কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর: জি-20 উপলক্ষে আগামী 9 সেপ্টেম্বর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু । নবান্ন সূত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এই নৈশভোজে যোগ দিতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর সেখানে গিয়ে তাঁর দেখা হতে পারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ৷
প্রসঙ্গত, এই নৈশভোজে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও একাধিক বিরোধী নেতা নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে । ফলে এই নৈশভোজকে কেন্দ্র করে আরও একবার বিরোধী নেতা-নেত্রীদের এক জায়গায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে । সবচেয়ে বড় কথা, এই নৈশভোজে জি-টোয়েন্টি বৈঠক উপলক্ষে উপস্থিত হতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ তাঁর সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর । সেই জায়গা থেকে এই বৈঠককে কেন্দ্র করে মমতা ও হাসিনার আরও একবার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে ।
যতদূর জানা যাচ্ছে, 9 সেপ্টেম্বর দিল্লি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তার পরের দিনই কলকাতায় ফিরে আসবেন তিনি । এখনও পর্যন্ত তাঁর যা সিডিউল তাতে দিল্লি থেকে ফিরেই তিনি স্পেনের উদ্দেশে রওনা হতে পারেন । আগামী 12 সেপ্টেম্বর তাঁর বিদেশ সফরে যাওয়ার কথা ৷ তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঝটিকা দিল্লি সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
আরও পড়ুন: মাদার অফ ডেমোক্রেসি প্রদর্শনীতে রাষ্ট্রনেতাদের স্বাগত জানাবে এআই অবতার
সবচেয়ে বড় কথা, গতকাল ধনধান্য অডিটোরিয়ামে দাঁড়িয়ে দেশের নাম বদল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতার পথ গ্রহণ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ৷ তারপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । কারণ জি-20 সামিটের নৈশভোজের নিমন্ত্রণপত্রে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে 'প্রেসিডেন্ট অফ ভারত' বলে লেখা হয়েছে । সেই আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে । এরপর এই নিয়ে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ।
তিনি বলেন, দেশের নাম বদলের চেষ্টা হচ্ছে । দেশের নাম বদলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না একা মোদি সরকার । এখানেই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে যায় গোটা বিষয়টি । যদিও নৈশভোজে যেহেতু বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা থাকবেন, তাই সেখানে হয়তো এই নিয়ে কোনও প্রতিবাদ হবে না ৷ কিন্তু আগামী দিনে কীভাবে দেশের নাম বদল নিয়ে প্রতিবাদ হয়, সেটাই এখন দেখার ।