কলকাতা, 8 নভেম্বর: রাজ্যে একসঙ্গে আটজন আইপিএস আধিকারিকের দায়িত্ব বদল করা হল ৷ এই আটজন আইপিএস আধিকারিকের পদ পরিবর্তনের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনটি হল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তীকে সরানো হয়েছে। তবে সঠিক কী কারণে তাঁকে সরানো হলো, সেই বিষয় স্পষ্টভাবে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আইপিএস মহলের একাংশের মতে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং-এর জেরে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার জেরেই এই সিদ্ধান্ত হতে পারে ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ একাধিক অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় যথেষ্ট মুখ পড়েছিল কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের। আইপিএস মহলের একাংশের অনুমান, কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান পরিবর্তনের নেপথ্যে এই কারণটি থাকলেও থাকতে পারে। চলতি বছর মার্চে গোয়েন্দা প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী ৷ এতদিন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধানের দায়িত্বই সামলাচ্ছিলেন তিনি ৷ তাঁকে পাঠানো হলো ডিআইজি সিআইডি পদে।
তবে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধানের জায়গায় এখনও নতুন কাউকে দায়িত্ব হয়নি। এছাড়াও এক সঙ্গেই পরিবর্তন করা হয়েছে বেশ কয়েকজন আইপিএস আধিকারিকের। যেমন রাজেশ কুমার যাদবকে নিয়ে আসা হয়েছে আইজি সিআইডি পদে। তিনি ছিলেন আইজি উত্তরবঙ্গ। এছাড়াও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ডিআইজি রায়গঞ্জ। তাঁকে ওই পদে রেখে মালদার ডিআইজি পদের অতিরিক্ত চার্জ তাঁকে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'ভয়েস অফ রিজনসে'র মৃত্যুর পর আচরণে বদল মাউন্টেড পুলিশের অন্যান্য ঘোড়াদের
অফিসার স্পেশাল ডিউটিতে ছিলেন ছিলেন সুধীর কুমার নীলকান্তম। এর পরিবর্তে তাঁকে আনা হয়েছে ডিআইজি প্রভিশনিং পদে। এছাড়াও আইপিএস সুদীপ সরকার ছিলেন ডিআইজি মালদা রেঞ্জ পদে। তার পরিবর্তে তাঁকে আনা হয়েছে ডিআইজি পার্সোনাল পদে। যদিও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধানের এই বদলিকে নবান্নের তরফে এক প্রকার রুটিন বদলি হিসাবেই বলা হয়েছে। তবে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধানের দায়িত্ব এখন কে সামলাবেন সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।