কলকাতা, 5 এপ্রিল: কোরোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। ফলে দিন আনি-দিন খাই মানুষের রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে । অনেকই অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এবার সেই সব মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এল মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (MAKAUT)। যা রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। MAKAUT কর্তৃপক্ষ যেমন নিজেদের উদ্যোগে চাল, ডাল, সয়াবিন, পেঁয়াজ ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী প্যাকেট করে বিতরণ করছে, অন্যদিকে তেমনই বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের কমিউনিটি কিচেনে রান্না করা খাবারও গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় লকডাউনে পরিস্থিতিতে এভাবেই অসহায়দের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
MAKAUT-এর রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ি বলেন, "যখন বাজারে স্যানিটাইজা়র প্রায় ছিল না। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে প্রায় 10 হাজার বোতল স্যানিটাইজার তৈরি করে বিলি করেছিল।"
MAKAUT-এর রেজিস্ট্রার জানান, লকডাউনের কারণে যেসব মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য 10 লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বরাদ্দ থেকে পাশাপাশি দু'টি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া ও যে সকল মানুষের রান্না করে খাওয়ায় মতো উপায় নেই তাঁদের কাছে রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া।
![MAKAUT distributing food](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-kol-01-makaut-distributing-food-to-economically-poor-peoples-and-families-7204411_05042020140124_0504f_1586075484_599.jpg)
পার্থপ্রতিম লাহিড়ি বলেন, "ফুড প্যাকেট বিতরণের বিষয়টিতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তারা যেখানে প্রয়োজন জানাচ্ছেন। সেই মতো আমরা খাবার পৌছে দিয়ে আসছি। এখনও পর্যন্ত 400 জনকে ফুড প্যাকেট বিতরণ করেছি। তাতে 2 কেজি চাল, 500 গ্রাম মুসুরির ডাল, 100 গ্রাম সোয়াবিন, হাফ কেজি পেঁয়াজ দেওয়া হয়েছে।"
এইসঙ্গে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিণঘাটার প্রধান ক্যাম্পাসে গত দু'দিন ধরে কমিউনিটি কিচেন চালানো হচ্ছে। সেখানে প্রতিদিন 250 জনকে দুপুরের খাবার দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দু'দিন দেওয়া হয়েছে খিচুড়ি ও সয়াবিনের তরকারি। আজ ডিমের ঝোল ভাত দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক, কর্মচারী, গবেষক ও কিছু পড়ুয়া, যাঁরা স্থানীয় বা হস্টেলে থাকেন তাঁরাই এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত।
MAKAUT-এর রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ির কথায়, "আমরা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করছি. মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই। যখন টেকনোলজি নিয়ে পৌঁছানোর প্রয়োজন পড়বে তখন টেকনোলজি নিয়ে পৌঁছাব। আপাতত ত্রাণ নিয়ে পৌঁছাচ্ছি।"