ETV Bharat / state

Mamata Greets Governor Bose: দোলের পর রাজভবনে শুভেচ্ছা জানাতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী, আলোচনায় ডিএ-ধর্মঘট প্রসঙ্গ - মহার্ঘ ভাতা

বৃহস্পতিবার রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ দোলের শুভেচ্ছা জানাতেই তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে গিয়েছিলেন (Mamata Greets Governor Bose) ৷ তবে ডিএ (DA) ও ধর্মঘট প্রসঙ্গে দু’জনের মধ্য়ে আলোচনা হয়েছে খবর ৷

Mamata Greets Governor Bose
Mamata Greets Governor Bose
author img

By

Published : Mar 9, 2023, 8:32 PM IST

কলকাতা, 9 মার্চ: আচমকাই রাজভবনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে বেরিয়ে সরাসরি রাজভবনে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী । এরপর রাজভবনে তাঁর সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor CV Ananda Bose) প্রায় 40 মিনিট বৈঠক হয় । বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের পর প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সাক্ষাৎ হল এদিন ।

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনে রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে সম্পর্কে একটা শৈত্য লক্ষ্য করা গিয়েছে । আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কড়া বিবৃতির দেওয়ার পর এদিনই প্রথমবারের জন্য রাজভবনে এলেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি নিজেই জানিয়েছেন, এদিন তাঁর রাজভবনে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য গিয়েছিলেন । দোলের পর রাজ্যপালকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন তিনি । এরপর রাজভবন থেকে সরাসরি বিধানসভায় চলে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

সূত্রের খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাতে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলি বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে । এরমধ্যে যেমন রয়েছে মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) প্রসঙ্গ, একই সঙ্গে ছিল সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রসঙ্গও । জানা গিয়েছে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে রাজ্য সরকার কোনোভাবেই সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থ নিয়ে উদাসীন নয় । ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের বাধ্যবাধকতার কথাও তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে জানিয়েছেন । তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সরকারি কর্মচারীদের 105 শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে । রাজ্য সরকার যে ডিএ দিতে চায় না, এমনটাও নয় ।

প্রসঙ্গত, আগামিকাল শুক্রবার সরকারি কর্মচারীদের তরফ থেকে যে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে, তার একটা প্রধান ইস্যু হল এই মহার্ঘ ভাতা । সরকারি কর্মচারীদের দাবি, তাঁদের কেন্দ্রীয় সরকারের তুলনায় 38 শতাংশ কম মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হচ্ছে । জানা গিয়েছে, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এই মহার্ঘ ভাতার প্রসঙ্গ তোলেন রাজ্যপাল । এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাখ্যা করেছেন, সরকারি কর্মচারীরা যে দাবি করছেন তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের বক্তব্যের ফারাক কোথায় । একই সঙ্গে তিনি এই স্পষ্ট করেছেন রাজ্য সরকার ডিএ দিতে চায় । কিন্তু সমস্যা হল রাজ্যের হাতে এই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় অর্থ নেই । তাছাড়া এই মুহূর্তে এই ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিচারাধীন ।

একই ভাবে ধর্মঘট নিয়েও রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান বলে জানা গিয়েছে ৷ এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন 2011 সাল থেকেই এই সরকার ধর্মঘট নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে । কর্মনাশা ধর্মঘটকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না এই সরকার । আর সেই কারণেই ধর্মঘট (Strike on DA Issue) রুখতে সব ধরনের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করা হচ্ছে । একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামিকাল রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত খোলাই থাকবে ।

একই ভাবে এটাও জানা যাচ্ছে, নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরানোর পর রাজ্যপালের প্রধান সচিব হিসাবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তিনটি নাম পাঠানো হয়েছিল । তবে এই তিনটি নামের মধ্যে থেকে কাউকেই না-পসন্দ রাজ্যপালের । এদিন সেই বিষয়টিও রাজভবনে আলোচনা হয়েছে বলে খবর । জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আদালতের রায়ের কারণে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছিল, তা রাজ্যপালের সহযোগিতার কারণে সমাধান করা সম্ভব হয়েছে । এর জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে রাজ্যপালকে ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে । একই সঙ্গে এখনও বেশ কয়েকটি বিল রাজভবনে আটকে রয়েছে, সেগুলি যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়, তার জন্য অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

আরও পড়ুন: বিতর্কের মাঝেই সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক সহযোগিতার বার্তা রাজ্যপালের

কলকাতা, 9 মার্চ: আচমকাই রাজভবনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে বেরিয়ে সরাসরি রাজভবনে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী । এরপর রাজভবনে তাঁর সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor CV Ananda Bose) প্রায় 40 মিনিট বৈঠক হয় । বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের পর প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সাক্ষাৎ হল এদিন ।

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনে রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে সম্পর্কে একটা শৈত্য লক্ষ্য করা গিয়েছে । আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কড়া বিবৃতির দেওয়ার পর এদিনই প্রথমবারের জন্য রাজভবনে এলেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি নিজেই জানিয়েছেন, এদিন তাঁর রাজভবনে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য গিয়েছিলেন । দোলের পর রাজ্যপালকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন তিনি । এরপর রাজভবন থেকে সরাসরি বিধানসভায় চলে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

সূত্রের খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাতে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলি বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে । এরমধ্যে যেমন রয়েছে মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) প্রসঙ্গ, একই সঙ্গে ছিল সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রসঙ্গও । জানা গিয়েছে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে রাজ্য সরকার কোনোভাবেই সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থ নিয়ে উদাসীন নয় । ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের বাধ্যবাধকতার কথাও তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে জানিয়েছেন । তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সরকারি কর্মচারীদের 105 শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে । রাজ্য সরকার যে ডিএ দিতে চায় না, এমনটাও নয় ।

প্রসঙ্গত, আগামিকাল শুক্রবার সরকারি কর্মচারীদের তরফ থেকে যে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে, তার একটা প্রধান ইস্যু হল এই মহার্ঘ ভাতা । সরকারি কর্মচারীদের দাবি, তাঁদের কেন্দ্রীয় সরকারের তুলনায় 38 শতাংশ কম মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হচ্ছে । জানা গিয়েছে, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এই মহার্ঘ ভাতার প্রসঙ্গ তোলেন রাজ্যপাল । এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাখ্যা করেছেন, সরকারি কর্মচারীরা যে দাবি করছেন তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের বক্তব্যের ফারাক কোথায় । একই সঙ্গে তিনি এই স্পষ্ট করেছেন রাজ্য সরকার ডিএ দিতে চায় । কিন্তু সমস্যা হল রাজ্যের হাতে এই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় অর্থ নেই । তাছাড়া এই মুহূর্তে এই ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিচারাধীন ।

একই ভাবে ধর্মঘট নিয়েও রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান বলে জানা গিয়েছে ৷ এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন 2011 সাল থেকেই এই সরকার ধর্মঘট নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে । কর্মনাশা ধর্মঘটকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না এই সরকার । আর সেই কারণেই ধর্মঘট (Strike on DA Issue) রুখতে সব ধরনের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করা হচ্ছে । একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামিকাল রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত খোলাই থাকবে ।

একই ভাবে এটাও জানা যাচ্ছে, নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরানোর পর রাজ্যপালের প্রধান সচিব হিসাবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তিনটি নাম পাঠানো হয়েছিল । তবে এই তিনটি নামের মধ্যে থেকে কাউকেই না-পসন্দ রাজ্যপালের । এদিন সেই বিষয়টিও রাজভবনে আলোচনা হয়েছে বলে খবর । জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আদালতের রায়ের কারণে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছিল, তা রাজ্যপালের সহযোগিতার কারণে সমাধান করা সম্ভব হয়েছে । এর জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে রাজ্যপালকে ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে । একই সঙ্গে এখনও বেশ কয়েকটি বিল রাজভবনে আটকে রয়েছে, সেগুলি যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়, তার জন্য অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

আরও পড়ুন: বিতর্কের মাঝেই সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক সহযোগিতার বার্তা রাজ্যপালের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.