ETV Bharat / state

কলকাতায় বন্ধ অধিকাংশ দোকান, এবছর জামাইয়ের পাতে পড়ছে না পছন্দসই মিষ্টি

গত মার্চ থেকে লাগাতার চলছে লকডাউন । ফলে দোকান-পাট সব বন্ধ । এমনকী বন্ধ রয়েছে মিষ্টির দোকানগুলিও ।

author img

By

Published : May 28, 2020, 3:09 PM IST

Updated : May 28, 2020, 4:36 PM IST

জামাইষষ্ঠীতে এবছর জামাইয়ের পাতে নেই পছন্দসই মিষ্টি
জামাইষষ্ঠীতে এবছর জামাইয়ের পাতে নেই পছন্দসই মিষ্টি

কলকাতা, 28 মে : আজ রসনাপ্রিয় বাঙালির ভূরিভোজের দিন । জামাইষষ্ঠীর দিন শাশুড়ি মায়েরা জামাই বাবাজির পাতে তুলে দেন হরেক রকম মিষ্টি । কিন্তু এবছর আর মিষ্টি কোথায় ? লকডাউনের জন্য বন্ধ কলকাতার নামীদামি মিষ্টির দোকানগুলি । তাই এবার অন্তত জামাইয়ের পাতে পছন্দসই মিষ্টি তুলে দিতে পারছেন না শাশুড়িরা ।

উত্তর কলকাতার বিখ্যাত মিষ্টিপাড়া অঞ্চলে পরপর রয়েছে কলকাতার আদি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানগুলি । কিন্তু লকডাউনের ফলে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ মিষ্টিপাড়া। এই এলাকাতেই রয়েছে নকুড় নন্দী ও গিরিশ চন্দ্রের মতো মিষ্টির দোকান । বন্ধ রয়েছে নলিনচন্দ্র দাস, সুবোধ মল্লিক, সাধন চন্দ্র মল্লিক, কালীচরণ এর মতো উত্তর কলকাতার জনপ্রিয় মিষ্টির দোকানগুলি । শুধু তাই নয়, রসগোল্লার আবিষ্কর্তা নবীন চন্দ্র দাস মিষ্টির দোকানও বন্ধ রয়েছে । তালিকায় পড়ছে চিত্তরঞ্জন, KC দাসের মতো অতি জনপ্রিয় মিষ্টির দোকানগুলিও । অবশ্য এর মধ্যেও সরকারি নির্দেশিকা মেনে দু'-একটি দোকান খোলা রয়েছে । উত্তর কলকাতার আরও একটি বিখ্যাত মিষ্টির দোকান হল গাঙ্গুরাম অ্যান্ড সন্স । সরকারি নির্দেশিকা মেনে সকাল 6টা থেকে সন্ধ্যা 6টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখছে তারা । দোকানের কর্ণধার জানান, "পরিষ্কার-পরিছন্নতা মেনেই তাঁরা মিষ্টি তৈরি করছেন । তবে লকডাউনের ফলে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে । ফলে, সাধারণ মানুষের হাতে টাকা পয়সা কম থাকায় বিক্রি-বাটাও কমেছে । তবে জামাইষষ্ঠীর দিন স্পেশাল কিছু মিষ্টি তৈরি করেছেন তাঁরা ৷ যদিও পরিমাণ থাকবে গতবছরের থেকে কম ।"

জামাইষষ্ঠীতে এবছর জামাইয়ের পাতে নেই পছন্দসই মিষ্টি
জামাইষষ্ঠীতে এবছর জামাইয়ের পাতে নেই পছন্দসই মিষ্টি

কলকাতার অধিকাংশ মিষ্টির দোকানের ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, কারিগররা নিজেদের গ্রামে ফিরে গিয়েছেন । ফলে, তৈরি হয়েছে শ্রমিক সংকট । পাশাপাশি এখন থেকে পুরোপুরি হাইজিন মেনে চালাতে হবে দোকান ৷ তাই এসবের জন্য কিছুটা সময়ের প্রয়োজন । পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তাঁদের পক্ষে এখনই দোকান খোলা সম্ভব নয় । এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে বিপদ এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত, বলছেন তাঁরা ।

বন্ধ মিষ্টির দোকান
বন্ধ মিষ্টির দোকান

নলিনচন্দ্র দাস মিষ্টির দোকানের কর্ণধার তপন দাস বলেন, "পয়লা বৈশাখ ও জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে আগে থেকে প্রচুর পরিমাণে মাল মজুত করে রাখা হয়েছিল । কিন্তু দীর্ঘদিন এই লকডাউন চলার জন্য অনেক টাকার ব্যবসার ক্ষতি হয়ে গেছে । সেইসঙ্গে যে মালগুলি আগেই তোলা ছিল সেগুলি নষ্ট হয়ে গেছে । আজ জামাইষষ্ঠীর দিন দোকানে তিল ধারণের জায়গা থাকে না ৷ সেখানে দোকান বন্ধ। তাই বেশ বিষন্ন লাগছে ।"

এবছর জামাইয়ের পাতে পড়ছে না পছন্দসই মিষ্টি

নকুড় নন্দী মিষ্টির দোকানের কর্ণধার পার্থ নন্দীর কথায়, "খারাপ লাগছে অবশ্যই ৷ কিন্তু দেশজুড়ে যা পরিস্থিতি, সেখানে কিছুই করার নেই । যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ আমাদের লকডাউন মেনে চলতে হবে । তার কারণ বিন্দুমাত্র গাফিলতিতে সংক্রমণের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে । ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আমরা মিষ্টির দোকান খুলব না ।"

কলকাতা, 28 মে : আজ রসনাপ্রিয় বাঙালির ভূরিভোজের দিন । জামাইষষ্ঠীর দিন শাশুড়ি মায়েরা জামাই বাবাজির পাতে তুলে দেন হরেক রকম মিষ্টি । কিন্তু এবছর আর মিষ্টি কোথায় ? লকডাউনের জন্য বন্ধ কলকাতার নামীদামি মিষ্টির দোকানগুলি । তাই এবার অন্তত জামাইয়ের পাতে পছন্দসই মিষ্টি তুলে দিতে পারছেন না শাশুড়িরা ।

উত্তর কলকাতার বিখ্যাত মিষ্টিপাড়া অঞ্চলে পরপর রয়েছে কলকাতার আদি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানগুলি । কিন্তু লকডাউনের ফলে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ মিষ্টিপাড়া। এই এলাকাতেই রয়েছে নকুড় নন্দী ও গিরিশ চন্দ্রের মতো মিষ্টির দোকান । বন্ধ রয়েছে নলিনচন্দ্র দাস, সুবোধ মল্লিক, সাধন চন্দ্র মল্লিক, কালীচরণ এর মতো উত্তর কলকাতার জনপ্রিয় মিষ্টির দোকানগুলি । শুধু তাই নয়, রসগোল্লার আবিষ্কর্তা নবীন চন্দ্র দাস মিষ্টির দোকানও বন্ধ রয়েছে । তালিকায় পড়ছে চিত্তরঞ্জন, KC দাসের মতো অতি জনপ্রিয় মিষ্টির দোকানগুলিও । অবশ্য এর মধ্যেও সরকারি নির্দেশিকা মেনে দু'-একটি দোকান খোলা রয়েছে । উত্তর কলকাতার আরও একটি বিখ্যাত মিষ্টির দোকান হল গাঙ্গুরাম অ্যান্ড সন্স । সরকারি নির্দেশিকা মেনে সকাল 6টা থেকে সন্ধ্যা 6টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখছে তারা । দোকানের কর্ণধার জানান, "পরিষ্কার-পরিছন্নতা মেনেই তাঁরা মিষ্টি তৈরি করছেন । তবে লকডাউনের ফলে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে । ফলে, সাধারণ মানুষের হাতে টাকা পয়সা কম থাকায় বিক্রি-বাটাও কমেছে । তবে জামাইষষ্ঠীর দিন স্পেশাল কিছু মিষ্টি তৈরি করেছেন তাঁরা ৷ যদিও পরিমাণ থাকবে গতবছরের থেকে কম ।"

জামাইষষ্ঠীতে এবছর জামাইয়ের পাতে নেই পছন্দসই মিষ্টি
জামাইষষ্ঠীতে এবছর জামাইয়ের পাতে নেই পছন্দসই মিষ্টি

কলকাতার অধিকাংশ মিষ্টির দোকানের ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, কারিগররা নিজেদের গ্রামে ফিরে গিয়েছেন । ফলে, তৈরি হয়েছে শ্রমিক সংকট । পাশাপাশি এখন থেকে পুরোপুরি হাইজিন মেনে চালাতে হবে দোকান ৷ তাই এসবের জন্য কিছুটা সময়ের প্রয়োজন । পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তাঁদের পক্ষে এখনই দোকান খোলা সম্ভব নয় । এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে বিপদ এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত, বলছেন তাঁরা ।

বন্ধ মিষ্টির দোকান
বন্ধ মিষ্টির দোকান

নলিনচন্দ্র দাস মিষ্টির দোকানের কর্ণধার তপন দাস বলেন, "পয়লা বৈশাখ ও জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে আগে থেকে প্রচুর পরিমাণে মাল মজুত করে রাখা হয়েছিল । কিন্তু দীর্ঘদিন এই লকডাউন চলার জন্য অনেক টাকার ব্যবসার ক্ষতি হয়ে গেছে । সেইসঙ্গে যে মালগুলি আগেই তোলা ছিল সেগুলি নষ্ট হয়ে গেছে । আজ জামাইষষ্ঠীর দিন দোকানে তিল ধারণের জায়গা থাকে না ৷ সেখানে দোকান বন্ধ। তাই বেশ বিষন্ন লাগছে ।"

এবছর জামাইয়ের পাতে পড়ছে না পছন্দসই মিষ্টি

নকুড় নন্দী মিষ্টির দোকানের কর্ণধার পার্থ নন্দীর কথায়, "খারাপ লাগছে অবশ্যই ৷ কিন্তু দেশজুড়ে যা পরিস্থিতি, সেখানে কিছুই করার নেই । যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ আমাদের লকডাউন মেনে চলতে হবে । তার কারণ বিন্দুমাত্র গাফিলতিতে সংক্রমণের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে । ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আমরা মিষ্টির দোকান খুলব না ।"

Last Updated : May 28, 2020, 4:36 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.