ETV Bharat / state

ডায়ালিসিস রোগীর গাড়িচালকের থেকে তোলাবাজি, অভিযুক্ত পুলিশ

লকডাউনের জেরে যান চলাচল বন্ধ ৷ অ্যাম্বুলেন্সেও পাওয়া যাচ্ছে না ৷ কোনওমতে একটি গাড়ি জোগাড় করে বাবার ডায়ালিসিসের জন্য কাল কলকাতায় এসেছিলেন বনগাঁর দেববর্ণা মণ্ডল ৷ ডায়ালিসিস সেরে রাতে ফেরার সময় পুলিশ তাদের গাড়ি আটকে ড্রাইভারকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ ৷ পাশাপাশি তাদের থেকে 1200 টাকা তোলা আদায় করে নেয় ৷

Kolkata
তোলাবাজির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
author img

By

Published : Mar 30, 2020, 6:57 PM IST

কলকাতা, 30 মার্চ : দেশজুড়ে লকডাউন । তার মাঝে অ্যাম্বুলেন্সেরও আকাল চলছে । কিন্তু তারপরেও কোনওমতে একটি গাড়ি ভাড়া করে কাল বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিলেন বনগাঁ-র বাসিন্দা দেববর্ণা মণ্ডল ৷ বাবার ডায়ালিসিস করানোর জন্যই কলকাতায় গিয়েছিলেন তিনি ৷

অভিযোগ, ডায়ালিসিস করে বাবাকে নিয়ে ফেরার পথে তাঁর অ্যাম্বুলেন্সের চালককে মারধর করে পুলিশ । তারপর 1200 টাকা তোলা আদায় করে । ঘটনা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেববর্ণা । ETV ভারতের মাধ্যমে খবর পৌঁছেছে লালবাজারে । পুলিশের শীর্ষ কর্তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

কলকাতাবাসীর কাছে লালবাজারের বার্তা, “পাশে আছি" । সারাবছর ধরে কলকাতা পুলিশ চেষ্টা করে সাধ্যমত শহরবাসীর পাশে থাকার । লকডাউনের সময়ে কলকাতা পুলিশের কাজ শহরবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে । কখনও অন্নপূর্ণা হয়ে নিরন্নকে খাবার জুগিয়ে চলেছে পুলিশ । রোগীর প্রয়োজনে পুলিশ আধিকারিক রক্ত দিচ্ছেন । মানুষের প্রয়োজনে ব্যবস্থা করেছে গাড়ির । আবার পথ কুকুরদেরও খাওয়ার ব্যবস্থা করছে । এরই মাঝে পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ৷ এই যেমন শনিবার বনগাঁ থেকে মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে বাবাকে নিয়ে ডায়ালিসিস করাতে এসেছিলেন দেববর্ণা মণ্ডল। অসুস্থ বাবাকে সপ্তাহে তিনদিন ডায়ালিসিস করাতে নিয়ে যেতে হয় তাঁকে । সেই সূত্র ধরেই তিনি বনগাঁ থেকে এসেছিলেন । ডায়ালিসিস শেষ করতে মাঝ রাত হয় । রাত আড়াইটে নাগাদ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বনগাঁ রওনা দেন ।

সোশাল মিডিয়ার পোস্টে তিনি লিখেছেন ,“কাল রাত আড়াইটে নাগাদ হাসপাতাল থেকে ডায়ালিসিস করে ফেরার সময় পূর্ব যাদবপুর থানার কাছে মুকুন্দপুর মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দায়িত্ববিহীন একজন কনস্টেবল ও একজন সিভিক ভলান্টিয়ার বাবার গাড়িটিকে দাঁড় করায় । গাড়ির সমস্ত কাগজ থাকা সত্বেও ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যায় । তাঁকে বিনা কারণে হেনস্থা ও গালিগালাজ করে । বাবাকে অসুস্থ দেখেও পুলিশ তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে । জোর করে 1200 টাকা নেয় । কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি । এমন করলে কোনও ভাড়া গাড়ি পাব না । এই দুর্যোগের সময় পুলিশের কাছ থেকে এমন দুর্ব্যবহার আশা করা যায় না ।"
ঘটনাটি ETV ভারতের তরফে জানানো হয় লালবাজারের কর্তাদের কাছে । কলকাতা পুলিশের দুই কর্মীর এই আচরণে যথেষ্ট সম্মানহানি হয়েছে বলে মনে করছে লালবাজার । তদন্ত শুরু হয়েছে । খতিয়ে দেখা হচ্ছে CCTV ফুটেজ ।

কলকাতা, 30 মার্চ : দেশজুড়ে লকডাউন । তার মাঝে অ্যাম্বুলেন্সেরও আকাল চলছে । কিন্তু তারপরেও কোনওমতে একটি গাড়ি ভাড়া করে কাল বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিলেন বনগাঁ-র বাসিন্দা দেববর্ণা মণ্ডল ৷ বাবার ডায়ালিসিস করানোর জন্যই কলকাতায় গিয়েছিলেন তিনি ৷

অভিযোগ, ডায়ালিসিস করে বাবাকে নিয়ে ফেরার পথে তাঁর অ্যাম্বুলেন্সের চালককে মারধর করে পুলিশ । তারপর 1200 টাকা তোলা আদায় করে । ঘটনা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেববর্ণা । ETV ভারতের মাধ্যমে খবর পৌঁছেছে লালবাজারে । পুলিশের শীর্ষ কর্তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

কলকাতাবাসীর কাছে লালবাজারের বার্তা, “পাশে আছি" । সারাবছর ধরে কলকাতা পুলিশ চেষ্টা করে সাধ্যমত শহরবাসীর পাশে থাকার । লকডাউনের সময়ে কলকাতা পুলিশের কাজ শহরবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে । কখনও অন্নপূর্ণা হয়ে নিরন্নকে খাবার জুগিয়ে চলেছে পুলিশ । রোগীর প্রয়োজনে পুলিশ আধিকারিক রক্ত দিচ্ছেন । মানুষের প্রয়োজনে ব্যবস্থা করেছে গাড়ির । আবার পথ কুকুরদেরও খাওয়ার ব্যবস্থা করছে । এরই মাঝে পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ৷ এই যেমন শনিবার বনগাঁ থেকে মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে বাবাকে নিয়ে ডায়ালিসিস করাতে এসেছিলেন দেববর্ণা মণ্ডল। অসুস্থ বাবাকে সপ্তাহে তিনদিন ডায়ালিসিস করাতে নিয়ে যেতে হয় তাঁকে । সেই সূত্র ধরেই তিনি বনগাঁ থেকে এসেছিলেন । ডায়ালিসিস শেষ করতে মাঝ রাত হয় । রাত আড়াইটে নাগাদ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বনগাঁ রওনা দেন ।

সোশাল মিডিয়ার পোস্টে তিনি লিখেছেন ,“কাল রাত আড়াইটে নাগাদ হাসপাতাল থেকে ডায়ালিসিস করে ফেরার সময় পূর্ব যাদবপুর থানার কাছে মুকুন্দপুর মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দায়িত্ববিহীন একজন কনস্টেবল ও একজন সিভিক ভলান্টিয়ার বাবার গাড়িটিকে দাঁড় করায় । গাড়ির সমস্ত কাগজ থাকা সত্বেও ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যায় । তাঁকে বিনা কারণে হেনস্থা ও গালিগালাজ করে । বাবাকে অসুস্থ দেখেও পুলিশ তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে । জোর করে 1200 টাকা নেয় । কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি । এমন করলে কোনও ভাড়া গাড়ি পাব না । এই দুর্যোগের সময় পুলিশের কাছ থেকে এমন দুর্ব্যবহার আশা করা যায় না ।"
ঘটনাটি ETV ভারতের তরফে জানানো হয় লালবাজারের কর্তাদের কাছে । কলকাতা পুলিশের দুই কর্মীর এই আচরণে যথেষ্ট সম্মানহানি হয়েছে বলে মনে করছে লালবাজার । তদন্ত শুরু হয়েছে । খতিয়ে দেখা হচ্ছে CCTV ফুটেজ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.