কলকাতা, 3 জুন: দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছন। এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাস্থলে রওনার উদ্দেশে ডুমুরজোলা স্টেডিয়ামে পৌঁছন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ডুমুরজলা হেলিপ্যাড থেকে কপ্টারে চড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বালাসোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ৷ যেহেতু এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু এবং আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বাংলার বাসিন্দাদের, তাই গতকাল ঘটনাস্থলে পৌঁছেই তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন জানিয়ে দেন আজ অর্থাৎ শনিবার বালাসোরে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই মতোই এদিন 10টা 40 মিনিট নাগাদ হাওড়া ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে বালাসোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে দুর্ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে করে তিনি যাবেন আহত রেল যাত্রীদের দেখতে হাসপাতালেও যাবেন। কথা বলবেন আহতদের সঙ্গে। আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় সব ধরনের সাহায্য ওড়িশা সরকারকে করবে রাজ্য সরকার। এই অবস্থায় তাঁর ওড়িশা উড়ে যাওয়ার সিদ্দান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: বালাসোরে দুর্ঘটনাস্থলে আজই যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
উল্লখ্য, শুক্রবার রাতে টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ওড়িশা সরকার এবং রেলের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন ৷ শুক্রবার রাতে মমতা টুইটে লিখেছিলেন, "শুক্রবার সন্ধ্যায় বালেশ্বরের কাছে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাত্রিবাহী শালিমার-করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। অনেকে গুরুতর জখম হয়েছেন। আমাদের রাজ্যের যাত্রীদের জন্য ওড়িশা সরকার এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে চলছি। জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোলরুমও চালু করা হয়েছে।" রেল দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত ওড়িশা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, মৃতের সংখ্য়া 238 ও আহতদের সংখ্য়া 900-র কাছাকাছি ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আশঙ্কা, উদ্ধারকাজ যত এগোবে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে।