কলকাতা, 18 ফেব্রুয়ারি : পর্ষদের কড়াকড়ি সত্ত্বেও রক্ষা হল না । মাধ্যমিকের প্রথম ভাষার পরীক্ষা শুরু হতেই সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে । কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রশ্নপত্রের দুটি পৃষ্ঠা বাইরে বেরিয়ে আসে ।
প্রথম অভিযোগটা আসে মালদা থেকে । অভিযোগ ওঠে বাংলার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে । মোবাইলে সেই প্রশ্নপত্রের দুটি পৃষ্ঠা ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় । কিন্তু পরীক্ষা চলায় সেগুলির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি ।
দুপুর 3টেয় পরীক্ষা শেষ হলে দেখা যায়, প্রশ্নপত্রের যে দুটি পৃষ্ঠার ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল তার সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের থেকে পাওয়া প্রশ্নপত্রের মিল রয়েছে ।
গত বছর পরপর মাধ্যমিকের ছ'টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছিল সোশাল মিডিয়ায় । তা রুখতে এবার শুরু থেকেই কড়া নজর রাখছিল পর্ষদ । রাজ্যের আটটি জেলার মোট 42টি ব্লকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ । নির্বাচিত ওই জায়গাগুলিতে প্রতিটি পরীক্ষার শুরু থেকে দু'ঘণ্টা করে অর্থাৎ বেলা 12টা থেকে দুপুর 2টো পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা ৷ কিন্তু তারপরও প্রশ্নপত্র বাইরে বেরিয়ে আসায় পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
এনিয়ে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে ETV ভারতের প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, "মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করুন"। ETV ভারতের প্রতিনিধি তাঁকে জানান যে দুপুর ১টা নাগাদ তাঁর কাছে প্রশ্নপত্র এসেছে । যেটি আসল প্রশ্নের সঙ্গে মিলে গেছে । তখন কল্যাণময়বাবু তাঁকে বলেন, "তাহলে আপনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সঙ্গে আছেন ৷ আমি সাইবার ক্রাইমকে আপনার নম্বরটা দিয়ে দিচ্ছি ৷"