কলকাতা, 30 জুন: সরকারি স্কুলের পাশাপাশি একাধিক বেসরকারি স্কুল রয়েছে যেগুলি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত । বর্তমানে সেই স্কুলের সংখ্যা 450টি । মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বেসরকারি স্কুল যারা পর্ষদ অনুমোদিত সিলেবাস ও বই না পড়ালে তাদের বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপের কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় । এমনকী বাতিল হতে পারে স্কুলের অনুমোদনও বাতিলের হুঁশিয়ারি পর্ষদের সভাপতির ৷
সরকারি স্কুলের পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলেও বহু পড়ুয়া ভর্তি হয় ৷ তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পর্ষদ । সরকার অনুমোদিত পাঠ্যবইগুলি স্কুল ছাড়া কোথাও পাওয়া যায় না । স্কুল থেকেই ওই বই সংগ্রহ করে পড়ুয়ারা । যাতে এই বইগুলোর দাম নিয়ে কোনও পড়ুয়াদের সমস্যা না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ।
শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্রের রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফল প্রকাশের সময় সভাপতি নিজেই এই বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন । পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত পর্ষদ অনুমোদিত সমস্ত বেসরকারি স্কুলগুলিকেই মানতে হবে পর্ষদ থেকে দেওয়া বই এবং পর্ষদের ঠিক করা পাঠ্যক্রম । এই পাঠ্যক্রম আদৌ পড়ানো হচ্ছে কি না, তা নিয়ে খোঁজ নিচ্ছে পর্ষদ । কারণ তাঁদের মনে হয়েছে বহু স্কুলই এই নিয়ম মেনে চলছে না । সেই বিষয়ে বহু স্কুল পর্ষদের সঙ্গে যোগাযোগও করেনি বলেই জানান সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় । এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা পর্ষদ অনুমোদিত বেসরকারি স্কুলগুলির নাম আপলোড করেছি । স্কুলগুলির কাছে অনুরোধ করেছিলাম তারা কী পড়াচ্ছে তা আমাদের জানাক । তবে 15-16টা স্কুল ছাড়া কেউ আর উত্তর দেয়নি । এর ফলে আমরা বাধ্য হব ওই সব স্কুলের পর্ষদ অনুমোদন তুলে নিতে ।"
আরও পড়ুন: রিভিউ ও স্ক্রুটিনির পর মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় রদবদল
পাশাপাশি আরও একটি নতুন নিয়মের কথা জানিয়ে দেন পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় । 2010 সালের নিয়ম অনুযায়ী পর্ষদের অনুমোদনের জন্য বরাদ্দ হত 500 টাকা । তবে এবার তা বেড়ে দাঁড়াল 2000 টাকা । এই নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনও বেসরকারি স্কুল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদন চায় তবে তার জন্য লাগবে 2000 টাকা । এমনকী যদি কোনও স্কুলের অনুমোদন শেষ হয়ে যায় তবে ফের অনুমোদন নিতে হলে সেই স্কুলকে দিতে হবে বর্ধিত টাকা । বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই প্রায় 13 বছর পর এই বদল আনতে হয়েছে বলেই জানান সভাপতি ।