কলকাতা, 30 অগস্ট: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার তরফে লালবাজারের সাইবার শাখায় ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই চন্দনবাবুকেই বুধবার অর্থাৎ আজ দুপুরে তলব করল লালবাজার।
গত 21 অগস্ট দক্ষিণ কলকাতায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার দফতরে প্রায় 18 ঘণ্টা তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, একসময় লিপস অ্যান্ড বাউন্সেই উচ্চপদে কাজ করতেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মূলত তাঁর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । তবে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রতিনিধি হিসাবে চন্দনবাবু লালবাজারের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করে বলেন, "তল্লাশি চলাকালীন এক ইডি আধিকারিক তাঁর একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেন ৷"
পরে চন্দন দাবি করেন, ইডির আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর তিনি খেয়াল করেন, সংস্থার কম্পিউটারে 16টি মাইক্রোসফ্ট এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে ৷ আর সেটা করা হয়েছে তাদের না-জানিয়েই । তিনি এমনও দাবি করেন যে, 21 অগস্ট তল্লাশির সময় ওই কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইডির আধিকারিকদের হাতেই । গত শুক্রবার নিজের অভিযোগে চন্দন জানান, তাঁর অনুমান, ওই সময়েই কিছু ফাইল ডাউনলোড হয়েছিল ।
এরপরেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েলকে একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে, কলকাতার বুকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ঘটে যাওয়া ছাত্রর মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন ছিলেন একজন ইডি আধিকারিক । কারণ তাঁর মেয়ে বর্তমানে একজন কলেজ ছাত্রী। আর তিনি তাঁর মেয়ের জন্য শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেল খোঁজ করছিলেন । আর এখানেই অভিযোগ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার কম্পিউটারে তিনি কীভাবে ব্যক্তিগত কাজ করলেন ?
আজ সেই চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে লালবাজারের আধিকারিকরা ডেকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে জানা গিয়েছে । আদতে তল্লাশি অভিযান চলাকালীন ইডির আধিকারিকরা কী কী করেছিলেন এই সকল বিষয়ে জানতে চাইবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
আরও পড়ুন: ইডির বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে পালটা অভিযোগ লিপস অ্যান্ড বাউন্সের