কলকাতা , 5 জানুয়ারি : মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা । আজ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি । তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । হাওড়া জেলা সভাপতির পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন । তবে এখনই বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না তিনি । রাজনীতি থেকে অবসরের জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে ।
হাওড়া উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা । এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে জায়গা পান । দলে গুরুত্ব বাড়ছিল তাঁর । হাওড়া জেলার দুই মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরূপ রায়ের মধ্যে প্রবল মতানৈক্য তৈরি হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সামনে আনেন লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে । সেইসময় অরূপ রায়কে সরিয়ে হাওড়া জেলার সভাপতি করা হয় তাঁকে । তবে আজ মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের পাশাপাশি হাওড়া জেলার সভাপতির পদ থেকেও ইস্তফা দেন তিনি । যদিও, লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে নিয়ে জানুয়ারির একদম প্রথমদিন থেকে সন্দেহের মেঘ দানা বাঁধে । ওইদিন কদমতলা ঘাটে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি ।
হাওড়া জেলা নিয়ে রীতিমতো চাপের মধ্যে রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব । মাঝেমধ্যেই বেসুরো মন্তব্য করছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁকে বাগে আনতে রীতিমতো কাঠ-খড় পোড়াতে হচ্ছে দলকে । দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রশান্ত কিশোর ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় । জেলা সভাপতির পদ চলে যাওয়ায় দলের প্রতি মনোক্ষুন্ন হয়েছিলেন অরূপ রায় । মানভঞ্জনের জন্য তাঁর বাড়িতে যান প্রশান্ত কিশোর । বেসুরো মন্তব্য করছেন হাওড়ার আরও এক বিধায়ক বৈশালি ডালমিয়াও । হাওড়ার জটু লাহিড়ী, বাণী সিংহ রায়, রথীন চক্রবর্তীদের মতো নেতাদের নিয়েও রীতিমতো অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব । এরই মধ্যে আবার লক্ষ্মীরতন শুক্লার মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা অস্বস্তি আরও একধাপ বাড়িয়ে দিল ।
আরও পড়ুন, বিনয় মিশ্র ধরা পড়লে সিবিআই কালীঘাটে পিসির মন্দিরে পৌঁছে যাবে : সায়ন্তন বসু
শুধুমাত্র হাওড়া নয় । অনেকদিন ধরেই দলবদলের পালা চলছে তৃণমূলে । এর আগে শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন এবং পরে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন । দল ছাড়েন মিহির গোস্বামী ও আরও অনেক তৃণমূল বিধায়ক ও কর্মী । এবার লক্ষ্মীরতনের মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফার পরবর্তী পদক্ষেপ কি শুভেন্দু ঘটনারই পুনরাবৃত্তি দেখবে রাজ্য-রাজনীতি, উঠছে প্রশ্ন ।