ETV Bharat / state

CAA: বিধানসভায় সিএএ নিয়ে ফের নিন্দা প্রস্তাব আনতে পারে রাজ্য সরকার - দিলীপ ঘোষ

গুজরাতে 1955 সালের আইন মোতাবেক নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে ফের প্রাসঙ্গিক হয়েছে সিএএ (CAA) ৷ এ রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগুর হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ সিএএ চালু করতে না দেওয়ার কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৷ এই পরিস্থিতি বিধানসভায় এই নিয়ে ফের নিন্দা প্রস্তাব আনতে পারে রাজ্য সরকার ৷

Mamata Banerjee Government may bring condemnation motion against CAA in West Bengal Assembly upcoming Winter Session
CAA: বিধানসভায় সিএএ নিয়ে ফের নিন্দা প্রস্তাব আনতে পারে রাজ্য সরকার
author img

By

Published : Nov 9, 2022, 8:25 PM IST

কলকাতা, 9 নভেম্বর: শীতকালীন অধিবেশনে (Winter Session) আবারও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (CAA) নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আসতে চলেছে রাজ্য বিধানসভায় । অন্তত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সূত্রে এমনটাই খবর ।

প্রসঙ্গত, গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানে নাগরিকত্ব দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতে আরও একবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে সিএএ নিয়ে আলোচনা । সেই জল্পনা আরও একধাপ উস্কে দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বক্তব্য । তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় না । গুজরাতের হিন্দুরা যখন নাগরিকত্ব পাচ্ছেন । নাগরিকত্ব পাবেন এ রাজ্যের উদ্বাস্তু হিন্দুরাও । রাজ্যে চালু হবেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ সিএএ ।

অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, জীবদ্দশায় তিনি রাজ্যে কোনোভাবেই সিএএ লাগু হতে দেবেন না । ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব চালু হলে, বহু সাধারণ মানুষ নাগরিকত্ব হারাতে পারেন । তৈরি হতে পারে বিশৃঙ্খলা । তাই কোনোভাবেই কেন্দ্রের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তিনি সমর্থন করেন না । তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক যারা ভোট দেন, যাঁদের আধার কার্ড, প্যান কার্ড আছে । তাঁরা সবাই নাগরিক । অতএব যাঁরা নাগরিক, তাঁদের নতুন করে নাগরিকত্বের প্রয়োজন কি !

শাসক এবং প্রধান বিরোধী দুই পক্ষের যুক্তি এবং প্রতি যুক্তির মধ্যে চলছে রাজনীতির পারদ । কোনও সন্দেহ নেই সেই রাজনীতি রাজপথের আঙিনা ছাড়িয়ে এবার আবার গিয়ে পৌঁছচ্ছে পরিষদীয় চৌহদ্দিতে । এখনও পর্যন্ত যা খবর, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রাজ্য বিধানসভায় সিএএ নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আসতে পারে । আর প্রথমবারের থেকে দ্বিতীয়বার এই আলোচনার আগেই বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে ।

কী সেই পরিবর্তন ? 2020 সালে এই সিএএ নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় 165-এ মোশন (Condemnation Motion) এনেছিল সরকার পক্ষ । তৎকালীন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ছিলেন এই মোশানের প্রস্তাবক । সেবার বিরোধী পক্ষে ছিল বাম এবং কংগ্রেস । বিজেপির (BJP) প্রতিনিধি হিসাবে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) উপস্থিত থাকলেও সেবার সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব রাজ্য বিধানসভায় পাস হয় ।

তবে এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেস (Congress) এবং বাম দলগুলির প্রতিনিধিত্ব শূন্য । বাম-কংগ্রেস জোটের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী । আর প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় অবশ্যই রয়েছে বিজেপি । এবার শীতকালীন অধিবেশনে তাই তৃণমূলের সিএএ নিয়ে নিন্দা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে একটা বিরোধী কণ্ঠ অবশ্যই শোনা যাবে রাজ্য বিধানসভায় ।

দল বদলুদের বাদ দিলেও এখনও সত্তর জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছেন বিজেপির সঙ্গে । সেক্ষেত্রে সিএএর পক্ষে তাদের যুক্তিও খুব একটা কম জোরালো হবে না । ফলে এই নিন্দা প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে বিধানসভার অন্দরে আবারও হইচই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের মত ।

সবচেয়ে বড় কথা, 2020 সালে যে সিএএ ইস্যু বড় বিতর্ক হিসেবে রাজ্য রাজনীতিতে দেখা গিয়েছিল, তা আবার 2022-এ এসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রাসঙ্গিক হতে শুরু করেছে । এখন দেখার এই রাজনৈতিক বিতর্কের লাভ শেষ পর্যন্ত শাসকের পক্ষে যায়, না বিপক্ষে !

আরও পড়ুন: 'আপনারা নাগরিক না হলে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হলেন কীভাবে' ! মতুয়াদের প্রশ্ন মমতার

কলকাতা, 9 নভেম্বর: শীতকালীন অধিবেশনে (Winter Session) আবারও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (CAA) নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আসতে চলেছে রাজ্য বিধানসভায় । অন্তত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সূত্রে এমনটাই খবর ।

প্রসঙ্গত, গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানে নাগরিকত্ব দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতে আরও একবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে সিএএ নিয়ে আলোচনা । সেই জল্পনা আরও একধাপ উস্কে দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বক্তব্য । তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় না । গুজরাতের হিন্দুরা যখন নাগরিকত্ব পাচ্ছেন । নাগরিকত্ব পাবেন এ রাজ্যের উদ্বাস্তু হিন্দুরাও । রাজ্যে চালু হবেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ সিএএ ।

অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, জীবদ্দশায় তিনি রাজ্যে কোনোভাবেই সিএএ লাগু হতে দেবেন না । ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব চালু হলে, বহু সাধারণ মানুষ নাগরিকত্ব হারাতে পারেন । তৈরি হতে পারে বিশৃঙ্খলা । তাই কোনোভাবেই কেন্দ্রের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তিনি সমর্থন করেন না । তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক যারা ভোট দেন, যাঁদের আধার কার্ড, প্যান কার্ড আছে । তাঁরা সবাই নাগরিক । অতএব যাঁরা নাগরিক, তাঁদের নতুন করে নাগরিকত্বের প্রয়োজন কি !

শাসক এবং প্রধান বিরোধী দুই পক্ষের যুক্তি এবং প্রতি যুক্তির মধ্যে চলছে রাজনীতির পারদ । কোনও সন্দেহ নেই সেই রাজনীতি রাজপথের আঙিনা ছাড়িয়ে এবার আবার গিয়ে পৌঁছচ্ছে পরিষদীয় চৌহদ্দিতে । এখনও পর্যন্ত যা খবর, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রাজ্য বিধানসভায় সিএএ নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আসতে পারে । আর প্রথমবারের থেকে দ্বিতীয়বার এই আলোচনার আগেই বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে ।

কী সেই পরিবর্তন ? 2020 সালে এই সিএএ নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় 165-এ মোশন (Condemnation Motion) এনেছিল সরকার পক্ষ । তৎকালীন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ছিলেন এই মোশানের প্রস্তাবক । সেবার বিরোধী পক্ষে ছিল বাম এবং কংগ্রেস । বিজেপির (BJP) প্রতিনিধি হিসাবে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) উপস্থিত থাকলেও সেবার সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব রাজ্য বিধানসভায় পাস হয় ।

তবে এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেস (Congress) এবং বাম দলগুলির প্রতিনিধিত্ব শূন্য । বাম-কংগ্রেস জোটের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী । আর প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় অবশ্যই রয়েছে বিজেপি । এবার শীতকালীন অধিবেশনে তাই তৃণমূলের সিএএ নিয়ে নিন্দা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে একটা বিরোধী কণ্ঠ অবশ্যই শোনা যাবে রাজ্য বিধানসভায় ।

দল বদলুদের বাদ দিলেও এখনও সত্তর জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছেন বিজেপির সঙ্গে । সেক্ষেত্রে সিএএর পক্ষে তাদের যুক্তিও খুব একটা কম জোরালো হবে না । ফলে এই নিন্দা প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে বিধানসভার অন্দরে আবারও হইচই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের মত ।

সবচেয়ে বড় কথা, 2020 সালে যে সিএএ ইস্যু বড় বিতর্ক হিসেবে রাজ্য রাজনীতিতে দেখা গিয়েছিল, তা আবার 2022-এ এসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রাসঙ্গিক হতে শুরু করেছে । এখন দেখার এই রাজনৈতিক বিতর্কের লাভ শেষ পর্যন্ত শাসকের পক্ষে যায়, না বিপক্ষে !

আরও পড়ুন: 'আপনারা নাগরিক না হলে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হলেন কীভাবে' ! মতুয়াদের প্রশ্ন মমতার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.