ETV Bharat / state

ভারত "ভাইয়ের বাড়ি", মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে মগ্ন সালাউদ্দিন

সেনাবাহিনীর বিজয়দিবসের মহড়া অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক মহম্মদ সালাউদ্দিন । মহড়া দেখতে দেখতে তাঁর স্মৃতিতে তখন বঙ্গবন্ধু, পাকিস্তানের গণহত্যা, ভোররাতে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে আগরতলায় পৌঁছে যাওয়ার মতো সমস্ত অভিজ্ঞতার কথা । নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথাই শোনালেন ETV ভারতকে ।

Mahammad Salauddin
মহম্মদ সালাউদ্দিন
author img

By

Published : Dec 15, 2019, 11:11 PM IST

Updated : Dec 16, 2019, 7:10 AM IST

কলকাতা, 15 ডিসেম্বর : সেনাবাহিনীর বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের মহড়া । রেসকোর্সের মাঠে তখন একের পর এক চপার নামছে, আবার উড়ান দিচ্ছে । যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী কী ভাবে হেলিকপ্টার এবং চপার ব্যবহার করে তারই মহড়া করে দেখানো হচ্ছিল । আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক মহম্মদ সালাউদ্দিন । মহড়া দেখতে দেখতে তাঁর স্মৃতিতে তখন বঙ্গবন্ধু, পাকিস্তানের গণহত্যা, ভোররাতে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে আগরতলায় পৌঁছে যাওয়ার মতো সমস্ত অভিজ্ঞতার কথা । নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথাই শোনালেন ETV ভারতকে ।

Bangladesh Freedom Fight
রেসকোর্সে সেনাবাহিনীর বিজয়দিবসের মহড়া

বর্তমানে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ সালাউদ্দিন । বয়স 60-এর গণ্ডি পেরিয়েছে । মুক্তিযুদ্ধেরও কেটে গেছে অনেকগুলো বছর । কিন্তু আজও তাঁর সেনা জীবনের স্মৃতি ফিকে হয়ে যায়নি । বিজয়দিবসের অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর তরফে আমন্ত্রণ পেয়ে তাঁর সেই স্মৃতি বার বার ফিরে আসছে । মুক্তিযুদ্ধের সময় কলেজে পড়াশোনা করছেন সালাউদ্দিন । কিন্তু স্বাধীনতার অপেক্ষায় মন তখন চঞ্চল । উদভ্রান্তের মতো দিকবিদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন । তারপরই এল সেই দিন । 1971 সালের 26 মার্চ । বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন শেখ মুজিবর । এই শেখ মুজিবরের বড় ছেলে শেখ কামালের সঙ্গেই ছাত্রজীবন কাটিয়েছেন সালাউদ্দিন । ঢাকা কলেজ থেকে পাস কোর্সে ডিগ্রি করেছেন দু'জনে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরকে সামনে থেকে দেখেছেন । অনুপ্রাণিত হয়েছেন ।

ভিডিয়োয় শুনুন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকের অভিজ্ঞতার কথা...

ETV ভারতের সঙ্গে কথা বলার সময় ভারতকে "ভাইয়ের বাড়ি" বলে সম্বোধন করলেন মহম্মদ সালাউদ্দিন । বলেন, "এটা নিজের দেশ । এসে ভালোই লাগছে । মনে হচ্ছে ভাইয়ের বাড়িতে ঘুরতে এসেছি ।" একইসঙ্গে CAA ও NRC প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এটা ভারতবর্ষের অভ্যন্তরীণ বিষয় । ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র । মানবতার জয় হোক, শুধু এটাই বলতে চাই । "

আজ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শুধু মহম্মদ সালাউদ্দিন আমন্ত্রিত ছিলেন না । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল । মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও । বাংলাদেশে থেকে আগত অতিথিদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি ।

কলকাতা, 15 ডিসেম্বর : সেনাবাহিনীর বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের মহড়া । রেসকোর্সের মাঠে তখন একের পর এক চপার নামছে, আবার উড়ান দিচ্ছে । যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী কী ভাবে হেলিকপ্টার এবং চপার ব্যবহার করে তারই মহড়া করে দেখানো হচ্ছিল । আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক মহম্মদ সালাউদ্দিন । মহড়া দেখতে দেখতে তাঁর স্মৃতিতে তখন বঙ্গবন্ধু, পাকিস্তানের গণহত্যা, ভোররাতে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে আগরতলায় পৌঁছে যাওয়ার মতো সমস্ত অভিজ্ঞতার কথা । নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথাই শোনালেন ETV ভারতকে ।

Bangladesh Freedom Fight
রেসকোর্সে সেনাবাহিনীর বিজয়দিবসের মহড়া

বর্তমানে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ সালাউদ্দিন । বয়স 60-এর গণ্ডি পেরিয়েছে । মুক্তিযুদ্ধেরও কেটে গেছে অনেকগুলো বছর । কিন্তু আজও তাঁর সেনা জীবনের স্মৃতি ফিকে হয়ে যায়নি । বিজয়দিবসের অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর তরফে আমন্ত্রণ পেয়ে তাঁর সেই স্মৃতি বার বার ফিরে আসছে । মুক্তিযুদ্ধের সময় কলেজে পড়াশোনা করছেন সালাউদ্দিন । কিন্তু স্বাধীনতার অপেক্ষায় মন তখন চঞ্চল । উদভ্রান্তের মতো দিকবিদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন । তারপরই এল সেই দিন । 1971 সালের 26 মার্চ । বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন শেখ মুজিবর । এই শেখ মুজিবরের বড় ছেলে শেখ কামালের সঙ্গেই ছাত্রজীবন কাটিয়েছেন সালাউদ্দিন । ঢাকা কলেজ থেকে পাস কোর্সে ডিগ্রি করেছেন দু'জনে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরকে সামনে থেকে দেখেছেন । অনুপ্রাণিত হয়েছেন ।

ভিডিয়োয় শুনুন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকের অভিজ্ঞতার কথা...

ETV ভারতের সঙ্গে কথা বলার সময় ভারতকে "ভাইয়ের বাড়ি" বলে সম্বোধন করলেন মহম্মদ সালাউদ্দিন । বলেন, "এটা নিজের দেশ । এসে ভালোই লাগছে । মনে হচ্ছে ভাইয়ের বাড়িতে ঘুরতে এসেছি ।" একইসঙ্গে CAA ও NRC প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এটা ভারতবর্ষের অভ্যন্তরীণ বিষয় । ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র । মানবতার জয় হোক, শুধু এটাই বলতে চাই । "

আজ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শুধু মহম্মদ সালাউদ্দিন আমন্ত্রিত ছিলেন না । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল । মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও । বাংলাদেশে থেকে আগত অতিথিদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি ।

Intro:রেসকোর্সের মাঠে তখন চপার নামছে। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে কিভাবে হেলিকপ্টার এবং চপার ব্যবহার করে সেনাবাহিনী তার মহড়া চলছিল সেনাবাহিনীর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে। এ দেশের অতিথি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক মহম্মদ সালাউদ্দিন তখন ফিরে গেছেন তার যৌবনের দিনগুলিতে। বঙ্গবন্ধু, পাকিস্তানের গণহত্যা, ভোররাতে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে আগরতলায় পৌঁছে যাওয়া। এসবই মনে পরছে ষাটোর্ধ্ব সালাউদ্দিনের। মুক্তিযুদ্ধের পর অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ সালাউদ্দিন‌।


Body:বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আজ। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বললেন। আকাশে তখন উড়ে বেড়াচ্ছে বায়ুসেনার প্যারাস্যুট। যুদ্ধ মোকাবিলায় কীভাবে দেশকে উদ্ধার করতে পারে প্যারাস্যুট সেই মহড়া চললো সারা দুপুর। এই দেশটা নিজের দেশ। মনে হয় যেন ঘুরতে এসেছি ভাইয়ের বাড়ি। ভারত সম্পর্কে অনুভূতি মুক্তিযুদ্ধের এক সৈনিকের। ঢাকার বাসিন্দা মহম্মদ সালাউদ্দিন বললেন," ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর গ্রেফতার হওয়ার আগেই শেষ বার্তা দিলেন আপামর বাংলাদেশবাসীর কাছে। এখনো ভাবলে শিহরণ জাগে। সেটাই ছিল মুজিবুর রহমানের শেষ বার্তা। নেতাজী বলেছিলেন, তোমরা রক্ত দাও আমি স্বাধীনতা দেব। বঙ্গবন্ধু নেতাজির তেইশ বছর পর বললেন রক্ত আরো দেব দেশ স্বাধীন করবো।'' মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে বলতে গলা ধরে আসছিল ষাটোর্ধ্ব সালাউদ্দিনের। তখন কলেজের ছাত্র সালাউদ্দিন। উদভ্রান্তের মতো দিকবিদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্বাধীনতার অপেক্ষায়। যুদ্ধের সময় অনেকেই কলকাতায় চলে এসেছিল সেই দিন‌। গণহত্যার পরের দিন অর্থাৎ ২৭ মার্চ ঢাকার থেকে বেশ কিছুটা দূরে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে আগরতলায় চলে এসেছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের সঙ্গে লেখাপড়া করেছেন সালাউদ্দিন। ঢাকা কলেজে পাস কোর্সে ডিগ্রী করেছেন দুজনে একই সঙ্গে। বঙ্গবন্ধুকে সামনে থেকে দেখেছেন। নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। শীতের বিকেলে সেনাবাহিনীর ময়দানে দাঁড়িয়ে আজ ছল ছল চোখে সেদিনের কথা বলছিলেন বৃদ্ধ সালাউদ্দিন।


Conclusion:নাগরিকপঞ্জি আইন ভারতবর্ষের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শুভাকাঙ্ক্ষী সালাউদ্দিন মুক্তি যুদ্ধের সৈনিক তিনি। নাগরিকপঞ্জি আইন নিয়ে কিছু বলতে চাইলেন না তিনি। কিছু না বলেও অনেক কথা বলে গেলেন, "বন্ধু রাষ্ট্রের মানবতার জয় হোক"।
Last Updated : Dec 16, 2019, 7:10 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.