ETV Bharat / state

Kunal Ghosh on Governor: কোনও রাজ্যপাল রীতি না-মানলে প্রতিক্রিয়ার ভাষাও বদলাবে, তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য কুণালের - WB Governor CV Ananda Bose

রাজ্যপাল সিভি আন্দন্দ বোসের সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ৷ এই প্রেক্ষিতে রাজ্যপালকে নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (TMC on Governor) ৷

ETV Bharat
রাজ্যপালকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া কুণাল ঘোষের
author img

By

Published : Feb 14, 2023, 6:37 PM IST

কলকাতা, 14 ফেব্রুয়ারি: এরাজ্যের নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিয়ে কি তবে নিজেদের অবস্থান বদলাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ! দলের মুখ্যপাত্র কুণাল ঘোষের সাম্প্রতিকতম মন্তব্যে এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ৷ গত কয়েকদিনের ঘটনাক্রম ও রাজ্যপালের কয়েকটি পদক্ষেপ এই জল্পনায় আরও ইন্ধন দিচ্ছে ৷

গত কয়েকদিন ঘটনা প্রবাহ যেদিকে গিয়েছে, যেভাবে রাজভবন থেকে রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা চলছিলই ৷ তবে সিভি আনন্দ বোসের (WB Governor CV Ananda Bose) ওই বার্তার পরেও কার্যত নীরব ছিল তৃণমূল । ছোট বড় থেকে মেজো, কোনও নেতাই রাজ্যপাল নিয়ে কোনও এমন মন্তব্য করতে রাজি হননি, যাতে একটা সংঘাতের আবহ না তৈরি হয় । কিন্তু রবিবার থেকে যেভাবে একের পর এক ঘটনাপ্রবাহ বয়ে গিয়েছে এবং নন্দিনী চক্রবর্তীকে রাজ্যপালের প্রধান সচিব পদ থেকে অপসারণ করা নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি হয়েছে, তারপর মঙ্গলবার প্রথম রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এই নিয়ে মুখ খোলা হল ৷

দলের তরফে বলা হয়েছে, তাদের অভিপ্রায় রাজ্যপালের সঙ্গে বিরোধ না হলেও, রাজ্যপাল যেহেতু কেন্দ্রের প্রতিভূ, তাই তাঁর কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু আশা করছে না তৃণমূল কংগ্রেস । এদিন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় যা ছিলেন, তাঁকে যারা পাঠিয়েছিলেন তারাই তো সিভি আনন্দ বোসকে পাঠিয়েছেন । অতএব দু'জনের কর্মপদ্ধতি হয়তো আলাদা । কিন্তু দুজনের উৎসস্থল তো একই । কাজেই আলাদা উদ্দেশ্য হবে এমন ভাবনাটা না ভাবাই ভালো । তিনি যতক্ষণ সৌজন্য দেখাচ্ছেন, বাস্তবের মাটিতে থাকছেন, রাজ্যের সঙ্গে সৌজন্য দেখাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে পালটা সৌজন্য চলবে ।

আরও পড়ুন: সোমবার রাতেও রাজ্যপালের প্রধান সচিবকে নিয়ে ধোঁয়াশা জারি, নবান্ন নীরব; সংঘাতই কি ভবিতব্য

এরপর কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন,"কিন্তু কোথাও যদি দেখা যায়...! আমি একবারও বলছি না সিভি আনন্দ বোসের ক্ষেত্রে এমন হবে । তবে কোনও রাজ্যপাল যদি রীতি বহির্ভূতভাবে রাজ্য সরকারের উপর নজরদারি বা পরামর্শদাতার নামে বাইরের রাজ্যের আমলাদের অন্যভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করেন, সে ক্ষেত্রে তখন গোটা প্রতিক্রিয়ার ভাষা এবং মেজাজ নিশ্চিতভাবে সময়ের সঙ্গে বদলাবে ।"

তবে তৃণমূলের এই বক্তব্যের পালটা জবাব দিয়েছেন বিজেপি'র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য । তিনি রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । তিনি বলেন,"উনি যে কথাগুলি বলছেন সেগুলি কি সংবিধানিক ভাষা? সৌজন্য না দেখালে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়ার ভাষা এবং মেজাজ বদলাবে এটা বলার অর্থ কি! জগদীপ ধনকড় কবে অসৌজন্য দেখিয়েছেন! জগদীপ ধনকড় সাংবিধানিক রীতিনীতি এবং মানুষের অধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয় তা দেখার চেষ্টা করেছেন । তিনি চেষ্টা করছিলেন মানুষের জীবন-জীবিকার অধিকার সুরক্ষিত ও নিশ্চিত করতে ৷"

শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন,"কুণাল ঘোষ ঠিকই বলেছেন, দুজনেরই উৎসস্থল এক এবং উদ্দেশ্যও এক । সংবিধানের রক্ষাকর্তা হিসেবে রাজ্যপালের যে উদ্দেশ্য থাকে সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছেন সিভি আনন্দ বোস । আমাদের রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিয়েছে । রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে কোনও শাসকদলের নেতা যদি এই ভাষায় কথা বলেন, এর থেকেই তো প্রমাণ হয়ে গেল আইনের শাসনের প্রতি, বা সংবিধানের ব্যবস্থার প্রতি এদের কোনও আস্থা নেই ।"

কলকাতা, 14 ফেব্রুয়ারি: এরাজ্যের নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিয়ে কি তবে নিজেদের অবস্থান বদলাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ! দলের মুখ্যপাত্র কুণাল ঘোষের সাম্প্রতিকতম মন্তব্যে এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ৷ গত কয়েকদিনের ঘটনাক্রম ও রাজ্যপালের কয়েকটি পদক্ষেপ এই জল্পনায় আরও ইন্ধন দিচ্ছে ৷

গত কয়েকদিন ঘটনা প্রবাহ যেদিকে গিয়েছে, যেভাবে রাজভবন থেকে রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা চলছিলই ৷ তবে সিভি আনন্দ বোসের (WB Governor CV Ananda Bose) ওই বার্তার পরেও কার্যত নীরব ছিল তৃণমূল । ছোট বড় থেকে মেজো, কোনও নেতাই রাজ্যপাল নিয়ে কোনও এমন মন্তব্য করতে রাজি হননি, যাতে একটা সংঘাতের আবহ না তৈরি হয় । কিন্তু রবিবার থেকে যেভাবে একের পর এক ঘটনাপ্রবাহ বয়ে গিয়েছে এবং নন্দিনী চক্রবর্তীকে রাজ্যপালের প্রধান সচিব পদ থেকে অপসারণ করা নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি হয়েছে, তারপর মঙ্গলবার প্রথম রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এই নিয়ে মুখ খোলা হল ৷

দলের তরফে বলা হয়েছে, তাদের অভিপ্রায় রাজ্যপালের সঙ্গে বিরোধ না হলেও, রাজ্যপাল যেহেতু কেন্দ্রের প্রতিভূ, তাই তাঁর কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু আশা করছে না তৃণমূল কংগ্রেস । এদিন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় যা ছিলেন, তাঁকে যারা পাঠিয়েছিলেন তারাই তো সিভি আনন্দ বোসকে পাঠিয়েছেন । অতএব দু'জনের কর্মপদ্ধতি হয়তো আলাদা । কিন্তু দুজনের উৎসস্থল তো একই । কাজেই আলাদা উদ্দেশ্য হবে এমন ভাবনাটা না ভাবাই ভালো । তিনি যতক্ষণ সৌজন্য দেখাচ্ছেন, বাস্তবের মাটিতে থাকছেন, রাজ্যের সঙ্গে সৌজন্য দেখাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে পালটা সৌজন্য চলবে ।

আরও পড়ুন: সোমবার রাতেও রাজ্যপালের প্রধান সচিবকে নিয়ে ধোঁয়াশা জারি, নবান্ন নীরব; সংঘাতই কি ভবিতব্য

এরপর কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন,"কিন্তু কোথাও যদি দেখা যায়...! আমি একবারও বলছি না সিভি আনন্দ বোসের ক্ষেত্রে এমন হবে । তবে কোনও রাজ্যপাল যদি রীতি বহির্ভূতভাবে রাজ্য সরকারের উপর নজরদারি বা পরামর্শদাতার নামে বাইরের রাজ্যের আমলাদের অন্যভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করেন, সে ক্ষেত্রে তখন গোটা প্রতিক্রিয়ার ভাষা এবং মেজাজ নিশ্চিতভাবে সময়ের সঙ্গে বদলাবে ।"

তবে তৃণমূলের এই বক্তব্যের পালটা জবাব দিয়েছেন বিজেপি'র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য । তিনি রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । তিনি বলেন,"উনি যে কথাগুলি বলছেন সেগুলি কি সংবিধানিক ভাষা? সৌজন্য না দেখালে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়ার ভাষা এবং মেজাজ বদলাবে এটা বলার অর্থ কি! জগদীপ ধনকড় কবে অসৌজন্য দেখিয়েছেন! জগদীপ ধনকড় সাংবিধানিক রীতিনীতি এবং মানুষের অধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয় তা দেখার চেষ্টা করেছেন । তিনি চেষ্টা করছিলেন মানুষের জীবন-জীবিকার অধিকার সুরক্ষিত ও নিশ্চিত করতে ৷"

শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন,"কুণাল ঘোষ ঠিকই বলেছেন, দুজনেরই উৎসস্থল এক এবং উদ্দেশ্যও এক । সংবিধানের রক্ষাকর্তা হিসেবে রাজ্যপালের যে উদ্দেশ্য থাকে সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছেন সিভি আনন্দ বোস । আমাদের রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিয়েছে । রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে কোনও শাসকদলের নেতা যদি এই ভাষায় কথা বলেন, এর থেকেই তো প্রমাণ হয়ে গেল আইনের শাসনের প্রতি, বা সংবিধানের ব্যবস্থার প্রতি এদের কোনও আস্থা নেই ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.