কলকাতা, 13 মে: কর্ণাটক বিধানসভা ভোটে হার বিজেপির শেষের শুরু বলেও রাহুল গান্ধি বা কংগ্রেস প্রসঙ্গে 'স্পিকটি নট' রইলেন মমতা ৷ আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন, তার আগে সুকৌশলেই রাহুল গান্ধির বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন মমতা ? অনেকেরই দাবি, দেশীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের অন্দরে এবং বাইরে দ্রুত পট পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে সেই ইন্দিরা জমানা থেকেই, আর তা মাথায় রেখেই কি আগ বাড়িয়ে কংগ্রেস বা রাহুলকে এখনই কোনও কৃতিত্বের ভাগ দিতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো ?
শুক্রবার মমতাকে কর্ণাটক ভোটের জয়ে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধির প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তা সরাসরি এড়িয়ে যান ৷ এমনকী বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করা হলে, মুখ্যমন্ত্রী রীতীমতো উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, "বেঙ্গল থেকে বেঙ্গালুরু মানুষের রায়ে স্পষ্ট বিজেপির যাওয়ার সময় হয়েছে।"
লোকসভা ভোটে অ-বিজেপি দলগুলিকে এক ছাতার তলায় এনে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরির চেষ্টা করছেন মমতা ৷ সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের নেতৃত্বকেও অস্বীকার করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ৷ পাশাপাশি তিনি বারবারই সওয়াল করেছেন, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী সেখানে তারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে ৷ যদিও সে ফর্মুলা কাজ করেনি কংগ্রেসের জন্যই ৷ রাজনৈতিক মহলের দাবি, সেকারণেই এদিন বিজেপির পরাজয়ে যতটা উচ্ছ্বসিত দেখিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কংগ্রেসের জয়ে ততটাই বোধহয় তিনি যুগপৎ আতঙ্কিতও হয়েছেন ৷
কর্ণাটকের ভোটের ফল বেড়োতেই টুইট করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার কালীঘাটের বাড়িতে সলমন খানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভোটের ফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ফের একবার বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বলেন, "আমি মনে করি ঔদ্ধত্য, অহংকার, এজেন্সি পলিটিক্স এবং বিজেপির রুঢ়, স্বৈরাচারী রাজনীতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানুষের 'নো ভোট টু' বিজেপি শুরু হয়েছে । আমি জনগণকে কুর্নিশ জানাচ্ছি ।"
আরও পড়ুন: চলতি মাসের শেষে ফের দিল্লি যেতে পারেন মমতা
এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, কর্ণাটকের ভোটে উদ্ধত্য এবং অহংকারীর পরাজয় হয়েছে । বাংলা থেকে বেঙ্গালুরু বদল চাইছে মানুষ। স্বৈরতন্ত্রের দিন শেষ। এমনকী, 24-এ বিজেপি আর ক্ষমতায় ফিরবে না বলেও সাফ জানান মমতা ৷ তিনি বলেন, "আগামী দিনে যে ভোট রয়েছে সেখানেও এই ফলের পুনরাবৃত্তি দেখা যাবে | পরবর্তীতে ছত্রিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশের ভোট আছে। আমি নিশ্চিত সেখানেও বিজেপি হারবে। এই ভোটের ফল দিয়েই 24-এর হারের শুরু বিজেপির। এজেন্সিকে দিয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে।"