কলকাতা, 5 মে: পুলিশ দায়িত্ব নিতে চায়নি। দায়িত্ব নিতে চায়নি আবগারি দপ্তর। অথচ গতকালের অভিজ্ঞতা বলছে, মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব। সুরা-প্রেমীদের কোনওভাবেই সামাজিক দূরত্ব মানতে বাধ্য করা যায়নি। আর তাই কলকাতার পাঁচটি থানা এলাকায় আজ খুলল না মদের দোকান। ওই এলাকায় চলছে শুধুই হোম ডেলিভারি।
লকডাউনের মাঝে কেন্দ্রীয় সরকার কনটাইনমেন্ট জ়োন ছাড়া সর্বত্র মদের দোকান খোলার অনুমতি দেয়। আর তারপরই রাজ্য আবগারি দপ্তর মদের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে। তার জন্য অবশ্য রাখা হয়েছে বেশ কিছু গাইড লাইন। আবগারি দপ্তরের গাইডলাইন বলছে, মদের দোকানগুলিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মানতে হবে ছ'ফুটের দূরত্ব। মাস্ক না পরে গেলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মদ বিক্রি করা যাবে না। দোকানদারদের স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে টোকেন সিস্টেম চালু করা যেতে পারে। শপিং কমপ্লেক্সগুলিতে থাকা মদের দোকান খোলা যাবে না। খোলা যাবে শুধুমাত্র অফ শপ দোকান। দেশি মদের ক্ষেত্রেও অন শপ চালানো যাবে না। কিন্তু মদের দোকান খোলার পর থেকেই শিকেয় উঠেছে সামাজিক দূরত্ব । ঠেলাঠেলি করে দোকান থেকে মদ কিনতে শুরু করেছে মানুষজন ।
এই পরিস্থিতিতে গতকালের অভিজ্ঞতার পর বরানগর, নিউ ব্যারাকপুর, ঘোলা, খড়দা এবং টিটাগড় থানা এলাকার দোকানদাররা পুলিশের কাছে সাহায্য চান বলে খবর। ওই এলাকার এক খুচরো বিক্রেতা বলেন, "আমরা পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য। কিন্তু পুলিশ দায়িত্ব নিতে চায়নি। এক্ষেত্রে পুরো দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয় আমাদের কাঁধে। আমরা সেই দায়িত্ব নিতে অপারগ। তাই এই এলাকায় সব দোকানদার দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার বদলে আমরা হোম ডেলিভারি করছি ।"
গতকালই রাজ্য সরকার জানিয়ে দেয়, মদের হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে । যাতে ক্রেতাদের পা দোকানে না পড়ে, সেই ব্যবস্থা করা গেলে সবচেয়ে ভালো। এনিয়ে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে । উল্লেখ্য,এতদিন পর্যন্ত রাজ্যে অনলাইনে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ ছিল। শুধুমাত্র দোকান, বার, পাব কিংবা অনুমোদিত ক্লাবে পাওয়া যেত মদ।