ETV Bharat / state

Kolkata Police: মেয়ের জন্য কেন বয়েজ হস্টেল খুঁজলেন ইডির আধিকারিক, প্রশ্ন লালবাজারের

Unknown File Download Case: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে তল্লাশিতে গিয়ে মেয়ের জন্য হস্টেল খুঁজতে কিছু ফাইল ডাউনলোড করার অভিযোগ ওঠে এক ইডি আধিকারিকের বিরুদ্ধে ৷ কিন্তু ফরেনসিক পরীক্ষার পর দেখা যাচ্ছে ওই ফাইলগুলিতে শুধু বয়েজ হস্টেলের তথ্য রয়েছে ৷ তাই কলকাতা পুলিশের প্রশ্ন, মেয়ের জন্য কেন বয়েজ হস্টেল খুঁজলেন ইডির আধিকারিক ৷

Kolkata Police
Kolkata Police
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 15, 2023, 5:25 PM IST

কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার অফিসের একটি কম্পিউটারে 16টি ফাইল ডাউনলোড করার অভিযোগ ওঠে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বিরুদ্ধে ৷ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল কলকাতা পুলিশ৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই 16টি ফাইলে বয়েজ হস্টেল সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে ৷ কিন্তু ইডির তরফে দাবি করা হয়, তাদেরই এক আধিকারিক তল্লাশি চলার সময় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসের একটি কম্পিউটারে মেয়ের জন্য হস্টেল খুঁজছিলেন ৷ সেই সংক্রান্ত ফাইলই ডাউনলোড করা হয়েছিল ৷ লালবাজারের প্রশ্ন, মেয়ের জন্য বয়েজ হস্টেল কেন খুঁজছিলেন ওই আধিকারিক ?

সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা ৷ কলকাতা পুলিশ উত্তর খুঁজছে ৷ ইডির তরফেও এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি ৷ আর যে আধিকারিক এই ‘কাণ্ড’ ঘটিয়েছিলেন, তাঁকে ইতিমধ্যেই অসমের গুয়াহাটিতে বদলি করে দেওয়া হয়েছে ৷ ফলে পুরো বিষয়ে জট খোলার বদলে নতুন করে ধোঁয়াশা বাড়ল বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে ৷

উল্লেখ্য, গত মাসে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে ওই সংস্থার একাধিক অফিসে একই দিনে তল্লাশি চালায় ইডি ৷ তার মধ্যেই ছিল কলকাতার নিউ আলিপুর এলাকায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার একটি অফিস ৷ ইডির তল্লাশি অভিযান শেষ হয়ে যাওয়ার পর ওই সংস্থার তরফে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে একটি অভিযোগ জানানো হয় ৷ সেখানে দাবি করা হয়, তাদের সংস্থার একটি কম্পিউটারে ইডি 16টি অজ্ঞাত ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে ৷

এই নিয়ে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ ৷ যে ফাইলগুলিকে ডাউনলোড করা হয়, সেগুলি পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারে ৷ ইতিমধ্যে ইডির তরফে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে চিঠি দেওয়া হয় ৷ সেই চিঠিতেই জানানো হয় যে তদন্তের সময় ইডির এক আধিকারিক ওই ফাইলগুলি ডাউনলোড করেছিলেন ৷ তিনি মেয়ের জন্য হস্টেল খুঁজছিলেন ৷ তাই ফাইল ডাউনলোড করা হয় ৷

আরও পড়ুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ডাউনলোড হওয়া 16টি ফাইল দেখতে চাইল হাইকোর্ট

এদিকে কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার থেকে সম্প্রতি রিপোর্ট এসেছে কলকাতা পুলিশের কাছে ৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, 16টি ফাইলে বিভিন্ন হস্টেলের তথ্য রয়েছে ৷ সবক’টিই বয়েজ হস্টেল সংক্রান্ত তথ্য ৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে ওই আধিকারিক মেয়ের জন্য কেন বয়েজ হস্টেল খুঁজছিলেন ?

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ফাইল ডাউনলোড নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে সরাসরি ইডির বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিলেন ৷ কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার থেকে উঠে আসা তথ্য কি তাহলে অভিষেকের অভিযোগেই সিলমোহর দিচ্ছে, উঠছে প্রশ্ন ৷

যদিও কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্য়ে নির্দেশ দিয়েছে যে ওই 16টি ফাইল ইডি তদন্তে ব্যবহার করা যাবে না ৷ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে ইডি অভিযোগ করে যে তার পরও কলকাতা পুলিশ তাদের হেনস্তা করছে এই ঘটনার তদন্তকে কেন্দ্র করে৷ তাই রক্ষাকবচও চায় ইডি ৷

আরও পড়ুন: সক্রিয় লালবাজার, ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা লিপস অ্যান্ড বাউন্সের কর্মীকে তলব

এদিকে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে গিয়ে ফাউল ডাউনলোড যে ইডি আধিকারিক করেছিলেন, তাঁকে অসমের গুয়াহাটিতে বদলি করা হয়েছে ৷ ইডির দাবি, ওই ঘটনার সঙ্গে অফিসারের গুয়াহাটিতে কাজে যোগ দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই । দু’বছর আগেই ওই অফিসারের গুয়াহাটিতে বদলি হয়েছিল । আবার সেখানে পাঠানো হয়েছে তাঁকে । আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, কেন ওই আধিকারিককে ফের একবার গুয়াহাটিতে পাঠানো হল ?

কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার অফিসের একটি কম্পিউটারে 16টি ফাইল ডাউনলোড করার অভিযোগ ওঠে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বিরুদ্ধে ৷ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল কলকাতা পুলিশ৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই 16টি ফাইলে বয়েজ হস্টেল সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে ৷ কিন্তু ইডির তরফে দাবি করা হয়, তাদেরই এক আধিকারিক তল্লাশি চলার সময় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসের একটি কম্পিউটারে মেয়ের জন্য হস্টেল খুঁজছিলেন ৷ সেই সংক্রান্ত ফাইলই ডাউনলোড করা হয়েছিল ৷ লালবাজারের প্রশ্ন, মেয়ের জন্য বয়েজ হস্টেল কেন খুঁজছিলেন ওই আধিকারিক ?

সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা ৷ কলকাতা পুলিশ উত্তর খুঁজছে ৷ ইডির তরফেও এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি ৷ আর যে আধিকারিক এই ‘কাণ্ড’ ঘটিয়েছিলেন, তাঁকে ইতিমধ্যেই অসমের গুয়াহাটিতে বদলি করে দেওয়া হয়েছে ৷ ফলে পুরো বিষয়ে জট খোলার বদলে নতুন করে ধোঁয়াশা বাড়ল বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে ৷

উল্লেখ্য, গত মাসে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে ওই সংস্থার একাধিক অফিসে একই দিনে তল্লাশি চালায় ইডি ৷ তার মধ্যেই ছিল কলকাতার নিউ আলিপুর এলাকায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার একটি অফিস ৷ ইডির তল্লাশি অভিযান শেষ হয়ে যাওয়ার পর ওই সংস্থার তরফে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে একটি অভিযোগ জানানো হয় ৷ সেখানে দাবি করা হয়, তাদের সংস্থার একটি কম্পিউটারে ইডি 16টি অজ্ঞাত ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে ৷

এই নিয়ে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ ৷ যে ফাইলগুলিকে ডাউনলোড করা হয়, সেগুলি পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারে ৷ ইতিমধ্যে ইডির তরফে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে চিঠি দেওয়া হয় ৷ সেই চিঠিতেই জানানো হয় যে তদন্তের সময় ইডির এক আধিকারিক ওই ফাইলগুলি ডাউনলোড করেছিলেন ৷ তিনি মেয়ের জন্য হস্টেল খুঁজছিলেন ৷ তাই ফাইল ডাউনলোড করা হয় ৷

আরও পড়ুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ডাউনলোড হওয়া 16টি ফাইল দেখতে চাইল হাইকোর্ট

এদিকে কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার থেকে সম্প্রতি রিপোর্ট এসেছে কলকাতা পুলিশের কাছে ৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, 16টি ফাইলে বিভিন্ন হস্টেলের তথ্য রয়েছে ৷ সবক’টিই বয়েজ হস্টেল সংক্রান্ত তথ্য ৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে ওই আধিকারিক মেয়ের জন্য কেন বয়েজ হস্টেল খুঁজছিলেন ?

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ফাইল ডাউনলোড নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে সরাসরি ইডির বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিলেন ৷ কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার থেকে উঠে আসা তথ্য কি তাহলে অভিষেকের অভিযোগেই সিলমোহর দিচ্ছে, উঠছে প্রশ্ন ৷

যদিও কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্য়ে নির্দেশ দিয়েছে যে ওই 16টি ফাইল ইডি তদন্তে ব্যবহার করা যাবে না ৷ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে ইডি অভিযোগ করে যে তার পরও কলকাতা পুলিশ তাদের হেনস্তা করছে এই ঘটনার তদন্তকে কেন্দ্র করে৷ তাই রক্ষাকবচও চায় ইডি ৷

আরও পড়ুন: সক্রিয় লালবাজার, ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা লিপস অ্যান্ড বাউন্সের কর্মীকে তলব

এদিকে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে গিয়ে ফাউল ডাউনলোড যে ইডি আধিকারিক করেছিলেন, তাঁকে অসমের গুয়াহাটিতে বদলি করা হয়েছে ৷ ইডির দাবি, ওই ঘটনার সঙ্গে অফিসারের গুয়াহাটিতে কাজে যোগ দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই । দু’বছর আগেই ওই অফিসারের গুয়াহাটিতে বদলি হয়েছিল । আবার সেখানে পাঠানো হয়েছে তাঁকে । আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, কেন ওই আধিকারিককে ফের একবার গুয়াহাটিতে পাঠানো হল ?

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.