কলকাতা, 19 এপ্রিল: এক জায়গায় জড়ো হয়ে মোবাইলে গেম খেলছেন দু'তিনজন ৷ তো কোথাও নিশ্চিন্তে শুয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন কেউ ৷ না এই দৃশ্য কোনও পার্কের না, সম্প্রতি কলকাতার কোয়েস্ট মলের ভিতরের এই ভিডিয়ো ব্যপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকজন যুবক কার্যত খোশমেজাজে কোয়েস্ট মলের মেঝেয়ে বসে আছেন। আর যা নিয়েই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র শোরগোল ৷ আসরে নামতে হয়েছে খোদ কলকাতা পুলিশকেও ৷
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই, সামাজিক মাধ্যমে রে-রে করে উঠেছেন এক শ্রেণির মানুষ ৷ অনেকেই হাসির ছলে দাবি করেছেন, এই গরমে কার্যত কোয়েস্ট মল দখল হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ভিডিয়ো ভাইরাল হতে, অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, কোয়েস্ট মল কার্যত দখল করে নিয়েছেন বেশ কয়েকজন ৷ এমনকী তারা সংশ্লিষ্ট মলের নির্দিষ্ট এলাকায় যে খাবারের দোকান আছে, সেখেনে ঢুকেও বিনা পয়সায় খাবার খেয়ে নিয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে একের পর এক তীর্যক মন্তব্যের পাশপাশি অনেকেই রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন ৷ কলকাতা পুলিশের কড়া নিন্দাও দেখা গিয়েছে মন্তব্যে ৷ নেটিজেনদের অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগায় এই সকল মানুষ কীভাবে শহরের একটি নামকরা শপিংমলে গিয়ে হাঙ্গামা চালাল ? প্রশ্ন উঠেছে, কার্যত মলের নীচে বসে গোটা মলের দখলও তারা নিল কী করে ? সেই সঙ্গে, প্রশ্ন উঠতে থাকে পুলিশ-প্রশাসন কী তাহলে গোটা বিষয়টি দেখেও না-দেখার ভান করছে ? লালবাজার সূত্রে খবর, ক্রমাগত এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার জেরে নাজেহাল হয়ে যায় পুলিশ ৷
এরপরই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশ ৷ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান শঙ্কর শুভ্র চক্রবর্তী ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে বলেন, "আমরা গোটা বিষয়টি ভালোভাবে তদন্ত করেছি ৷ তদন্তে জানা গিয়েছে কিছুদিন আগে কোয়েস্ট মল এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। চরম দাবদাহ পরিবেশ থেকে কার্যত পরিত্রাণ পেতে এলাকার কিছু যুবক কোয়েস্ট মলে গিয়ে এসি'র ঠান্ডা হাওয়ায় বসেছিল ৷" পাশাপাশি পুলিশের দাবি, ওই যুবকরা কিছুক্ষণ কোয়েস্ট মলে বসে থাকার পরই সেখান থেকে চলে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় কোন রকম আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়নি বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা দেওয়ার এক দশক পর প্রাথমিকের চাকরি পেলেন অম্বিকা
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় থানাতেও এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান শংকর শুভ্র চক্রবর্তী ইটিভি ভারতকে বলেন, "এই ভিডিওকে ভিত্তি করে যারা সমাজে ভিন্ন মন্তব্য এবং মিথ্যাচার করছেন তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আমরা খোঁজ খবর করছি। যারা উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি করতে চাইছেন তাদের এই কাজকে কলকাতা পুলিশের পক্ষ নিন্দা করছি।"