কলকাতা, 17 মার্চ: চলতি মাসে দুই দিনের ওড়িশা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee likely to meet Odisha CM)৷ ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজু জনতা দলের (বিজেডি) সভাপতি নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর । ওড়িশা সফরে গিয়ে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজোও দেবেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সভানেত্রী ৷
তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সূত্র জানিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 21 মার্চ সন্ধ্যায় ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে পৌঁছবেন এবং সেখানে রাত্রিযাপন করবেন । তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandyopadhyay) শুক্রবার জানিয়েছেন যে, 23 মার্চ নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷
তৃণমূল সূত্রে খবর, 22 মার্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Likely to Meet Odisha CM) পুরী যাবেন এবং সেখানে তিনি শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেবেন । 23 মার্চ বিজেডি প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata will offer prayers at Jagannath Temple)৷ তবে, দু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের বিষয়ে নবীন পট্টনায়েকের কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করে এখনও কিছু বলা হয়নি ৷
এক আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন যে, "এটা মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সফর ৷ 21 মার্চ তিনি রওনা দেবেন ৷ পরের দিন তিনি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেবেন ৷"
তবে সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নবীন পট্টনায়কের মধ্যে ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসকে ময়দানে না রেখেই আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে জোট গঠনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ নজরে এসেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের । সেই লক্ষ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমো নবীনের সঙ্গে দেখা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে ৷ এ দিকে, শুক্রবার বিকেলে সমাজবাদী পার্টির প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক দলগুলিকে সম্মান না দিয়ে বিগবসের মতো আচরণ কংগ্রেসের, অভিযোগ সুদীপের
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নবীন পট্টনায়েকের মধ্যে বৈঠক হলে তা দেশের বিরোধী রাজনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে ৷ নবীন পট্টনায়েক সর্বদা তাঁর ও তাঁর দলের একটি স্বতন্ত্র পরিচয় বজায় রেখে চলেন ৷ বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়ের সঙ্গেই সমান দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায় তাঁকে ৷ কোনও শিবিরের সদস্য হিসেবেই তাঁকে কখনও গলা তুলতে দেখা যায়নি ৷ এ দিকে, এ দিনও তৃণমূলের বৈঠকের শেষে কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে ৷ এই অবস্থায় বিরোধী বিকল্প গঠনে মমতা ও নবীনের এই বৈঠক কতটা কার্যকরী হয়, তার উত্তর দেবে সময় ৷