কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: গড়িয়াহাটে (Gariahat Cash Recovery) এক কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে হাওয়ালা যোগ (Hawala transactions)৷ সেই ইঙ্গিতই পাচ্ছেন কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর গোয়েন্দারা । তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, যে গাড়ি থেকে কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেই গাড়ির মালিক নিশীথ রায়ের নামে প্রায় 20 টি কোম্পানি রয়েছে । তবে এই 20টি কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগই ভুয়ো বা এগুলির প্রত্যেকটি সেল কোম্পানি বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা ।
এছাড়াও তদন্তে জানা গিয়েছে, নিশীথ রায়ের গড়িয়াহাটের কাছে একটি শপিংমলে অফিস রয়েছে । সেই অফিস মূলত শেয়ার কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, গোয়েন্দাদের অনুমান এই সব কোম্পানির নেপথ্যে কালো টাকা সাদাতে রূপান্তরের কাজ করতেন নিশীথ । ইতিমধ্যেই গড়িয়াহাটের ওই অফিসে হানা দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা । সেখান থেকে বেশকিছু নথিপত্র সংগ্রহ করেন তাঁরা ।
পুলিশ জানতে পেরেছে গতকাল গড়িয়াহাটের সামনে এক কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় নিশীথ রায়ের সরাসরি যোগ রয়েছে । জানা গিয়েছে, গতকালের উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে হাওয়ালার যোগ রয়েছে । সেই হাওয়ালার টাকা হাত বদল হয়ে অন্যত্র যাচ্ছিল । গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই নিশীথ রায়কে জেরা করে তদন্তকারীরা সল্টলেকের একজন ব্যবসায়ীর নাম জানতে পেরেছেন ।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কারণে এক কোটি টাকা পাচার ? তদন্তে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ
বৃহস্পতিবার রাতে গড়িয়াহাট থানার অন্তর্গত গড়িয়াহাট রোডে একটি গাড়ি থেকে নগদ এক কোটি টাকা উদ্ধার করেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা । এই ঘটনায় প্রথমে সংশ্লিষ্ট গাড়ি থেকেই দুজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে সেই গাড়ির মালিকের খোঁজ করা হলে বেরিয়ে আসে নিশীথ রায়ের নাম । নিশীথ রায়ের সঙ্গে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা ।