ETV Bharat / state

লকডাউন উঠলেও 100 দিনের কাজ অমিল, চাইলেই কাজ ; বলছে প্রশাসন - ১০০ দিনের কাজ

গত বছর 23 মার্চ থেকে গোটা দেশে লকডাউন জারি হয়। তারপর থেকে জমায়েত বা সম্মিলিত কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তাই স্বাভাবিকভাবে ধাক্কা খায় সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা। সব চেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন শ্রমিকরা। রাজ্যের সব চেয়ে বড় জেলা উত্তর 24 পরগনায় জেলার 22 টি ব্লকের বহু মানুষ সরকারি একশো দিনের কাজ প্রকল্পের উপর জীবিকা নির্বাহ করেন।

Special stroy on MNREGA from north 24 parganas
সরকারি ঘোষণা মতো মিলছে না একশো দিনের কাজ, অভিযোগ শ্রমিকদের
author img

By

Published : Jan 6, 2021, 10:07 PM IST

বারাসত, 6 জানুয়ারি : দীর্ঘ নয় মাসের লকডাউন শেষ হয়েছে। কিন্তু সরকারি ঘোষণামতো মিলছে না একশো দিনের কাজ। বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করছেন। যদিও প্রশাসনের দাবি, গ্রামে গ্রামে চলছে একশো দিনের কাজ। শ্রমিকরা আবেদন করলেই কাজ পাবেন।

গত বছর 23 মার্চ গোটা দেশে লকডাউন জারি হয়। তারপর থেকে জমায়েত বা সম্মিলিত কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তাই স্বাভাবিকভাবে ধাক্কা খায় সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন শ্রমিকরা। রাজ্যের সবচেয়ে বড় জেলা উত্তর 24 পরগনায় জেলার 22 টি ব্লকের বহু মানুষ সরকারি একশো দিনের কাজ প্রকল্পের উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ওই প্রকল্পে দিনপিছু অদক্ষ শ্রমিক পান 204 টাকা। অল্প দক্ষ শ্রমিক পান 306 টাকা। দক্ষ শ্রমিক পান 408 টাকা।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উত্তর 24 পরগনা জেলায় সরকারি একশো দিনের কাজ প্রকল্পের আওতায় 2020-21 আর্থিক বছরে জবকার্ড প্রাপ্ত পরিবারের সংখ্যা 2,75,827। গড়ে প্রত্যেক পরিবার কাজ পেয়েছে 45.40 দিন। অথচ গত আর্থিক বছরে তা ছিল পরিবারপিছু গড়ে 59.42 দিন করে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে প্রায় 15 শতাংশ কম কাজ দেওয়া হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যানে কাজ দেওয়ার কথা বলা হলেও গ্রামের মানুষ কাজ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: 100 দিনের প্রকল্পে পর্যাপ্ত কাজ না পেয়ে ভিন রাজ্যে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

যেমন হাবড়া এক নম্বর ব্লকের কুমড়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দা আলমগির মণ্ডল বলেন, ''লকডাউনে দীর্ঘদিন কাজ ছিল না। খুব অসুবিধায় ছিলাম। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর ভেবেছিলাম, পঞ্চায়েতের একশো দিনের কাজ পাব। কিন্তু কোনও কাজ পাইনি। আমাদের এখানে কোথাও একশো দিনের কাজ হচ্ছে বলেও শুনিনি।''

লকডাউন উঠলেও 100 দিনের কাজ অমিল, বলছেন শ্রমিকরা

আর এক বাসিন্দা সাহবুদ্দিন মোল্লা বলেন, ''লকডাউনের সময় আমাদের কোনও কাজ ছিল না। ভীষণ কষ্টের মধ্যে ছিলাম। লকডাউন উঠে গেল। কতদিন আর বাড়িতে বসে থাকব। সরকারি কাজও পাচ্ছি না। তাই নিরুপায় হয়ে অন্যের জমিতে মজুরের কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছি।'' আর এক শ্রমিক আবদুল হাই বলেন, ''হাতে কোনও কাজ নেই। বাড়িতে বড় সংসার। পঞ্চায়েতের একশো দিনের কাজও পাইনি। তাই, এখন অন্যের জমিতে কাজ করি।''

আরও পড়ুন: একাধিক দাবিতে কাকদ্বীপে বিক্ষোভ মৎস্যজীবীদের

উত্তর 24 পরগনা জেলার প্রোগ্রাম ম্যানেজার অরুণাভ দাশ বলেন, ''লকডাউনের ফলে প্রথম কয়েকদিন সমস্যা হয়েছিল ঠিকই। তারপর থেকে আমরা প্রকল্প চালু রেখেছি। যদি কেউ কাজ না পেয়ে থাকেন, নির্দিষ্ট নিয়মে আবেদন করলে অবশ্যই কাজ পাবেন। আমরা সবাইকে কাজ দিতে চাই।''

বারাসত, 6 জানুয়ারি : দীর্ঘ নয় মাসের লকডাউন শেষ হয়েছে। কিন্তু সরকারি ঘোষণামতো মিলছে না একশো দিনের কাজ। বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করছেন। যদিও প্রশাসনের দাবি, গ্রামে গ্রামে চলছে একশো দিনের কাজ। শ্রমিকরা আবেদন করলেই কাজ পাবেন।

গত বছর 23 মার্চ গোটা দেশে লকডাউন জারি হয়। তারপর থেকে জমায়েত বা সম্মিলিত কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তাই স্বাভাবিকভাবে ধাক্কা খায় সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন শ্রমিকরা। রাজ্যের সবচেয়ে বড় জেলা উত্তর 24 পরগনায় জেলার 22 টি ব্লকের বহু মানুষ সরকারি একশো দিনের কাজ প্রকল্পের উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ওই প্রকল্পে দিনপিছু অদক্ষ শ্রমিক পান 204 টাকা। অল্প দক্ষ শ্রমিক পান 306 টাকা। দক্ষ শ্রমিক পান 408 টাকা।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উত্তর 24 পরগনা জেলায় সরকারি একশো দিনের কাজ প্রকল্পের আওতায় 2020-21 আর্থিক বছরে জবকার্ড প্রাপ্ত পরিবারের সংখ্যা 2,75,827। গড়ে প্রত্যেক পরিবার কাজ পেয়েছে 45.40 দিন। অথচ গত আর্থিক বছরে তা ছিল পরিবারপিছু গড়ে 59.42 দিন করে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে প্রায় 15 শতাংশ কম কাজ দেওয়া হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যানে কাজ দেওয়ার কথা বলা হলেও গ্রামের মানুষ কাজ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: 100 দিনের প্রকল্পে পর্যাপ্ত কাজ না পেয়ে ভিন রাজ্যে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

যেমন হাবড়া এক নম্বর ব্লকের কুমড়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দা আলমগির মণ্ডল বলেন, ''লকডাউনে দীর্ঘদিন কাজ ছিল না। খুব অসুবিধায় ছিলাম। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর ভেবেছিলাম, পঞ্চায়েতের একশো দিনের কাজ পাব। কিন্তু কোনও কাজ পাইনি। আমাদের এখানে কোথাও একশো দিনের কাজ হচ্ছে বলেও শুনিনি।''

লকডাউন উঠলেও 100 দিনের কাজ অমিল, বলছেন শ্রমিকরা

আর এক বাসিন্দা সাহবুদ্দিন মোল্লা বলেন, ''লকডাউনের সময় আমাদের কোনও কাজ ছিল না। ভীষণ কষ্টের মধ্যে ছিলাম। লকডাউন উঠে গেল। কতদিন আর বাড়িতে বসে থাকব। সরকারি কাজও পাচ্ছি না। তাই নিরুপায় হয়ে অন্যের জমিতে মজুরের কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছি।'' আর এক শ্রমিক আবদুল হাই বলেন, ''হাতে কোনও কাজ নেই। বাড়িতে বড় সংসার। পঞ্চায়েতের একশো দিনের কাজও পাইনি। তাই, এখন অন্যের জমিতে কাজ করি।''

আরও পড়ুন: একাধিক দাবিতে কাকদ্বীপে বিক্ষোভ মৎস্যজীবীদের

উত্তর 24 পরগনা জেলার প্রোগ্রাম ম্যানেজার অরুণাভ দাশ বলেন, ''লকডাউনের ফলে প্রথম কয়েকদিন সমস্যা হয়েছিল ঠিকই। তারপর থেকে আমরা প্রকল্প চালু রেখেছি। যদি কেউ কাজ না পেয়ে থাকেন, নির্দিষ্ট নিয়মে আবেদন করলে অবশ্যই কাজ পাবেন। আমরা সবাইকে কাজ দিতে চাই।''

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.