিকার অন্তর্ভুক্ত । তাই এটা সংবিধান বিরোধী । কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত রাজ্যগুলির সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করা ।"
প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, উপভোক্তাকে প্রথমে বিদ্যুতের বিল মেটাতে হবে । তারপর ভর্তুকি বাদ দেওয়া হবে । কিছুটা রান্নার গ্যাসের মতো । এর বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, "প্রথমেই বিরাট অঙ্কের কোনও অর্থ সাধারণ মানুষের পক্ষে দেওয়া অসুবিধার । এতে বিদ্যুৎ বিল খেলাপির সংখ্যা বাড়বে । সাধারণের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ রাখাই অসুবিধার হয়ে যাবে ।"
চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লেখেন, "এই সংশোধিত বিল সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী । এটি কৃষকের স্বার্থ খর্ব করে । অমানবিকও বটে । যাঁরা শহরতলিতে বাস করেন এবং গ্রামাঞ্চলে থাকেন তাঁদের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত এই বিলের নিয়ম মেনে চলা সম্ভব নয় ।"
শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, বিদ্যুৎ পরিষেবা সংশোধনী বিলের প্রস্তাবে আপত্তি রয়েছে মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তেলাঙ্গানার মতো রাজ্যেরও । প্রত্যেকেই রাজ্যের অধিকার খর্বের অভিযোগ তুলেছে । এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-ও ।