ETV Bharat / state

Kunal Slams Suvendu: 'জ্ঞানেশ্বরীর পর 'পিসি' ইস্তফা দিয়েছিলেন ?, শুভেন্দুর প্রশ্নে বিজেপি-সিপিএম আঁতাত দেখছেন কুণাল - তৃণমূল সুপ্রিমোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনা অতীতের একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে ৷ ইতিমধ্যে দেশের রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন লড়াই শুরু হয়েছে বালাসোর নিয়ে ৷ শুভেন্দু অধিকারী জ্ঞানেশ্বরী নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ৷ তার পালটা জবাবে কুণাল অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের কথা মনে করিয়ে দিলেন ৷

ETV Bharat
শুভেন্দু বনাম কুণাল
author img

By

Published : Jun 4, 2023, 11:15 AM IST

Updated : Jun 4, 2023, 3:08 PM IST

কলকাতা, 4 জুন: ট্রেন-দুর্ঘটনা নিয়ে টুইট যুদ্ধে নেমেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ ওড়িশার বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে দেশের অন্যতম ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ৷ এর জেরে ফিরে আসছে গাইসাল ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে জ্ঞানেশ্বরীর স্মৃতি ৷ শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বালাসোরে দুর্ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ৷

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, এক্সপ্রেস ট্রেন দু'টিতে অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস লাগানো ছিল না ৷ তাঁর সময়ে এই বিশেষ ডিভাইস চালু হয়েছিল ৷ এই অত্যাধুনিক বন্দোবস্ত থাকলে এমন ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি এড়ানো যেত ৷ প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন বারের রেলমন্ত্রী ৷ তাঁর আমলে 2010 সালের 28 মে ভয়াবহ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাটি ঘটে ৷ পালটা এই নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে ৷

Tweet of Kunal Ghosh
কুণাল ঘোষের টুইট

নাম না করে কুণালকে লক্ষ্য করে শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসেরও কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল ৷ সেবার প্রায় 150 জন যাত্রীর মৃত্যু হয় ৷ তারপরে কি আপনার পিসি রেলমন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দিয়েছিলেন ? এর পালটা জবাবে কুণাল জানান, বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনার সঙ্গে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার তুলনা টানা যায় না ৷ তাঁর দাবি, বালাসোরে এই ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ ট্রেনগুলিতে অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস না থাকা ৷ আর জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দুর্ঘটনার সঙ্গে মাওবাদী কার্যকলাপ যুক্ত ছিল ৷

আরও পড়ুন: গাফিলতি মেনে নিয়ে দোষীদের শাস্তির আশ্বাস, বালাসোরে এসে গলা বুজল মোদির

তৃণমূলের মুখপাত্রের আরও দাবি, জ্ঞানেশ্বরী নিয়ে রাজনৈতিক নাটক চলছে ৷ 2010 সালে রাজ্যে বাম শাসন ছিল ৷ কুণাল সিপিএম সরকারকে আক্রমণ করে জানান, পশ্চিমবঙ্গে বাম সরকারের দোষগুলিকে চাপা দেওয়া হচ্ছে ৷ তাদের সঙ্গে মার্কিস্ট-নকশালদের যোগসাজশ ছিল ৷ তবে সে সময় চিন্তাভাবনার দিক দিয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইসে জোর দেন ৷ এরপর শুভেন্দু অধিকারীকে আবারও মীরজাফর বলে আখ্যা দেন কুণাল ৷ কারণ, তখন শুভেন্দু তৃণমূল সুপ্রিমোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম বিশ্বস্ত সঙ্গী ছিলেন ৷ আর আজ সেই শুভেন্দুই জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনা নিয়ে অভিযোগ তুলছেন ৷ এতে বিজেপি আর সিপিআইএমের হার্মাদদের মধ্যে গোপন আঁতাঁতের কথাই তিনি প্রকাশ করে ফেলেছেন বলে কুণালের দাবি ৷

শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি কুণাল ৷ তিনি জানান, শুভেন্দু অধিকারী ইদানীং পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন ৷ এদিকে অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের একটা অংশকে এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি ৷ তাঁর বাব এবং ভাই এই লিমিটেডের অংশ ৷ তাঁরা বুঝেশুনে বেছে বেছে কয়েকটি বিষয় ভুলে যান ৷ তাঁরা এতে সত্যিই মাস্টারক্লাস ৷

প্রসঙ্গত, 2010 সালের 28 মে রাত আনুমানিক দেড়টা জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা ঘটে ৷ মেদিনীপুরের খেমাশোলি এবং সরডিয়া স্টেশনের মাঝে মুম্বইগামী ট্রেনটির 13টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায় ৷ এর মধ্যে পাঁচটি কোচে আবার মালবাহী ট্রেন ধাক্কা মারে ৷ সে সময় কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার ক্ষমতায়। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী ৷ ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, সুপরিকল্পিত বোমা বিস্ফোরণের ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ৷ পরবর্তীকালে এই ট্রেন দুর্ঘটনার নেপথ্যে মাওবাদী যোগ রয়েছে ৷ যদিও এ নিয়ে বিতর্ক রয়ে গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন: রেল পরিবারকে ভুলতে পারেননি মমতা, বর্তমানকে পরামর্শ দিতে প্রস্তুত প্রাক্তন

কলকাতা, 4 জুন: ট্রেন-দুর্ঘটনা নিয়ে টুইট যুদ্ধে নেমেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ ওড়িশার বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে দেশের অন্যতম ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ৷ এর জেরে ফিরে আসছে গাইসাল ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে জ্ঞানেশ্বরীর স্মৃতি ৷ শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বালাসোরে দুর্ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ৷

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, এক্সপ্রেস ট্রেন দু'টিতে অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস লাগানো ছিল না ৷ তাঁর সময়ে এই বিশেষ ডিভাইস চালু হয়েছিল ৷ এই অত্যাধুনিক বন্দোবস্ত থাকলে এমন ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি এড়ানো যেত ৷ প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন বারের রেলমন্ত্রী ৷ তাঁর আমলে 2010 সালের 28 মে ভয়াবহ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাটি ঘটে ৷ পালটা এই নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে ৷

Tweet of Kunal Ghosh
কুণাল ঘোষের টুইট

নাম না করে কুণালকে লক্ষ্য করে শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসেরও কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল ৷ সেবার প্রায় 150 জন যাত্রীর মৃত্যু হয় ৷ তারপরে কি আপনার পিসি রেলমন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দিয়েছিলেন ? এর পালটা জবাবে কুণাল জানান, বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনার সঙ্গে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার তুলনা টানা যায় না ৷ তাঁর দাবি, বালাসোরে এই ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ ট্রেনগুলিতে অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস না থাকা ৷ আর জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দুর্ঘটনার সঙ্গে মাওবাদী কার্যকলাপ যুক্ত ছিল ৷

আরও পড়ুন: গাফিলতি মেনে নিয়ে দোষীদের শাস্তির আশ্বাস, বালাসোরে এসে গলা বুজল মোদির

তৃণমূলের মুখপাত্রের আরও দাবি, জ্ঞানেশ্বরী নিয়ে রাজনৈতিক নাটক চলছে ৷ 2010 সালে রাজ্যে বাম শাসন ছিল ৷ কুণাল সিপিএম সরকারকে আক্রমণ করে জানান, পশ্চিমবঙ্গে বাম সরকারের দোষগুলিকে চাপা দেওয়া হচ্ছে ৷ তাদের সঙ্গে মার্কিস্ট-নকশালদের যোগসাজশ ছিল ৷ তবে সে সময় চিন্তাভাবনার দিক দিয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইসে জোর দেন ৷ এরপর শুভেন্দু অধিকারীকে আবারও মীরজাফর বলে আখ্যা দেন কুণাল ৷ কারণ, তখন শুভেন্দু তৃণমূল সুপ্রিমোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম বিশ্বস্ত সঙ্গী ছিলেন ৷ আর আজ সেই শুভেন্দুই জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনা নিয়ে অভিযোগ তুলছেন ৷ এতে বিজেপি আর সিপিআইএমের হার্মাদদের মধ্যে গোপন আঁতাঁতের কথাই তিনি প্রকাশ করে ফেলেছেন বলে কুণালের দাবি ৷

শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি কুণাল ৷ তিনি জানান, শুভেন্দু অধিকারী ইদানীং পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন ৷ এদিকে অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের একটা অংশকে এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি ৷ তাঁর বাব এবং ভাই এই লিমিটেডের অংশ ৷ তাঁরা বুঝেশুনে বেছে বেছে কয়েকটি বিষয় ভুলে যান ৷ তাঁরা এতে সত্যিই মাস্টারক্লাস ৷

প্রসঙ্গত, 2010 সালের 28 মে রাত আনুমানিক দেড়টা জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা ঘটে ৷ মেদিনীপুরের খেমাশোলি এবং সরডিয়া স্টেশনের মাঝে মুম্বইগামী ট্রেনটির 13টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায় ৷ এর মধ্যে পাঁচটি কোচে আবার মালবাহী ট্রেন ধাক্কা মারে ৷ সে সময় কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার ক্ষমতায়। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী ৷ ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, সুপরিকল্পিত বোমা বিস্ফোরণের ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ৷ পরবর্তীকালে এই ট্রেন দুর্ঘটনার নেপথ্যে মাওবাদী যোগ রয়েছে ৷ যদিও এ নিয়ে বিতর্ক রয়ে গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন: রেল পরিবারকে ভুলতে পারেননি মমতা, বর্তমানকে পরামর্শ দিতে প্রস্তুত প্রাক্তন

Last Updated : Jun 4, 2023, 3:08 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.