কলকাতা, 1 জুন: সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ৷ আর দলবদলের পরই তাঁর বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন করা হল । বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে । চিঠি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সৌম শুভ্র রায় । আবেদনে সাড়া না-পেলে মামলা করা ছাড়া উপায় থাকবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে । প্রসঙ্গত, সোমবার সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড'-এর ঘাটালের সভায় গিয়ে তিনি তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন বাইরন বিশ্বাস। পরে কংগ্রেস পার্টি অফিসে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে দেখা যায় তাঁকে । এরপর জল্পনা ছড়ায় বাইরন তৃণমূলে যোগদান করবেন। কারণ তাঁকে তৃণমূলে যোগদান করার জন্য লাগাতার চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে । যদিও বাইরন বিশ্বাস সেই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেন এবং পুলিশি নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সাগরদিঘির এই বিধায়ক । বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁকে একজন পুলিশের নিরাপত্তা দিতে রাজ্যকে নির্দেশ দেন ।
আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ বাইরন বিশ্বাসের, বিধানসভা ফের বাম-কংগ্রেস শূন্য
ইতিমধ্যে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল তাঁকে নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে ৷ যার কারণে তাঁর ব্যবসার কাজে সমস্যা হচ্ছে । মিথ্যা মামলা দিয়ে বাইরনকে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় । তারপরই 29 মে অভিষেকের হাত থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন বাইরন । তবে নির্বাচনে জেতার পর দলবদল করা এখন দেশের সঙ্গে সঙ্গে এ রাজ্যের রাজনীতিতে খুব একটা নতুন কিছু নয় । যদিও বাইরন বিশ্বাস দলবদলের পর তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ও অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী এর নিন্দা করেন ৷ তিনি মানুষের বিশ্বাসের অমর্যাদা করা বলে বিষয়টিকে উল্লেখ করেন । একইসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, বাইরন এর আগে বিজেপিতে যোগদানের উৎসাহ প্রকাশ করেছিলেন ।