কলকাতা, 15 মার্চ: তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হলেন কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী ৷ ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এই বিষয়ে ৷ মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ৷ সেইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইয়ার খারিজের আবেদন জানান আদালতে ৷ তাঁকে গ্রেফতার করা বেআইনি বলে নির্দেশ দিক আদালতে সেই আর্জিও জানিয়েছেন । একইসঙ্গে বেআইনি গ্রেফতারের জন্য তাকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিক আদালত বলেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি । বিচারপতি মামলা দায়ের করার সন্মতি দিয়েছেন । আজ বিচারপতি মান্থার বেঞ্চে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে ।
উল্লেখ্য, গত 4 মার্চ ভোররাতে বটতলা থানার 12 জন পুলিশ অফিসার আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে যায় । তাঁকে প্রায় 5 ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় । শেষে তাঁকে গ্রেফতার করে বটতলা পুলিশ । সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী বাইরণ বিশ্বাস জয়লাভ করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার হন । যদিও সঙ্গে সঙ্গে আইনজীবীরা থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন । প্রায় 24 ঘণ্টার টানটান উত্তেজনার শেষে পরদিনই ব্যাঙ্কশাল আদালত জামিন মঞ্জুর করেছিল কৌস্তভ বাগচীর । জামিন পাওয়ার পর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী মুস্তক মুণ্ডনের পর শপথগ্রহণ করেন, রাজ্য থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত না-করে তিনি মাথায় চুল রাখবেন না ।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জামিন পেলেন কৌস্তভ বাগচী
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন ৷ "এত বড় বড় কথা বলছে । তাঁর মেয়ের আত্মহত্য়া নিয়ে আমি যদি জিজ্ঞেস করি, কিছু বলতে পারবে তাঁর গাড়ির ড্রাইভারের আত্মহত্য়া । আমি যদি বলি জোড়া খুন, কিছু বলতে পারবে ? অনেক ঘটনা আমি জানি, আমার মুখ খোলাবেন না ।"
এর পালটা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে নিয়ে কৌস্তভ বাগচী বলেন, "প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার দীপক ঘোষের লেখা বইয়ের সফট কপি, ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা । তাই 'দুটো হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়েছি । দীপক ঘোষ মমতাকে নিয়ে যা লিখেছিলেন, তার সফট কপি চাইলেই যে কেউ পাবেন ।"