কলকাতা, 5 এপ্রিল: রামনবমীর মতো হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে যাতে কোনও এলাকায় গণ্ডগোল বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয়, তার জন্য বদ্ধপরিকর পুলিশ প্রশাসন । কলকাতা পুলিশের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেখানে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে যে, কোন কোন জায়গা থেকে উৎসব পালন করা হবে, তার সার্টিফিকেট নিতে হবে লালবাজার থেকে ।
কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, যাঁরা যাঁরা হনুমান জয়ন্তী উৎসব পালন করতে ইচ্ছুক, তাঁরা ফর্ম ফিলাপ করে অনুমতি নেবেন । তবে হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে কিছু নিষেধাজ্ঞা উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে । তা হল হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে কোনও বক্স বা মাইক বা ডিজে বাজানো যাবে না ৷ পাশাপাশি উৎসবে যোগদানকারী কারও হাতে কোনও রকমের আগ্নেয়াস্ত্র থাকবে না ।
রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুর এবং হুগলির রিষড়া এলাকায় আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হয় । একে-অপরকে লক্ষ্য করে গ্রানাইট পাথর ও পেট্রল বোমা ছোড়া হয় ৷ পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে । যদিও হুগলির রিষড়ায় বর্তমানে অচলাবস্থা কেটে শান্তির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে । তবে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য পুলিশদের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । কীভাবে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠল ? তাহলে কি পুলিশ প্রশাসনের অব্যবস্থার জন্যই এই ঘটনা ঘটে ? এমনই নানা প্রশ্ন উঠছে ৷ সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে হনুমান জয়ন্তীতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে তৎপর লালবাজার ।
রাজ্যজুড়ে একাধিক জায়গায় ধর্মীয় সভা এবং অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যে বিক্ষিপ্ত অশান্তির মতো ঘটনা ঘটছে, তা মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি বা কিছু সংগঠন উস্কানিমূলক মন্তব্য দিয়ে করাচ্ছে বলে অভিযোগ । সেই সব ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছেন, কারা এই উস্কানিমূলক মন্তব্য করে এলাকার আইনশৃঙ্খলা এবং শান্তি নষ্ট করছেন, এ বার তার তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । ইতিমধ্যেই রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে শিবপুরে যে অশান্তির ঘটনা ঘটে, সেখানে অনেকটাই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় হাওড়া পুলিশের ভূমিকা নিয়ে । এছাড়াও স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের গাফিলতির কথা তুলে ধরেন । তাই এত কিছুর পর হনুমান জয়ন্তীকে নিয়ে বিশেষ ভাবে তৎপর কলকাতা পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা, নির্দেশ হাইকোর্টের