কলকাতা, 25 নভেম্বর: রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে (Government Hospitals) দালাল চক্রের (Tout Racket) দাপট নিয়ে এবার সরব হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ! তাও আবার বিধানসভার (West Bengal Assembly) অন্দরে ! শুক্রবার অধিবেশন (Winter Session) চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, "দালাল চক্রের হদিশ পেলেই দ্রুত জেলা পুলিশকে জানান ৷ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিন ৷ আমি যদি আমার মোবাইল থেকে নজরদারি চালাতে পারি, তাহলে স্বাস্থ্য দফতর পারবে না কেন !"
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে দালালদের উপদ্রবের অভিযোগ নতুন কিছু নয় ৷ সমস্যা মোকাবিলায় এদিন কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, দালালদের গতিবিধি রুখতে প্রয়োজনে নজরদারি আরও পোক্ত করতে হবে ৷ তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরায় আরও বেশি করে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেন মমতা ৷ বলেন, শুধুমাত্র দালাল চক্র বন্ধ করা নয়, সেইসঙ্গে হাসপাতালে এসে রোগীরা ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা, তার উপরেও নজরদারি চালাতে হবে ৷ এই সমস্ত 'ভিস্যুয়াল' তথ্যের একটি তথ্যভাণ্ডার বা 'ডেটাবেস' তৈরি করারও নির্দেশ দেন মমতা ৷ সরাসরি স্বাস্থ্য দফতরকে বিষয়টি পরিচালনা করতে বলেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: 'জঙ্গলের অধিকার জঙ্গলের বাসিন্দাদের হাতেই সুরক্ষিত', বিধানসভায় বললেন মমতা
একইসঙ্গে, এদিন রাজ্যের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও বেশ কিছু মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বুঝিয়ে দেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে তিনি বিন্দুমাত্র আপস করতে রাজি নন ৷ মমতা বলেন, "রোগী হাসপাতালে এলে আগে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিন ৷ এমন অনেক হাসপাতাল আছে, যেখানে গেলেই আগে টাকা চায় ! সবাইকে আমি বলতে চাই, আগে চিকিৎসা দিন ৷ স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে রোগীকে পরিষেবা দিন ৷ যাঁরা এটা করবেন না, তাঁদের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে ৷"
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই সরকারি হাসপাতালে প্রসূতি 'রেফার' নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, রেফার-এর জন্য যদি কারও মৃত্যু হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে ৷ সেই হুঁশিয়ারির পর এদিন ফের একবার রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা, সরকারি হাসপাতালে দালালরাজ, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলির টাকার দাবির মতো বিষয়গুলি নিয়ে সরব হলেন তিনি ৷ ভোট মরশুমের আগে যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷