ETV Bharat / state

দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার কলকাতায় গাড়িতে চুরির "ঠকঠক” গ্যাংয়ের পান্ডা

দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হল কলকাতায় গাড়িতে চুরির "ঠকঠক” গ্যাংয়ের পান্ডাকে । নাম ভোলা দাস । সে দিল্লির ইন্দ্রপুরী এলাকার বাসিন্দা। জুন মাসে কলকাতার নামী স্বর্ণ ব্যবসায়ী শান্তনু চন্দ্রর গাড়িতে চুরির ঘটনায় যুক্ত ছিল ভোলা ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 5, 2019, 5:12 AM IST

কলকাতা, 5 জুলাই : নতুন প্যার্টানে চুরি ! সিগনালে কিংবা দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির জানালার কাছে “ ঠকঠক"। বলা হয়, গাড়ি থেকে মোবিল পড়ছে । কখনও আবার বলা হয় গাড়ির এয়ার কন্ডিশনের "কুলিং ওয়েল" রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে । কখন দরজা খুলে গাড়িতে বসা লোকটি তা পরীক্ষা করবে, সেই অপেক্ষায় থাকত তারা । শিকার গাড়ি থেকে নামলেই চূড়ান্ত দক্ষতায় মোবাইল ফোন, পার্স কিংবা ব্যাক নিয়ে চম্পট দিত ‌। কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে এই কায়দাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বহু । কলকাতা পুলিশ এই চক্রের নাম দিয়েছে "ঠকঠক গ্যাং" । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ওয়াচ সেকশনের তৎপরতায় শেষমেশ দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই গ্যাংয়ের পান্ডাকে । তাকে কলকাতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে ।

ঘটনাটি জুন মাসের শুরুর দিকের । কলকাতা পুলিশের কাছে খবর আসে, এ জে সি বোস রোড এবং শরৎ বোস রোডের সংযোগস্থানে একটি নামী গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্ণধার শান্তনু চন্দ্রর গাড়িতে চুরি হয় । নামী স্বর্ণ ব্যবসায়ী শান্তনু গাড়ি রেখে ছোট একটি কাজ সারতে গেছিলেন । ফিরে দেখেন খোয়া গেছে ব্যাগ । ব্যাগের মধ্যে 500 গ্রাম সোনা রাখা ছিল । যার বাজারমূল্য প্রায় 17 লাখ টাকা ছিল । তার গাড়িতে অবশ্য ঠকঠক করেনি কেউ । তড়িঘড়ি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী । CCTV ফুটেজ় খতিয়ে দেখে চোরের সন্ধান পায় তদন্তকারী লালবাজারের ওয়াচ সেকশন । কিন্তু চোর যে এই শহরের নয় তা প্রথমটায় বোঝা যায়নি ।

image
উদ্ধার হওয়া সোনা

পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই চোরের নাম ভোলা দাস । সে দিল্লির ইন্দ্রপুরী এলাকার বাসিন্দা । দিল্লিতেই মদনগিড় এলাকা থেকে তাকে অবশেষে পাকড়াও করেছে কলকাতা পুলিশ । জেরায় জানা গেছে, ভোলা ঠকঠক গ্যাংয়ের মাথা । সে এর আগে রবীন্দ্র সরোবরে মর্নিং ওয়াক করতে আসা ব্যক্তিদের থেকে ওই কায়দায় জিনিসপত্র চুরি করেছে । বালিগঞ্জে অতীতে ঘটিয়েছে একই ঘটনা । এই রাজ্য ছাড়াও মহারাষ্ট্র, দিল্লিতেও একই কায়দায় চুরি করেছে সে । ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শান্তনুর 250 গ্রাম সোনার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ । বাকি সোনা সে বিক্রি করে দিয়েছিল । তাকে কলকাতা আনার পর আদালতে পেশ করা হবে । পরে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে চক্রের অন্যদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেবে তদন্তকারীরা ।

কলকাতা, 5 জুলাই : নতুন প্যার্টানে চুরি ! সিগনালে কিংবা দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির জানালার কাছে “ ঠকঠক"। বলা হয়, গাড়ি থেকে মোবিল পড়ছে । কখনও আবার বলা হয় গাড়ির এয়ার কন্ডিশনের "কুলিং ওয়েল" রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে । কখন দরজা খুলে গাড়িতে বসা লোকটি তা পরীক্ষা করবে, সেই অপেক্ষায় থাকত তারা । শিকার গাড়ি থেকে নামলেই চূড়ান্ত দক্ষতায় মোবাইল ফোন, পার্স কিংবা ব্যাক নিয়ে চম্পট দিত ‌। কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে এই কায়দাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বহু । কলকাতা পুলিশ এই চক্রের নাম দিয়েছে "ঠকঠক গ্যাং" । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ওয়াচ সেকশনের তৎপরতায় শেষমেশ দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই গ্যাংয়ের পান্ডাকে । তাকে কলকাতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে ।

ঘটনাটি জুন মাসের শুরুর দিকের । কলকাতা পুলিশের কাছে খবর আসে, এ জে সি বোস রোড এবং শরৎ বোস রোডের সংযোগস্থানে একটি নামী গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্ণধার শান্তনু চন্দ্রর গাড়িতে চুরি হয় । নামী স্বর্ণ ব্যবসায়ী শান্তনু গাড়ি রেখে ছোট একটি কাজ সারতে গেছিলেন । ফিরে দেখেন খোয়া গেছে ব্যাগ । ব্যাগের মধ্যে 500 গ্রাম সোনা রাখা ছিল । যার বাজারমূল্য প্রায় 17 লাখ টাকা ছিল । তার গাড়িতে অবশ্য ঠকঠক করেনি কেউ । তড়িঘড়ি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী । CCTV ফুটেজ় খতিয়ে দেখে চোরের সন্ধান পায় তদন্তকারী লালবাজারের ওয়াচ সেকশন । কিন্তু চোর যে এই শহরের নয় তা প্রথমটায় বোঝা যায়নি ।

image
উদ্ধার হওয়া সোনা

পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই চোরের নাম ভোলা দাস । সে দিল্লির ইন্দ্রপুরী এলাকার বাসিন্দা । দিল্লিতেই মদনগিড় এলাকা থেকে তাকে অবশেষে পাকড়াও করেছে কলকাতা পুলিশ । জেরায় জানা গেছে, ভোলা ঠকঠক গ্যাংয়ের মাথা । সে এর আগে রবীন্দ্র সরোবরে মর্নিং ওয়াক করতে আসা ব্যক্তিদের থেকে ওই কায়দায় জিনিসপত্র চুরি করেছে । বালিগঞ্জে অতীতে ঘটিয়েছে একই ঘটনা । এই রাজ্য ছাড়াও মহারাষ্ট্র, দিল্লিতেও একই কায়দায় চুরি করেছে সে । ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শান্তনুর 250 গ্রাম সোনার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ । বাকি সোনা সে বিক্রি করে দিয়েছিল । তাকে কলকাতা আনার পর আদালতে পেশ করা হবে । পরে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে চক্রের অন্যদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেবে তদন্তকারীরা ।

Intro:কলকাতা, 5 জুলাই: রীতিমত নতুন ধারায় চুরি! সিগনালে কিংবা দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির জানালার কাছে “ ঠকঠক"। বলা হয়, গাড়ি থেকে মোবিল পরছে। কখনো আবার বলা হয় গাড়ির এয়ারকন্ডিশনের “কুলিন ওয়েল" রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। দরজা খুলে কাঁচ এ খবর পরীক্ষা করার অপেক্ষায় থাকত তারা। শিকার গাড়ি থেকে নামলেই চূড়ান্ত দক্ষতায় মোবাইল ফোন,মানি পার্স কিংবা ব্যাক নিয়ে চম্পট দিত ওরা‌। কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে এই কায়দাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বহু। কলকাতা পুলিশ এই চক্রের নাম দিয়েছে “ ঠকঠক গ্যাং“। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ওয়াচ সেকশনের তৎপরতায় এই গ্যাংয়ের অন্যতম পান্ডাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিল্লি থেকে। তাকে কলকাতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
Body:ঘটনা জুন মাসের শুরুর দিকের। কলকাতা পুলিশের কাছে খবর আসে, এ জে সি বোস রোড এবং শরৎ বোস রোডের সংযোগস্থলে এক ব্যবসায়ীর গাড়িতে হয়েছে চুড়ি। নামী স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিএম চন্দ্র জুয়েলার্সে্য কর্ণধার শান্তনু চন্দ্র অভিযোগকারী। শান্তনু উল্লেখিত স্থানে গাড়ি দেখে ছোট্ট একটু কাজ সারতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসেছিলেন কয়েক মুহূর্তেই। তার গাড়ি চালায় অবশ্য
ঠকঠক করেনি কেউ। কিন্তু গাড়িতে ফিরে তিনি আবিষ্কার করেন, খোয়া গেছে সঙ্গের ব্যাগ। তাতে ছিল 500 গ্রাম সোনা। যার বাজারমূল্য প্রায় 17 লাখ টাকা। তড়িঘড়ি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী। সিসিটিভি খতিয়ে দেখে চোরের সন্ধান পায় তদন্তকারী লালবাজারের ওয়াচ সেকশন। কিন্তু চোর যে এই শহরের নয় তা প্রথমটিয় বোঝা যায়নি। পরে হদিস পাওয়া যায় তার।
Conclusion:পুলিশ জানতে পারে, ওই চোরের নাম ভোলা দাস। সে দিল্লির ইন্দ্রপুরী এলাকার বাসিন্দা। দিল্লিতেই মদনগিড় এলাকা থেকে তাকে অবশেষে পাকড়াও করেছে কলকাতা পুলিশ। জেরায় জানা গেছে, ভোলা ঠকঠক গ্যাংয়ের মাথা। সে এর আগে রবীন্দ্র সরোবরে মর্নিং ওয়াক করতে আসা ব্যক্তিদের থেকে ওই কায়দায় জিনিসপত্র চুরি করেছে। বালিগঞ্জে অতীতে ঘটিয়েছে একই ঘটনা। এ রাজ্য ছাড়াও মহারাষ্ট্র, দিল্লিতেও একই কায়দায় চুরি করেছে সে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সান্তনু চন্দ্রর আড়াইশো গ্রাম সোনার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। বাকি সোনা সে বিক্রি করে দিয়েছিল। ধৃতকে কলকাতা এনে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে চক্রের অন্যান্যদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হবে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.