কলকাতা, 5 জুন : নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার বাঙালি ৷ জামাইষষ্ঠীতেও মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কতটা পড়েছে তা জানান দিচ্ছে শহরের মিষ্টির দোকানগুলি ৷ থরে থরে কাঁচের আলমারিতে রকমারি মিষ্টি সাজানো থাকলেও ক্রেতার দেখা নেই ৷ ফলে মিষ্টি বিক্রেতাদের রীতিমতো মাছি তাড়ানোর অবস্থা (Low Demand of Sweets in Jamai Sasthi) ।
বিগত দু'বছর করোনার জেরে অন্যান্য ব্যবসার মতো মার খেয়েছে মিষ্টি ব্যবসায়ীরাও । তাই এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই চেষ্টায় কোনও খামতি রাখতে চাননি তাঁরা । স্বাদের সঙ্গে কোনও আপোষ না-করে মিষ্টির রকমফেরে জামাইষষ্ঠীতে ক্রেতার মন পেতে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরি করেছেন তাঁরা । চমচম, ল্যাংচা, আম সন্দেশ, পান্তুয়া, রসগোল্লা, দরবেশ থেকে শুরু করে জামাইষষ্ঠী লেখা সন্দেশ, আমসত্ত্ব মিষ্টি কি না নেই ৷ এই দিন মিষ্টির পাশাপাশি চলে রকমারি নোনতাও । এছাড়াও রয়েছে আইসক্রিম সন্দেশ, মতিচুর ও বেসনের লাড্ডু, জলভরা সন্দেশ-সহ আরও অনেক কিছু ৷
আরও পড়ুন : Jamai Sasthi Special Sweet : শাশুড়ির জন্য জামাইয়ের হাতে ‘শাশুড়ি জিন্দাবাদ’ সন্দেশ
কিন্তু তাতেও ক্রেতার দেখা মিলছে কই ? শহরের এক মিষ্টির দোকানের কর্মী মানিক চন্দ্র পাত্র বলেন, "বাজার বেশ খারাপ । আগের মতো জামাইষষ্ঠীতে আর মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে না । জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও মিষ্টির দাম বাড়ানো হয়নি । তাতেও বিক্রি নেই ৷"
একই সুর আরেক মিষ্টির দোকানের কর্মচারী রেনুকা জানার গলাতেও ৷ তাঁর কথায়, "আমাদের দোকানে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে অনেকরকম মিষ্টি রয়েছে । তবে বাজার একেবারে মন্দা । দুধ ও ছানার দাম বাড়লেও আমরা কিন্তু মিষ্টির দাম বাড়াইনি । এমনিতেই বিক্রি নেই তার উপর যদি দাম বাড়ানো হয় তাহলে একেবারেই বিক্রি হবে না । কিন্তু দাম না বাড়িয়েও তো লাভ হচ্ছে না ৷"
আরও পড়ুন : Market Price : অগ্নিমূল্য সবজি থেকে ফল, জামাইবরণে মাথায় হাত গরিব-মধ্যবিত্তের