কলকাতা, 26 মার্চ : লকডাউনের মধ্যেই কলকাতা দেখল পুলিশের সহানুভূতির স্পর্শ । প্রসব যন্ত্রণায় কাতর যুবতি পৌঁছলেন হাসপাতালে । পেলেন চিকিৎসা । দেখেশুনে কেউ কেউ বলছেন, এই ঘটনা ফের প্রমাণ করল, পুলিশ শুধু লাঠিচার্জ করছে না । প্রয়োজনে বন্ধু হয়ে উদ্ধার করছে বিপদগ্রস্ত মানুষকেও।
ঘড়িতে তখন রাত 12 টা ৷ লকডাউনের জেরে শহর জনমানবহীন ৷ এই অবস্থায় প্রগতি ময়দান থানা এলাকার সাউথ ট্যাংরা রোডের ঈশিতা দাস প্রসব যন্ত্রণা অনুভব করেন । ওই যবুতির শ্বশুর বাড়ি মানিকতলা থানা এলাকার ক্যানাল সার্কুলার রোডে । কিন্তু গর্ভাবস্থায় তিনি রয়েছেন সাউথ ট্যাংরা রোডের বাপের বাড়িতে । তাঁর চিকিৎসা চলছিল RG কর হাসপাতালে ৷ সেই কারণেই RG করে যাওয়ার জন্য তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা গাড়ি ভাড়া করেন । কিন্তু গাড়িটি ক্রিস্টোফার রোড এবং গোবিন্দ ফটিক রোডের ক্রসিংয়ে ব্রেক ডাউন হয়ে যায় ।
তখনও শহরবাসীর নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন পুলিশকর্মীরা । যুবতির পরিবারের লোকজন সাহায্য চাইলেন পুলিশের । সময় নষ্ট না করে সেই পুলিশকর্মী খবর দিলেন ট্যাংরা থানার অফিসার ইনচার্জকে । তিনি খবর পাঠান সাব-ইন্সপেক্টর SC কোটালকে । দ্রুত পৌঁছতে হবে ঘটনাস্থানে । যুবতিকে উদ্ধার করে পৌঁছতে হবে হাসপাতালে । আর তাই দেরি করেননি সাব ইন্সপেক্টরও । মহিলা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি দ্রুত পৌঁছে যান ঘটনাস্থানে । পুলিশের গাড়িতে করেই ওই যুবতীকে পৌঁছে দেওয়া হয় RG কর হাসপাতালে ।
পুলিশের এই ভূমিকায় কৃতজ্ঞ ওই যুবতির পরিবার ৷ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা পুলিশের এই মানবিক চেহারাকে । তাঁদের একটাই বক্তব্য, লকডাউন ভেঙে রাস্তায় বেরোনো জনতাকে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে তেরে যেতে পারে । আবার প্রয়োজনে পিঠের উপর রাখতে পারে বন্ধুত্বের হাতও ৷