কলকাতা, 21 জুলাই: আট মাস পর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পেল নতুন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য ৷ নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেরলের প্রাক্তন আইপিএস এম ওয়াহাবের নাম উপাচার্য হিসাবে শুক্রবার ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল। তারপরই আবার নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তত 10 বছরের অভিজ্ঞতা থাকা বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি বলেই অভিযোগ। যদিও রাজ্যপাল বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, আইন মেনেই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে।
রাজভবন সূত্রের দাবি, প্রাক্তন আইপিএস এম ওয়াহাব-এর প্রায় দশ বছর শিক্ষাঙ্গন চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। রাজভবনের বিজ্ঞপ্তিতেও আইন মেনে নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও একাংশের বক্তব্য, নিজের পছন্দমতো প্রাক্তন আইপিএস এম ওয়াহাবকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছেন সিভি আনন্দ বোস। এর আগে রাজ্যের আরও 11টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করে রাজভবন।
সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ওই 11টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে দায়িত্ব গ্রহণ না-করার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই আর্জি না-শুনে নিয়োগ প্রাপ্তরা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপরে তাঁদের বেতন দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। যা নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলাও হয়। আদালতেও পৌঁছে গিয়েছিল উপাচার্য নিয়োগ বিতর্ক। হাইকোর্টের রায় যায় রাজ্যপালের পক্ষে। তারপর একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্যের নাম ঘোষণা করে রাজভবন।
অন্যদিকে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তন আইপিএস অফিসারকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে অধ্যাপক সংহতি মঞ্চ । তাতে বলা হয়েছে, "এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য হিসেবে নিয়োজিত হচ্ছেন শিক্ষার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কহীন ব্যক্তিবর্গ।.. আমরা মনে করি, শিক্ষার সামগ্রিক বিকাশের ক্ষেত্রে এই ধারা অত্যন্ত বিপজ্জনক।...রাজ্যের রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মাননীয় আচার্য এই নিয়মকে সম্পূর্ণ লঙ্ঘন করে যে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে চলেছেন, তা অনভিপ্রেত। রাজ্য সরকার এবং মাননীয় রাজ্যপালের দ্বৈরথে শিক্ষা তথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গরিমাকে বিসর্জন দেওয়ার এই প্রবণতা প্রতিবাদযোগ্য।"