কলকাতা, 9 জানুয়ারি: মঙ্গলবার কলকাতার বাবুঘাটে গিয়ে গঙ্গাসাগর মেলার সূচনা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই গঙ্গাসাগর থেকে ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। জয়নগর, নবান্ন হয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে যান পিয়ারলেস হাসপাতালে। আচমকাই তাঁর কাছে রশিদ খানের মৃত্যুসংবাদ আসে। হাসপাতাল থেকে এদিন আউট্রাম ঘাটে আসেন মমতা। সেখান থেকেই গঙ্গাসাগর মেলার সূচনা করেন তিনি।
সাধারণত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষরা এই বাবুঘাটকে গঙ্গাসাগর তথা তাঁদের গন্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজ মনে করেন। আর সে কারণে সাগরে যাওয়ার আগে পুণ্যার্থীরা এখানে একরাত কাটান। প্রতিবছর সেখানে এসেই গুরুত্বপূর্ণ জনসংযোগ সারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এদিন এই মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্মরণ করিয়ে দিলেন ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। তিনি ও তাঁর দল সব ধর্ম-বর্ণ তথা সব শ্রেণিকে নিয়েই চলতে পছন্দ করেন। তাই সকলকেই তিনি সমানভাবে গুরুত্ব দেন।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, "আমার কাছে সাদা-কালো সবাই সমান ৷ গেরুয়া রং হল ত্যাগের। সাধারণত সাধুরাই এই রং ব্যবহার করেন তবে এই রংয়ের যেন অপব্যবহার না-হয়।" অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার সবকিছু গেরুয়া করে দিতে চাইছে। হাসপাতাল থেকে শুরু করে খেলার মাঠ সবেতেই গেরুয়া। এমনকী সরকারি প্রকল্পেও গেরুয়া রং করতে বলা হচ্ছে।" এদিন অবশ্য সরাসরি বিজেপি বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের প্রসঙ্গে তোলেননি তিনি ৷
শুধুমাত্র রংয়ের অপব্যবহার যাতে না-হয় সে কথাই তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে। এদিনের এই মঞ্চ থেকেও আরও একবার গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় স্বীকৃতি না-দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বারবার তিনি কেন্দ্রকে গঙ্গাসাগরের মেলাকে জাতীয় মেলা স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয় নিয়ে বললেও কর্ণপাত করেনি কেউ। তিনি নিজে এই নিয়ে বেশ কয়েকবার চিঠিও লিখেছেন তাও উদাসীন কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র কুম্ভমেলা-সহ অন্যান্য একাধিক মেলাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করলেও গঙ্গাসাগর মেলাতে একটি পয়সাও দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে যা কিছু করা হয় সবটাই করে রাজ্য সরকার, এমনটাই জানান মুখ্যমন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন: