কলকাতা, 26 অগস্ট: ভারতে থেকে পাকিস্তানে বসবাস করা এক মহিলাকে ভারতের বিভিন্ন শহরের ছবি ও ভিডিয়োগ্রাফি পাঠানোর অভিযোগে বিহার থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ৷ ওই ব্যক্তির নাম ভক্তবংশী ঝাঁ ৷ এই বিষয়ে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এসটিএফের দায়িত্ব থাকা এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, "যেহেতু এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়, ফলে ওই মহিলার নাম-পরিচয় এই মুহূর্তে আমরা প্রকাশ করছি না ৷ কিন্তু ওই মহিলা সরাসরিভাবে পাকিস্তানে ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর সঙ্গে যুক্ত ৷"
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যক্তির ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড ৷ এছাড়াও ওই ব্যক্তি পাকিস্তানে গিয়েছিলেন কি না, বা ওই পাকিস্তানি মহিলা ভারতে এসেছিলেন কি না, তা ইতিমধ্যেই খোঁজখবর শুরু করা হয়েছে ৷ লালবাজার সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূণ শহর তথা মুম্বই, দিল্লি, কলকাতা-সহ একাধিক শহরে ঘুরে বেড়াত ৷ শহরগুলির বিভিন্ন ছবি ও ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই পাকিস্তানি ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর হাতে চলে গিয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের ৷
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফের একটি ইউনিটকে ইতিমধ্যেই বিহারের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে ৷ ধৃত ওই ব্যক্তিকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হবে ৷ এ বিষয়ে এনআইএর সঙ্গে যোগাযোগ করছে কলকাতা পুলিশ । কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সূত্রের খবর, ধৃত ওই ব্যক্তি রাজধানী দিল্লিতে একটি কুরিয়ার কোম্পানির কুরিয়ার বয় হিসেবে কাজ করত।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে যে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে তা হল কুরিয়ার বয় থাকাকালীন গত তিন মাসে এই ব্যক্তি কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় অবাধে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কলকাতা শহরের একাধিক নিরাপত্তায় মোড়া জায়গার ছবি এবং ভিডিয়োগ্রাফি তুলে দিল্লি থেকে একটি বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেইগুলি পাকিস্তান ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর ওই মহিলাকে পাঠিয়েছিল।
এখন সেই মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা। যদিও কলকাতা পুলিশের একজন তদন্তকারী আধিকারিকের কথায়, "আমরা বিভিন্ন সোর্স মারফত বিভিন্ন খবরাখবর পাচ্ছি। যেহেতু এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয় ফলে বিশেষ কোনও তথ্য সামনে আনা সঠিক হবে না। বিহারে ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে যে সকল বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল বিভিন্ন ট্রান্সমিটার, বেশ কয়েকটি ডাইরি, একাধিক মোবাইল ফোনের সিম এবং মোবাইল ফোন।
আরও পড়ুন: ইডির বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে পালটা অভিযোগ লিপস অ্যান্ড বাউন্সের