কলকাতা, 15 অক্টোবর : জলকামানে "বেগুনি রং" ব্যবহারে বিতর্ক এখনও তুঙ্গে । কোনওভাবেই এক বিন্দুও জমি ছাড়তে রাজি নয় রাজ্য BJP । তা স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছে তারা । অভিযোগ ছিল, ওই জলে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে । এবার দিল্লি পৌঁছাল তাদের অভিযোগ । অমিত শাহকে চিঠি দিলেন দলীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় । তাঁর দাবি, রাজ্যকে জানাতে হবে কী ধরনের জল সেইদিন ব্যবহার করা হয়েছিল ।
হুগলির BJP সাংসদ লকেট জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহকে আমি চিঠি পাঠিয়েছি । জলকামানে কী ধরনের রাসায়নিক রাজ্য ব্যবহার করেছিল, তা জানাতেই হবে । সেই রাসায়নিক থেকে ত্বকে ক্যানসারও হতে পারে বলে দাবি করেন লকেট ।
8 অক্টোবর BJP-র নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কলকাতা ও হাওড়া । পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা । সবরকমভাবে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশও । চলে জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল । লাঠিচার্জ করা হয় বলেও অভিযোগ । এখানেই বিতর্ক শেষ হয়ে যায়নি । সেইদিন BJP কর্মীদের উপর জলকামানে বেগুনি রঙের জল স্প্রে করা হয়েছিল ।
BJP-র প্রথম থেকেই অভিযোগ ছিল, সেইদিন ওই জলে মেশানো ছিল রাসায়নিক । রাসায়নিক জল কর্মীদের উপর স্প্রে করা হয় । অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় । মিছিল থেকেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । একইভাবে আরও অনেক কর্মী রাসায়নিক জলের জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ BJP-র ।
তবে রাজ্য রাসায়নিক মেশানো জলের অভিযোগ স্বীকার করেনি । তাদের দাবি ছিল, শুধুমাত্র রঙিন জল ব্যবহার করা হয়েছে । বিক্ষোভকারীদের শনাক্ত করার জন্যেই এই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য ।
থেমে যায়নি BJP । বারবার বুঝিয়ে দিয়েছে কোনওভাবেই এক বিন্দু জমিও তারা ছাড়বে না । তাদের অভিযোগ-বিক্ষোভ এখনও তীব্র । এইবার সেই অভিযোগ পৌঁছে গেল BJP-র কেন্দ্রীয়স্তরেও ।
নজরে '21, এবার ভার্চুয়ালি দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী
শাহকে চিঠি পাঠালেন লকেট চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন, " 8 অক্টোবর আমাদের নবান্ন অভিযানে শান্তিপূর্ণ মিছিল চলছিল । তার উপর পুলিশের লাঠিচার্জ করেছে । সেদিন পুলিশ জলকামানে রাসায়নিক মেশানো জল স্প্রে করেছিল । আমাদের বহু কর্মী এখনও হাসপাতালে । অনেকে ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন । আমাদের সন্দেহ, এটা ওই রাসায়নিকের প্রভাবেই হয়েছে । খুবই মারাত্মক ব্যাপার । ভবিষ্যতে ক্যানসারও হতে পারে । আমি তাই অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছি, কী ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে তা জানাক রাজ্য সরকার ।"
দিল্লি পর্যন্ত সেই অভিযোগ পৌঁছাল । একুশের নির্বাচনের আগে জমি শক্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে BJP । তাই কোনওভাবেই তারা রাজ্যকে ছেড়ে কথা বলবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ।