কলকাতা, 17 জুলাই: ফুটপাথে একাধারে বিরাট দোকান। সামনে টেবিল চেয়ার পাতা। উপরে প্লাস্টিক দিয়ে ছাউনি করা। দোকানের ডালা সাজানো ভাত, ডাল, ভাজা, তরকারি, মাছের ঝোল, মাংস। সামনে টেবিল চেয়ারে বসে খাচ্ছেন লোকজন। হকারদের গ্রাসে পথচলতি মানুষের হাঁটাচলা করাই দায় ৷ তবে উদাসীন প্রশাসন ৷
এই ছবি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের উলটোদিকের ৷ সেখানে ফুটপাথজুড়ে চলছে দেদার হোটেল ব্যবসা। শুধু যে এখানেই শেষ তা নয় ৷ মূল রাস্তায় ট্রাম লাইনের ধারে পিচের উপর একের পর এক জ্বলছে উনুন। বড় বড় ড্রাম রাখা উচ্ছিষ্ট ও প্লেট ফেলার জন্য। হকারদের দাপটে পথ চলতি মানুষকে ফুটপাথ ছেড়ে যেতে হচ্ছে মূল রাস্তা দিয়ে। আর তার মধ্যে চলছে বাস, ট্যাক্সি, লরি। বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে মানুষজনকে। প্রতিদিন মানুষজন সমস্যার মুখে পড়লেও পৌর প্রশাসন থেকে টাউন ভেন্ডিং কমিটি, চোখ বন্ধ করে রয়েছে সকলেই। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন 40 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুপর্ণা দত্ত। তাঁর কথায়, "বেশ কয়েকবছর থেকে হকাররা নিয়ম মানছেন না। ফুটপাথ সবটা দখল করে ফেলেছে। মানুষজনকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে। আমি হকার তুলে দেওয়ার পক্ষে নয়। তাঁরা ব্যবসা করুক কিন্তু হকার আইন মেনে চলুক।"
তিনি আরও বলেন, "গড়িয়াহাট বা হাতিবাগানে হকারদের স্থায়ী স্টল করা হয়েছে ৷ সেভাবেই এখানে করা হোক ৷ এমন ব্যবস্থা করলে হকাররাও করে খেতে পারেন, আবার পথ চলতি মানুষের যাতায়াতে কোনও অসুবিধা হবে না।" উল্লেখ্য, শুধু কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ নয়, সামনেই কলেজ স্ট্রিটের বই পড়ার ফুটপাথের অবস্থাও একই ছবি। দোকানের সামনে বই রেখে ক্রমশ দখল হয়েছে ফুটপাথ। এই প্রসঙ্গে হকার পুনর্বাসন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পরিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার বলেন, "এই সমস্যা আগে এনআরএস হাসপাতালের সামনে ছিল। সেটা সরানো হয়েছে। এখানেও টিভিসিকে বলব তারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।"
আরও পড়ুন: আগুনে পুড়ল 8টি দোকান, দেড় কোটির ক্ষতি; রাত থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গাজোল