ETV Bharat / state

Left Front Procession: 'পরিকল্পিতভাবে বিভেদ তৈরি করছে তৃণমূল-বিজেপি', প্রতিবাদে পথে বামেরা

সাম্প্রদায়িকতা ও বিভাজনের রাজনীতির প্রতিবাদ জানাতে পথে নামল বামফ্রন্ট ৷ শনিবার এই দাবিকে সামনে রেখেই কলকাতায় মিছিল করল তারা ৷

Left Front Procession in Kolkata for Communal Harmony
বামফ্রন্টের মিছিল
author img

By

Published : Apr 8, 2023, 7:16 PM IST

রাজপথে প্রতিবাদ

কলকাতা, 8 এপ্রিল: সাম্প্রদায়িকতা ও বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে সম্প্রীতির মিছিল করল বামফ্রন্ট ৷ শনিবার কলকাতার পার্ক সার্কাস থেকে মল্লিক বাজার, মৌলালি, পদ্মপুকুর হয়ে ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করে কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট ৷ সংগঠনের চেয়ারম্যান কল্লোল মজুমদার, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন দেব-সহ একাধিক বাম নেতা এদিনের এই সম্প্রীতির মিছিলে পা মেলান ৷ তাঁদের বক্তব্য, মানুষের জীবন, জীবিকার উন্নতি সাধনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকার কোনও কাজ করছে না ৷ উলটে মানুষ যখনই রুজিরুটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তখনই ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে ৷ মূল সমস্যাগুলি থেকে সকলের নজর ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ এই ধর্মীয় হানাহানির বিরুদ্ধে ঐক্যের বার্তা দিতেই এদিনের এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন মিছিলের উদ্যোক্তারা ৷ তাঁরা বলছেন, বামেরা বরাবরই এই কাজ করে এসেছেন ৷ ভবিষ্যতেও করবেন ৷

সম্প্রতি বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘিরে রাজ্য়ের নানা প্রান্তে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে ৷ এর জন্য রাজনৈতিক উস্কানির পাশাপাশি প্রশাসনিক গাফিলতিকেও দায়ী করছেন বামেরা ৷ তাঁদের প্রশ্ন, কেন ধর্মীয় উৎসবকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা হবে ? অনুপ্রবেশ কেন ঘটবে ধর্মীয় উৎসবে ? রামনবমীকে কেন্দ্র করে হাওড়া, হুগলিতে যে অশান্তি ছড়াতে পারে, তার আগাম খবর পেয়েও কেন ব্যবস্থা নিতে পারল না প্রশাসন ? এই ঘটনাকে সরকার পক্ষের 'ইচ্ছাকৃত গাফিলতি' বলে তোপ দেগেছেন বাম নেতাকর্মীরা ৷

সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, "গত 30 মার্চ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি চলছে ৷ অথচ, একটা সময় সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ঐতিহ্য ছিল ৷ সেই ঐতিহ্য এবং মানুষের একতা নষ্ট করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কিছু মানুষ ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে বাকি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ৷ সেই লক্ষ্য়েই বামফ্রন্ট পথ নেমেছে ৷"

আরও পড়ুন: শান্তি-সম্প্রীতির বার্তা দিতে হাওড়া ও হুগলিতে মহামিছিলের ডাক বামেদের

সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোম বলেন, "খাদ্য, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, বাসস্থান সবকিছুতেই নানা সমস্যা ৷ সেইসব সমস্যা নিয়ে জেরবার রাজ্যের মানুষ ৷ অথচ, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের সেদিকে কোনও হুঁশ নেই ৷ যখনই মানুষ এই সমস্ত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে, তখনই ধর্মীয় মেরুকরণের খেলায় নেমে পড়ে মোদি-দিদির দল ৷ এরা মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে ৷ কিন্তু, এটা পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি বা ঐতিহ্য নয় ৷ কয়েক বছর আগেও আমাদের রাজ্যে রামনবমী বা হনুমান জয়ন্তী নিয়ে এত মাতামাতি দেখা যায়নি ৷ সব মানুষই তার ধর্ম পালন করবে ৷ সেটাই স্বাভাবিক ৷ আমাদের তা নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই ৷ কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটবে কেন ? এটা দিল্লির সরকার এবং রাজ্য সরকারের পরিকল্পিত প্রকল্প ! এরা ধর্ম দিয়ে মানুষকে ভাগ করছে ৷ তার বিরুদ্ধেই লড়াইয়ে নেমেছে বামফ্রন্ট ৷"

রাজপথে প্রতিবাদ

কলকাতা, 8 এপ্রিল: সাম্প্রদায়িকতা ও বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে সম্প্রীতির মিছিল করল বামফ্রন্ট ৷ শনিবার কলকাতার পার্ক সার্কাস থেকে মল্লিক বাজার, মৌলালি, পদ্মপুকুর হয়ে ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করে কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট ৷ সংগঠনের চেয়ারম্যান কল্লোল মজুমদার, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন দেব-সহ একাধিক বাম নেতা এদিনের এই সম্প্রীতির মিছিলে পা মেলান ৷ তাঁদের বক্তব্য, মানুষের জীবন, জীবিকার উন্নতি সাধনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকার কোনও কাজ করছে না ৷ উলটে মানুষ যখনই রুজিরুটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তখনই ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে ৷ মূল সমস্যাগুলি থেকে সকলের নজর ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ এই ধর্মীয় হানাহানির বিরুদ্ধে ঐক্যের বার্তা দিতেই এদিনের এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন মিছিলের উদ্যোক্তারা ৷ তাঁরা বলছেন, বামেরা বরাবরই এই কাজ করে এসেছেন ৷ ভবিষ্যতেও করবেন ৷

সম্প্রতি বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘিরে রাজ্য়ের নানা প্রান্তে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে ৷ এর জন্য রাজনৈতিক উস্কানির পাশাপাশি প্রশাসনিক গাফিলতিকেও দায়ী করছেন বামেরা ৷ তাঁদের প্রশ্ন, কেন ধর্মীয় উৎসবকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা হবে ? অনুপ্রবেশ কেন ঘটবে ধর্মীয় উৎসবে ? রামনবমীকে কেন্দ্র করে হাওড়া, হুগলিতে যে অশান্তি ছড়াতে পারে, তার আগাম খবর পেয়েও কেন ব্যবস্থা নিতে পারল না প্রশাসন ? এই ঘটনাকে সরকার পক্ষের 'ইচ্ছাকৃত গাফিলতি' বলে তোপ দেগেছেন বাম নেতাকর্মীরা ৷

সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, "গত 30 মার্চ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি চলছে ৷ অথচ, একটা সময় সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ঐতিহ্য ছিল ৷ সেই ঐতিহ্য এবং মানুষের একতা নষ্ট করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কিছু মানুষ ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে বাকি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ৷ সেই লক্ষ্য়েই বামফ্রন্ট পথ নেমেছে ৷"

আরও পড়ুন: শান্তি-সম্প্রীতির বার্তা দিতে হাওড়া ও হুগলিতে মহামিছিলের ডাক বামেদের

সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোম বলেন, "খাদ্য, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, বাসস্থান সবকিছুতেই নানা সমস্যা ৷ সেইসব সমস্যা নিয়ে জেরবার রাজ্যের মানুষ ৷ অথচ, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের সেদিকে কোনও হুঁশ নেই ৷ যখনই মানুষ এই সমস্ত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে, তখনই ধর্মীয় মেরুকরণের খেলায় নেমে পড়ে মোদি-দিদির দল ৷ এরা মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে ৷ কিন্তু, এটা পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি বা ঐতিহ্য নয় ৷ কয়েক বছর আগেও আমাদের রাজ্যে রামনবমী বা হনুমান জয়ন্তী নিয়ে এত মাতামাতি দেখা যায়নি ৷ সব মানুষই তার ধর্ম পালন করবে ৷ সেটাই স্বাভাবিক ৷ আমাদের তা নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই ৷ কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটবে কেন ? এটা দিল্লির সরকার এবং রাজ্য সরকারের পরিকল্পিত প্রকল্প ! এরা ধর্ম দিয়ে মানুষকে ভাগ করছে ৷ তার বিরুদ্ধেই লড়াইয়ে নেমেছে বামফ্রন্ট ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.