কলকাতা, 3 অক্টোবর: "সিঙ্গুরের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করেছি । আজও করবো" এভাবেই আজ গান্ধি মূর্তির পাদদেশের প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে সিঙ্গুরের সঙ্গে হাথরাসের ঘটনাকে মেলালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রসঙ্গত, বাম আমলে সিঙ্গুরে তাপসী মালিককে নির্যাতন করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা । অনেকটা একই রকম ভাব BJP শাসিত উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের নির্যাতিতার মৃত্যু নিয়েও পথে নেমে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো।
কোরোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে সেভাবে মিছিল-মিটিং করতে দেখা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । আজ দীর্ঘ ৭ মাস পর প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হলেন তিনি । হাথরাসের নির্যাতিতার মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজপথে ঝড় তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এ প্রসঙ্গে মমতার বক্তব্য, "কোভিড এখন গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়ে গেছে । মহামারীর আকার নিয়েছে। আমার কয়েকজন বিধায়ক মারা গেছে । তাঁদের জন্য কষ্ট হচ্ছে । সকলের সমস্যার কথা ভেবে মিটিং-মিছিল করছি না । কিন্তু বাধ্য হয়ে আজ করতে হল ।"
মমতা বুঝিয়ে দিলেন, সিঙ্গুরে নির্যাতিতার মৃত্যুর প্রতিবাদে যেভাবে সরব হয়েছেন, আজও একইরকম ভাবে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, "আমার মন পড়ে আছে উত্তরপ্রদেশের ওই গ্রামে। মনে হচ্ছে এখনই ওখানে ছুটে যাই । ডেরেক ও'ব্রায়েন, মমতাবালা ঠাকুর, প্রতিমা মন্ডল, কাকলি ঘোষ দস্তিদারদের ওখানে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছি । কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যথেষ্ট খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে । ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি সাংবাদিকদের সঙ্গেও খুবই খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে ।" সভামঞ্চে থেকে মমতা প্রশ্ন তোলেন “আজ UPতে যদি এমনটা হয় তাহলে কাল সারাদেশে কী হবে ?”