কলকাতা, 3 অগস্ট: 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটেরই সরকার তৈরি হবে ৷ বৃহস্পতিবার নবান্নের সভাঘর থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এই কথাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর কথায়, ‘‘দিল্লিতে আমরা জিতব ৷ এর মানে ইন্ডিয়াই জিতবে ৷’’
এ দিন নবান্ন সভাঘর থেকে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তার পর কিছুক্ষণ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন৷ প্রথমেই অমিত শাহের একটি বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয় ৷ তখনই তিনি 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে ‘ইন্ডিয়া’-র জয় নিশ্চিত বলেই জানান ৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘‘এনডিএ-র কোনও গুরুত্ব নেই ৷ আমাদের ইন্ডিয়া জোট নতুন ৷ সারা দেশে এর উপস্থিতি রয়েছে ৷ ইন্ডিয়া জোটই সরকার গড়বে ৷’’
তার আগে অবশ্য আরও একবার তিনি বিরোধীদের এই জোট তৈরির কারণও ব্যাখ্যা করেন ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথায়, ইন্ডিয়া জোট দেশকে বিপর্যয়, সাম্প্রদায়িক হিংসা, বেকারত্বের হাত থেকে রক্ষা করতে তৈরি হয়েছে ৷ এর পর তাঁর সংযোজন, ‘‘ভারত আমাদের মাতৃভূমি ৷ আর এই ইন্ডিয়া জোট আমাদের মাতৃভূমির জন্য ৷’’
আরও পড়ুন: ভারত জিতবে, আমাদের সেই শক্তি ও বিশ্বাস আছে : মমতা
বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএম হ্যাকের অভিযোগ: বিজেপির বিরুদ্ধে ফের ইভিএম হ্যাক করার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর মতে, 2024 সালে লোকসভা ভোট জিততে বিজেপি আবার সেই কৌশল নিতে পারে ৷
তিনি বলেন, ‘‘ওরা ইভিএম হ্যাক করার নানারকম ব্যবস্থা করছে ৷ আমাদের কাছেও কথাবার্তা এসেছে ৷ কিছু প্রমাণ পেয়েছি৷ কিছু খুঁজছি ৷ ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আলোচনা হবে ৷ আগে পরের বৈঠকের দিন জানাক ৷ তার পর বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হবে ৷’’
বিজেপির বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ: মমতার অভিযোগ, বিজেপি চিরকাল হিংসা করে ৷ ওটাই ওদের অভিধান ৷ হিংসা ছাড়া গতি নেই বলে বিজেপি মনে করে ৷
একই সঙ্গে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে গেরুয়া রংকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন ৷ মমতার কথায়, সবকিছুকে গেরুয়া বানিয়ে দেবে ৷ মেট্রো স্টেশনগুলোকে আধা গেরুয়া করে দিয়েছে ৷ আধুনিকতার নামে গেরুয়া করার প্ল্যান ৷
আরও পড়ুন: ভারত জিতবে, আমাদের সেই শক্তি ও বিশ্বাস আছে : মমতা
সারা দেশ গেরুয়া হয়ে গেলে অন্য রংগুলি কোথায় যাবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ৷ একই সঙ্গে বলেছেন, ‘‘গেরুয়া খুব পবিত্র রং ৷ এটাকে অত্যাচারের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করলে মানুষ গ্রহণ করবে না ৷’’