কলকাতা, 16 নভেম্বর: থানার ভিতরে ব্যবসায়ী অশোক সাউকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আমহার্স্ট স্ট্রিট চত্বরে ৷ এবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার 48 ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করল লালবাজার ৷ খতিয়ে দেখা হবে, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ঘটনার আগের দিন থেকে ঘটনার দিন পর্যন্ত কোন কোন ব্যক্তিরা এসেছিলেন ৷
গোটা ঘটনার তদন্তের নেতৃত্বে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল মুরলীধর শর্মা ৷ এছাড়াও লালবাজার ওই ঘটনার দিন থানায় উপস্থিত পুলিশ কর্তা ও কর্মীদের তালিকা তৈরি করেছে ৷ তদন্তকারী আধিকারিকরা ওই তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেক আধিকারিক, কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলবেন ৷ তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করা হবে ৷
এই ঘটনায় মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তারা পুলিশের কাছ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে পুলিশ তাদের সেই ফুটেজ দেখাতে অস্বীকার করে ৷ আর তাই মৃত ব্যবসায়ী অশোক সাউয়ের পরিবারের অভিযোগ, কেন পুলিশ তাদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে অস্বীকার করছে ? পুলিশ গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে ৷
এই বিষয়ে লালবাজারে কোনও আধিকারিক মুখ খুলতে চাননি ৷ তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, থানার যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা ভালোভাবে পরীক্ষা করবেন ৷ এছাড়া কোনও ব্যক্তিকে থানায় ডেকে পাঠাতে গেলে যে সব নিয়ম মেনে থানায় ডাকতে হয়, সেই সব নিয়ম আদৌ মানা হয়েছিল কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা ৷
ব্যবসায়ী অশোক কুমার সাউ 200 টাকার বিনিময়ে একটি মোবাইল ফোন কিনেছিলেন ৷ তবে সেটি চুরির মোবাইল বলে জানায় পুলিশ ৷ এরপর এই কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশন মনিটরিং সেলের তরফে অশোক সাউকে জানানো হয়, তিনি যেন স্থানীয় থানায় এসে ওই মোবাইলটি জমা দিয়ে দেন ৷
লালবাজার সূত্রে খবর, বিকেল 5টা 43 মিনিটে থানায় ঢোকেন অশোক সাউ ৷ 5টা 48 মিনিটে থানার বাইরে বেরিয়ে কাউকে ফোন করেন অশোক ৷ এরপর সন্ধ্যা 6টা 05 মিনিটে ফের থানার ভিতরে ঢুকে একজন পুলিশকর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন অশোক ৷ এরপর সন্ধ্যা 6টা 8 মিনিটে থানার এক ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি ৷ কিন্তু সন্ধ্যা 6টা 10মিনিটে ডিউটি অফিসারের ঘর থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে বের করা হয় ৷
আরও পড়ুন: