কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি: "আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন বিরোধী শূন্য করার চেষ্টা করছে শাসক দল তৃণমূল । এই মনোভাব গণতন্ত্র বিরোধী!" এমনই অভিযোগ সমাজের বিশিষ্টদের একাংশের । পাশাপাশি নওশাদ-সহ 88 জনের মুক্তির দাবি করলেন তাঁরা । পবিত্র সরকার, সব্যসাচী চক্রবর্তী,অনীক দত্ত, চন্দন সেন,কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, বাদশা মৈত্র, দেবদূত ঘোষ, চন্দন সেন, অম্বিকেশ মহাপাত্র , মিরাতুন নাহার প্রমুখরা এই দাবিতে সরব হয়েছেন (Intellectuals stood in support for Nawsad Siddique)।
তাদের তরফে এক বিবৃতিতেই বলা হয়েছে যে, রাজ্যের তরুণ বিধায়কদের মধ্যে অন্যতম নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙর থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৷ তিনি আইএসএফ-র জনপ্রতিনিধি ৷ তাঁকে এবং শাসক দলের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত 88 জন মানুষকে একটির পর একটি মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করেছে রাজ্য প্রশাসন। রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক নানা অপবাদের শিকার করতে চাইছে । লক্ষ্য একটাই -আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে বিরোধী দলকে দূরে রাখা। যা সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে চরম অবমাননাকর এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক । এই মামলায় বন্দি থাকা মানুষদের মধ্যে বহু গ্রামীণ শ্রমজীবী, শিক্ষক, চাকুরিজীবী মানুষরা আছেন যাঁদের জীবন-জীবিকা এই ঘটনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । অবিলম্বে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ 88 জন আন্দোলনকারীর মুক্তির দাবি করা হয়েছে ।
অন্যদিকে, রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার দুর্গাচকে এক কর্মিসভায় আইএসএফের কার্যকরী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, "ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি, দলের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতি-সহ অন্যান্য নেতা ও কর্মীদের হাজতবাস প্রমাণ করছে তৃণমূল কংগ্রেস আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে । ফলে যেভাবেই হোক তারা নওশাদ সিদ্দিকিদের জেলে আটক রাখতে চাইছে । কিন্তু এটা যে ষড়যন্ত্র তা প্রমাণ হয়ে গেছে । আইনের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে ।"
আরও পড়ুন: নওশাদকে নিয়ে বয়ান বদল বিমানের, আইনেই আস্থা রাখলেন বিধানসভার স্পিকার
তিনি আরও বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই দুর্নীতি ও দূর্বৃত্ত দ্বারা পরিচালিত । এরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না । বিধানসভায় বিরোধী কন্ঠ রোধ করতেই নওশাদ সিদ্দিকিকে জেলে আটকে রাখছে। কিন্তু স্বৈরতন্ত্র শেষ কথা বলে না। মানুষ এর জবাব আগামী নির্বাচনগুলিতে দেবে ।" এই সভায় বক্তব্য রাখেন চিনাংশু গোস্বামী, শেখ বশীর-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । নওশাদ সিদ্দিকি-সহ অন্যান্য রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে একটি মিছিল এলাকা পরিক্রমা করে ।