কলকাতা, 2 ডিসেম্বর: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার মামলায় এবার কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার চিঠি পেলেন আরও তিনজন বিজেপি বিধায়ক । আজ শনিবার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি, মিহির গোস্বামী এবং মালতি রাভা রায়কে ডাকা হয় কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে ।
বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করেছে বিজেপি, এই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের তরফ থেকে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়া হয় । এই বিষয়ে কার্যত দু’দফায় হেয়ার স্ট্রেট থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয় । প্রথম দফায় 12 জন বিধায়কের নামে অভিযোগ জানানো হয় এবং পরবর্তী দফায় 11 জন বিধায়কের নামে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় বলে জানা গিয়েছে ।
এরপরই গত বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বিধানসভায় উপস্থিত হন । বিধানসভা চত্বরে তাঁরা ভিডিওগ্রাফি করেন । যদিও পুরো বিষয় মুখ খুলতে চাননি কলকাতা পুলিশের কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক । পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার তদন্তভার পড়েছে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার উপর । তাদের তরফে অভিযুক্ত বিধায়কদের একে একে ডেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ৷ তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করা হবে । পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হবে যে আদৌও জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার ঘটনাটি সত্যি কি না ।
এই ঘটনার তদন্তের নেতৃত্বে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক ৷ তাঁর নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল তৈরি করে তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার কলকাতায় অমিত শাহের সভা ছিল ৷ সেই সভা শেষ হওয়ার পর বিধানসভা চত্বরে পৌঁছান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির একাধিক বিধায়ক ৷ সেই সময় বিধানসভা চত্বরে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের ধরনা চলছিল ৷ বিজেপির তরফে তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দেওয়া হয় ৷ পালটা স্লোগান দেয় শাসক দল ৷
তৃণমূলের অভিযোগ, ধরনা শেষে তাঁরা জাতীয় সঙ্গীত গান ৷ সেই সময়ও বিজেপি বিক্ষোভ দেখায় ৷ সেই কারণেই তৃণমূলের তরফে স্পিকারের কাছে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ করা হয় বিজেপির বিরুদ্ধে ৷ যদিও বিজেপির দাবি, সেই সময় যে তৃণমূল জাতীয় সঙ্গীত গাইছিল, তা তারা জানত না ৷ জানলে নিশ্চয় সম্মান প্রদর্শন করা হত ৷
আরও পড়ুন: